গণপরিবহন চালু, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে শঙ্কা : লঞ্চ, বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি হটিয়ে খুলল সবই

পরের সংবাদ

উত্তর আফগানিস্তানে শক্ত অবস্থানে তালেবানরা

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলের দখলে নেয়া এলাকাগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ জোরদার করেছে তালেবানরা। তারা এখন উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর মাজার ই শরিফের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে শহরটি রক্ষায় জীবনপণ লড়াই করার প্রত্যয় জানিয়েছেন সরকারপন্থি মিলিশিয়া বাহিনীগুলোর কমান্ডাররা। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কয়েক দিন ধরে তালেবানের বিস্ময়কর অগ্রগতি ও আফগানিস্তানের সরকারি বাহিনীগুলোকেই তাদের নিজেদের রক্ষা করতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন মন্তব্যের পর আঞ্চলিক শক্তিমান নেতাদের সরকারের প্রতি সমর্থন দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। গত সোমবার মাজার ই শরিফ ও রাজধানী কাবুলের মধ্যবর্তী প্রধান মহাসড়কের ওপর অবস্থিত সামানগান প্রদেশের রাজধানী শহর আইবাকের দখল নেয়ার পর সেখানে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ জোরদার করে তালেবান যোদ্ধারা। তারা সরকারি ভবনগুলোয় অবস্থান নিচ্ছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর অধিকাংশ সদস্য শহরটি থেকে সরে গেছেন বলেও জানান তারা।
শহরটির জনজীবনের অবস্থা এখন কেমন, এমন প্রশ্নে প্রাদেশিক কর কর্মকর্তা শের মোহাম্মদ আব্বাস বলেন, একমাত্র পথ হচ্ছে স্বেচ্ছা গৃহবন্দি থাকা অথবা কাবুলের দিকে চলে যাওয়ার কোনো রাস্তা বের করা।
চার সন্তানের জনক ও ৯ সদস্যের একটি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আব্বাস বলেন, কিন্তু এখন কাবুলও আর নিরাপদ নয়। তিনি জানান, তালেবানরা তাদের দপ্তরে এসে সব কর্মীকে বাড়িতে চলে যেতে বলে। তিনি ও আইবাকের অন্যান্য বাসিন্দা জানান, তারা কোনো লড়াই হতে দেখেননি এবং লড়াই হয়েছে বলেও শোনেননি।
আফগানিস্তানের যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকারকে পরাজিত করে দেশটিতে কঠোর শরিয়া আইন চালু করতে চাওয়া তালেবানরা আইবাক দখল করে নেয়ার সময় সামান্য প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়। তালেবান ও সরকারি কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, সম্প্রতি বিদ্রোহী এই গোষ্ঠী আইবাকসহ আফগানিস্তানের উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণে ছয়টি প্রাদেশিক রাজধানীর দখল নিয়েছে। তালেবান যোদ্ধারা এখন বিভিন্ন দিক থেকে উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম শহর মাজার ই শরিফের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। উত্তরাঞ্চলের একটি মিলিশিয়া বাহিনীর কমান্ডার আত্তা মোহাম্মদ নুর শেষ পর্যন্ত লড়াই করার প্রত্যয় জানিয়ে বলেন, আমার শরীরের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যাব। টুইটারে তিনি বলেন, আমি হতাশায় মরার চেয়ে মর্যাদার সঙ্গে মরতে পছন্দ করি। মাজার ই শরিফের পতন হলে তা কাবুলের গনি সরকারের জন্য ধ্বংসাত্মক বিপর্যয় হয়ে দেখা দিতে পারে বলে মত বিশ্লেষকদের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়