নির্ধারণ হবে আশুরার তারিখ : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা বসছে আজ

আগের সংবাদ

সংক্রমণ ঠেকানোর কৌশল কী

পরের সংবাদ

ভারতের সোনার ছেলে নীরাজ

প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

টোকিং অলিস্পিকের পর্দা নেমেছে রবিবার। ২০২৪ সালে প্যারিসে ৩৩তম অলিম্পিকের পর্দা উঠবে। এবার এশিয়ার মাটিতে চীনকে টেক্কা দিয়ে ৩৯টি স্বর্ণপদক জিতে শীর্ষ স্থান দখল করেছে আমেরিকা। তারা মোট পদক জিতেছে ১১৩টি। এর মধ্যে স্বর্ণপদক ৩৯টি। অন্যদিকে ৩৮টি স্বর্ণসহ মোট ৮৮টি পদক নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছে চীন। ২৭টি স্বর্ণপদকসহ মোট ৫৮টি পদক জয় করে তৃতীয় হয়েছে স্বাগতিক জাপান। এবারের টোকিও অলিম্পিকে অনেক দিন স্বর্ণপদক জয়ের শীর্ষস্থানে ছিল চীন। কিন্তু রবিবার শেষ দিন মাত্র একটি স্বর্ণ বেশি জয় করে চীনকে টপকে শীর্ষস্থানে উঠে আসে আমেরিকা। তারা সর্বশেষ রিও অলিম্পিকে ৪৬টি স্বর্ণপদক জয় করে সেরা হয়েছিল। এবার টোকিও অলিম্পিকে ভারত এক স্বর্ণ, দুই রৌপ্য এবং চার ব্রোঞ্জসহ ৭টি পদক জিতেছে। ২৪ জুলাই টোকিওতে প্রথম পদক জিতেছিল ভারত। ভারোত্তোলনে ভারতকে রৌপ্য এনে দেন মীরাবাই চানু। ১ আগস্ট ব্রোঞ্জ জেতেন পিভি সিন্ধু। ব্যাডমিন্টনে ভারতকে এই পদক উপহার দেন তিনি। ৫ আগস্ট হকিতে ব্রোঞ্জ জেতে ভারতের ছেলেরা। একই দিন কুস্তিতে রৌপ্য এনে দেন রবি কুমার। অবশেষে জ্যাভলিনে আসে সর্বোচ্চ পদক স্বর্ণ। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে ছয়টি পদক জিতেছিল ভারত। এবার সেই প্রাপ্তিতে ছাড়িয়ে গেল তারা।
৭ আগস্ট ভারতকে ১৩ বছর পর দ্বিতীয় স্বর্ণপদক এনে দেন নীরাজ চোপড়া। শেষ থ্রোয়ের আগেই বুঝে যান দিনটি তারই। তবু একটু দম নিলেন। এরপর চিৎকার আর দুই হাত আকাশের দিকে উঁচিয়ে করলেন উদযাপন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হওয়া প্রতিযোগীরাও তাকে জড়িয়ে ধরলেন। খানিক বাদে ভারতের জ্যাকেটটা গায়ে পরে ছুটলেন গ্যালারির দিকে। উড়ে এলো পতাকা। নিজেকে জড়িয়ে নিলেন সেই পতাকায়। ততক্ষণে তার কোচরাও এসে হাজির। সবার চোখেমুখে আনন্দ। তবে নীরাজ চোপড়ার চোখে জল। সেটা তো স্বর্ণ জয়ের, ইতিহাস গড়ার। ২০০৮ সালে অভিনভ বিন্দ্রার পর অলিম্পিকে যেটা ভারতের দ্বিতীয় স্বর্ণ। আর অ্যাথলেটিকসে এটাই প্রথম। ৭ আগস্ট জ্যাভলিনে টোকিওর সব আলো কেড়ে নেন হরিয়ানার এই তারকা। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ৮৭.৫৮ মিটার ছুড়ে স্বর্ণপদক জিতে নেন তিনি।
এর আগে অলিম্পিকে ভারতের স্বর্ণ ছিল মোট নয়টি। যার মধ্যে আটটি হকিতে। ব্যক্তিগত বিভাগে কেবল একটি স্বর্ণ জেতেন ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকে বিন্দ্রা। এরপর তার আক্ষেপ ছিল কেউ কোনো স্বর্ণ পাচ্ছে না। টোকিওতে নীরাজ সবার মুখে হাসি ফোটালেন। জ্যাভলিনে এ দিন শুরু থেকেই ছন্দে ছিলেন নীরাজ। প্রথম প্রচেষ্টায় ৮৭.০৩ মিটার ছুড়ে বাকিদের চেয়ে এগিয়ে যান। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় দূরত্ব আরো বাড়িয়ে নেন তিনি। এবার ছোড়েন ৮৭.৫৮ মিটারে। মিলখা-উষারা যা পারেননি, নীরাজ সেটাই করে দেখালেন। ১৩ বছর পর স্বর্ণজয়ীকে দেখে উচ্ছ¡সিত বিন্দ্রা। নীরাজকে অভিনন্দন জানিয়ে দিয়েছেন চিঠি, ‘অভিনন্দন তোমাকে। অলিম্পিকে একটা স্বর্ণের জন্য পুরো দেশ অধীর ছিল। সেই ভারটা তুমি নিয়েছ। জ্যাভলিন হয়তো বেশি মানুষ দেখে না। তবে সেটাতে তুমি সবার আকর্ষণের কেন্দ্রে নিয়ে গেলে। লাখ লাখ মানুষ তোমার অর্জন টিভিতে দেখেছে। য় কামরুজ্জামান ইমন

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়