নির্ধারণ হবে আশুরার তারিখ : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা বসছে আজ

আগের সংবাদ

সংক্রমণ ঠেকানোর কৌশল কী

পরের সংবাদ

আদিবাসী দিবস উপলক্ষে ওয়েবিনার : ‘পার্বত্য এলাকায় কার্যকর করতে হবে ভূমি কমিশন’

প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পাহাড়ি জনগোষ্ঠী পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নকে জরুরি মন্তব্য করে আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক সংসদীয় ককাসের আহ্বায়ক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেছেন, শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে ভূমি কমিশন গঠিত হলেও এর কার্যক্রম স্থবির। ফলে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী এখনো ভূমির ওপর তাদের অধিকার অর্জন করতে পারেনি। সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করাও এখন সময়ের দাবি। আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ‘বাংলাদেশের আদিবাসীদের বিপন্ন সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও বিকাশে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য জুয়েল আরেং, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহসভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সদস্য অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, বাংলাদেশ ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ভদ্র ম্রং, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মানবাধিকার নেতা সঞ্জীব দ্রং, নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক সমাজকর্মী কাজী মুকুল প্রমুখ।
ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মাতৃভাষা রক্ষা ও প্রাকপ্রাথমিক স্তরে তা চালুর সিদ্ধান্ত এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতো সমতলের নৃগোষ্ঠীর উন্নয়নের স্বার্থে পৃথক মন্ত্রণালয় একই মন্ত্রণালয়ে যুক্ত করা যেতে পারে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বৈষম্যহীন সমাজ। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে পেছনে ফেলে সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার জনগোষ্ঠীর প্রতি আহ্বান জানাই- আসুন আমরা আমাদের নিজস্ব জাতিসত্তাকে যথাযথভাবে ধারণ করি। তাহলে আমাদের অধিকারগুলো সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।
ঊষাতন তালুকদার বলেন, জাতিসংঘের আদিবাসী কনভেনশন অনুযায়ী, আত্মনিয়ন্ত্রণ, স্বায়ত্তশাসনসহ নিজস্ব ভূমি ও অঞ্চলের ওপর সামগ্রিক ও প্রথাগত অধিকারের স্বীকৃতি রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে প্রথাগত ভূমির অধিকার মানা হচ্ছে না। সংসদে আদিবাসীদের স্বীকৃতির জন্য দাবি উত্থাপন করার আহ্বান জানান সাবেক এ সংসদ সদস্য।
অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল বলেন, বাংলাদেশ বহুজাতি ও বহুভাষীর দেশ। এই বহু জাতি ও ভাষার স্বীকৃতি প্রয়োজন। করোনাকালে নৃগোষ্ঠীর কাছে যেন পর্যাপ্ত পরিমাণ সহায়তা পৌঁছায় এবং তারা যেন করোনার টিকা সময়মতো পায়, সে বিষয়ে নজর রাখা দরকার। পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি কমিশনকে কার্যকর করা দরকার এবং সমতলে নৃগোষ্ঠীর জন্য পৃথক ভূমি কমিশন দরকার।
শাহরিয়ার কবির বলেন, বাংলাদেশে পঞ্চাশের বেশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় ভাষা ও সংস্কৃতি এ দেশের মানচিত্রকে সমৃদ্ধ করেছে। দুর্ভাগ্যের বিষয়- জাত্যাভিমানে আক্রান্ত সরকারি নীতি এবং পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে দেশের এ মূল্যবান সম্পদ আজ অবলুপ্তির পথে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির বর্ণিল স্রোতধারা প্রবহমান রাখা প্রয়োজন। ৯ আগস্ট জাতিসংঘ ঘোষিত আদিবাসী দিবস জাতীয়ভাবে উদযাপনের আহ্বান জানান বক্তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়