নির্ধারণ হবে আশুরার তারিখ : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা বসছে আজ

আগের সংবাদ

সংক্রমণ ঠেকানোর কৌশল কী

পরের সংবাদ

ঝালকাঠিতে আট মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত : শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠিতে একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষে দুষ্টামি করায় আট শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করে কক্ষে আটকে রাখায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গত রবিবার সকালে নির্যাতনের শিকার শিশু শিক্ষার্থী মো. আমিরুল ইসলামের বাবা শামিম খলিফা বাদী হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. উল্লাহকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। সদর উপজেলার পোনাবালিয়া গ্রামের কে খান হাফিজিয়া মাদ্রাসায় শনিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ অভিভাবক ও এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মো. উল্লাহকে আটক করে পুলিশে দেন। এ সময় মাদ্রাসা থেকে চার ভিকটিমকে উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, করোনাকালীন সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কে খান হাফিজিয়া মাদ্রাসা চালু রেখে পড়াশোনা চালিয়ে আসছিলেন মাদ্রাসার একমাত্র শিক্ষক মো. উল্লাহ। শনিবার বিকালে তিনি মাদ্রাসায় ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করছিল। তাদের কথার শব্দে ওই শিক্ষকের ঘুম ভেঙে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি কক্ষের দরজা আটকে আট শিক্ষার্থীকে বেদম মারধর করেন। শিক্ষার্থীরা কান্নাকাটি করতে থাকলে তাদের কক্ষের মধ্যে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষক।
মারধরের বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য শিক্ষার্থীদের ভয়ও দেখান তিনি। পরে মো. সিয়াম (৯) নামে এক শিক্ষার্থী কৌশলে পালিয়ে পোনাবালিয়া বাজারে এসে বিষয়টি লোকজনকে জানায়। তার মাদ্রাসা ঘেরাও করে শিক্ষক মো. উল্লাহকে আটক করে পুলিশে দেন।
ঝালকাঠি থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান জানান, শিশু শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের অভিযোগে শিশু আইনে একটি মামলা করেছেন নির্যাতনের শিকার এক ছাত্রের অভিভাবক। আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়