নির্ধারণ হবে আশুরার তারিখ : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা বসছে আজ

আগের সংবাদ

সংক্রমণ ঠেকানোর কৌশল কী

পরের সংবাদ

ভরা মৌসুমেও ইলিশ নেই জালে : দাদনের টাকা শোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় জেলে পরিবার

প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : ইলিশের ভরা মৌসুমেও দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া ও বুড়া গৌরাঙ্গ নদীতে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে না। এ কারণে উপজেলার ৮ হাজার জেলে পরিবারে হতাশা নেমে এসেছে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দশমিনা উপজেলার শতাধিক মৎস্য আড়ত থেকে জেলেরা নৌকা ও জাল তৈরি করার জন্য কয়েক কোটি টাকা দাদন নিয়েছেন ধরা ইলিশ মাছ মহাজনের কাছে বিক্রি করার শর্তে। কিন্তু নদীতে ইলিশ না পাওয়ায় মহাজনের দাদনের টাকা পরিশোধ করা নিয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছে জেলে পরিবারগুলো। উপজেলার কাঁটাখালী এলাকার জেলে আব্বাস মোল্লা (৪০) বলেন, মহাজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নৌকা, জাল ও সাভার তৈরি করেছি। এখন নদীতে মাছ না পাওয়ায় মহাজনের টাকা কীভাবে পরিশোধ করব জানি না। গোলখালী এলাকার জেলে শাহীন হাওলাদার (৩৫) বলেন, নদীতে ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই পাঁচ সদস্যের সংসার ও মহাজনের দাদনের টাকার চিন্তায় রাতে ঘুম আসে না। কাঁটাখালীর মৎস্য ব্যবসায়ী আবিদুল হাসান বলেন, জেলেদের মাঝে তিনি জাল ও নৌকা তৈরি করার জন্য ৩৫ লাখ টাকা দিয়েছেন। এখন তার সেই টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আউলিয়াপুরের মৎস্য ব্যবসায়ী মামুন তালুকদার বলেন, প্রতি বছর এই সময় ইলিশের ভরা মৌসুমে তার মৎস্য আড়তে প্রতিদিন এক-দেড় হাজার কেজি ইলিশ কিনতেন। কিন্তু এ বছর নদীতে ইলিশ না পড়ায় প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ কেজি ইলিশ কিনতে পারছেন। তিনি আরো জানান, শুধু জেলেরা আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তা নয়, আমরাও ঢাকার মহাজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা দাদন নিয়েছি।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, দশমিনা উপজেলায় ১১ হাজার ১৭১ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। এর মধ্যে ইলিশ ধরায় নিয়োজিত রয়েছেন ৮ হাজার জেলে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহাবুব আলম তালুকদার বলেন, সম্ভবত আবহাওয়াজনিত কারণে নদীতে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়