নির্ধারণ হবে আশুরার তারিখ : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা বসছে আজ

আগের সংবাদ

সংক্রমণ ঠেকানোর কৌশল কী

পরের সংবাদ

আওয়ামী লীগের ওয়েবিনারে বক্তারা : বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতাই নিশ্চিত করেছে জ্বালানি নিরাপত্তা

প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী রাজনৈতিক চিন্তাধারার কারণেই বাংলাদেশে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। এর ফলেই দেশের মানুষ এখনো স্বল্পমূল্যে জ্বালানি ব্যবহার করতে পারছে। গতকাল সোমবার জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটির উদ্যোগে ও সিআরআইর সহযোগিতায় ‘বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় বঙ্গবন্ধুর অবদান : বর্তমান পরিপ্রেক্ষিত ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক বিশেষ ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ওয়েবিনারে আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এবং উপকমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. সেলিম মাহমুদ, গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী রুখসানা নাজমা ইসহাক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর। সঞ্চালনা করেন উপকমিটির সদস্য প্রকৌশলী মো. রনক আহসান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ভুঁইয়া।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, জ্বালানি শক্তিকে আরো বিকশিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার দেখানো পথ অনুসরণ করে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের যে প্রতিশ্রæতি আমরা নির্বাচনের সময় দিয়েছিলাম তা পূরণ করতে পেরেছি। আমরা এখন কাজ করছি সারাদেশে দ্রুততম সময়ে শতভাগ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করতে। তিনি বলেন, ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মাত্র ৩২শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। তখন বাড়িয়ে মোটামুটি স্বয়ংসম্পূর্ণতার দিকে নিয়ে গিয়েছিলাম। ২০০৯ সালে আমরা পাই তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এখন আবার বিদ্যুতে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। ইচ্ছা থাকলে যে উপায় হয় তা শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশ আজ আলোর পথযাত্রী।
নসরুল হামিদ বলেন, জাতির পিতা ৫টি গ্যাসক্ষেত্র কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলেই আজ দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। বর্তমানে যে উন্নয়ন দেখা যাচ্ছে তা বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্বেই সম্ভব হয়েছে। স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন আমাদের যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে সেগুলোকে পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে টেকসই করে গড়ে তুলতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক নেতৃত্বের প্রতি তিনি নজর দিয়েছিলেন, নজর দিয়েছিলেন স্বনির্ভরতার দিকে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। আবদুস সবুর বলেন, ১৯৭৫ সালে ৯ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৫টি গ্যাসক্ষেত্র (তিতাস, বাখরাবাদ, হবিগঞ্জ, রশিদপুর ও কৈলাশটিলা) নামমাত্র মূল্যে বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে কিনে নিয়েছিলেন যার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল মাত্র ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ড। এর উপর ভিত্তি করেই এখন দাঁড়িয়ে আছে দেশের জ্বালানি খাত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়