নির্ধারণ হবে আশুরার তারিখ : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা বসছে আজ

আগের সংবাদ

সংক্রমণ ঠেকানোর কৌশল কী

পরের সংবাদ

রূপগঞ্জ ট্র্যাজেডি : চরফ্যাশনে দাফন হলো ৪ শ্রমিকের দেহাবশেষ

প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি : রূপগঞ্জ সেজান জুস ফ্যাক্টরির অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চরফ্যাশনের নিখোঁজ ৭ শ্রমিকের মধ্যে ৪ জনের দেহাবশেষ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ওই অগ্নিকাণ্ডে চরফ্যাশনের ১০ শ্রমিক ফিরলেও নিখোঁজ ছিল ৭ জন। নিখোঁজদের পরিবারের ডিএনএ টেস্ট কার্যক্রম শেষে ৩১ দিন পর রবিবার সকালে ৪ শ্রমিকের পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষ তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে। ওই ৪ জনের পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাদের স্বজনদের কাছে শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গ থেকে হস্তান্তর করা হয় বলে স্বজনরা জানান।
সূত্রে জানা যায়, মরদেহের স্বজনদের সঙ্গে ডিএনএ ম্যাচিং শেষে তাদের পরিচয় প্রোফাইল তৈরি করা হয়। এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আবদুল মান্নানের ছেলে নোমান (২০) আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ফজলুর রহমানের ছেলে হাসনাইন (১৬) ও একই এলাকার কবিরের ছেলে রাকিব (১৮), নজরুল নগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ফখরুলের ছেলে শামিমের (১৮) মরদেহ তাদের বাড়িতে পৌঁছেছে বলে পরিবারগুলো নিশ্চিত করেন। ফজলুর রহমান বলেন, আমার ছেলে হাসনাইনসহ আরো ৩ জনের লাশ একই সঙ্গে চরফ্যাশনে আসে। সকালেই ছেলেকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। নোমানের বাবা আবদুল মান্নান বলেন, ছেলের মরদেহ পেয়েছি। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার করে টাকা দিয়েছে। তবে আসলামপুর ইউনিয়নের নিখোঁজ শ্রমিক মহিউদ্দিনের (২৫) মা হয়জুন নেছা কান্নাভরা কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলের ডিএনএ মেলেনি তাই মরদেহ এখনো পাইনি। আপনারা ছেলেকে আমার বুকে ফিরিয়ে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নোমান রাহুল বলেন, ৫ জনের তথ্য জেলা প্রশাসনের কাছে দেয়া হয়েছে। তবে বাকি নিখোঁজদের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়