গণপরিবহন চালু, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে শঙ্কা : লঞ্চ, বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি হটিয়ে খুলল সবই

পরের সংবাদ

বিলুপ্তির ঝুঁকিতে উন্নয়নশীল দেশ : আইপিসিসি রিপোর্ট

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক আন্তঃদেশীয় প্যানেলের (আইপিসিসি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জলবায়ু বিপর্যয়ের অভিঘাত ও তা থেকে উত্তরণের পথ অনুসন্ধানে নড়েচড়ে বসতে শুরু করেছে বিশ্ব। তবে বিশেষভাবে এ বিষয়ে সরব হয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলো। নতুন সতর্কবার্তা দিয়ে তারা বলছে, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সত্বর ব্যবস্থা নেয়া না হলে এই দেশগুলো ‘বিলুপ্তির ঝুঁকিতে পড়বে’। আইপিসিসির বরাতে বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে বিশ্বের একটি বড় অংশ বসবাস অযোগ্য হয়ে যেতে পারে। আইপিসিসির এই প্রতিবেদনকে জাতিসংঘ প্রধান ‘চূড়ান্ত বার্তা’ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ‘বিশ্বকে জেগে ওঠার ডাক’ হিসেবে অভিহিত করেন এর আগে।
তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেশ কিছু দেশ। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে এই দেশগুলো। এমন ঝুঁকিতে থাকা ৫০টি দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ। তিনি বলেন, অন্য দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ করছে। আর আমরা জীবন দিয়ে এর মূল্য পরিশোধ করছি। সমুদ্রপৃষ্ঠের কাছাকাছি থাকা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম মালদ্বীপ। এই দেশের পরিস্থিতি উল্লেখ করে নাশিদ বলেন, মালদ্বীপের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের ফল হবে ধ্বংসাত্মক। এর ফলে দেশটি ‘বিলুপ্তির ঝুঁকিতে’ পড়বে বলেও মনে করেন তিনি।
আইপিসিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী দিনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোয় বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ¡াসও বাড়বে। ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর বেশির ভাগই দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিভিন্ন দেশে দাবানল, বন্যা, তুষার ঝড় বেড়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এই পরিস্থিতিকে ‘মানবতার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কসংকেত’ বলে আখ্যা দেন। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এটা স্পষ্ট যে বিশ্বজুড়ে আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য মানুষই দায়ী। এখনো যেভাবে বিশ্বে কার্বন নিঃসরণ হচ্ছে, তাতে দুই দশকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা শিল্পবিপ্লব-পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় বেশি। এতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আধা মিটার বৃদ্ধি পেতে পারে। আর চলতি শতকের শেষে গিয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি দুই মিটারে গিয়ে ঠেকতে পারে।
আইপিসিসি এমন সময়ে এই প্রতিবেদন দিল, যার তিন মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে যুক্তরাজ্যের স্কটল্যান্ডের গø্যাসগোতে বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে বসতে যাচ্ছে। কার্বন নিঃসরণ কমানোর অঙ্গীকার করতে কপ-২৬ নামে পরিচিত এই সম্মেলনে জমায়েত হবেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা। এদিকে আইপিসিসির এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বরিস জনসন বলেন, যারা এই জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে, তাদের সাহায্য প্রয়োজন। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি অনুসারে, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার ব্যাপারে প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন বিশ্বনেতারা। এ জন্য ১৯০ দেশ ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল।
কিন্তু নতুন প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কার্বন নিঃসরণ যথেষ্ট পরিমাণ কমাতে না পারলে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব নয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়