জন্মদিন : প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যচিন্তা

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধুর চোখে বঙ্গমাতা

পরের সংবাদ

‘সংগীত একটি গুরুমুখী শিক্ষা’

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দেবলীনা সুর। রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী। শান্তিনিকেতন থেকে রবীন্দ্রসংগীত বিষয়ে পড়াশুনা করে এখন দেশের সংগীতাঙ্গনে কাজ করছেন। কবিগুরুর প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানসহ নানা বিষয় নিয়ে ‘মেলা’র সঙ্গে কথা বলেন এ সংগীতশিল্পী। সাক্ষাৎকার শাকিল মাহমুদ
গতকাল কবিগুরুর প্রয়াণ দিবস গেল, কীভাবে স্মরণ করলেন তাকে?
বাঙালির যেমন ঈদ, পূজা এবং পহেলা বৈশাখ- আমরা যারা রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী তাদের কাছে কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী এবং প্রয়াণ দিবস তেমনই বিশেষ দিন। সারা বছর গানের মধ্য দিয়ে কবিগুরুকে স্মরণ করার তেমন সুযোগ পাই না বলেই এ দুটো দিন বিশেষ গুরুত্ব সহকারে পালন করার চেষ্টা করি। গতবারও করোনার কারণে জন্মজয়ন্তী এবং প্রয়াণ দিবস ঘরে বসেই পালন করেছিলাম। এবারো করোনার প্রকোপ রয়েছে, তবে টিভি চ্যানেলগুলো থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সব কিছু বিবেচনা করে কয়েকটা চ্যানেলের অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। বিশেষ করে বিটিভির একটা অনুষ্ঠানে আমরা রবীন্দ্রসংগীত শিল্পীরা একটা ‘দ্বৈত সংগীত’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কবিগুরুকে স্মরণ করেছি।

অনলাইন কেন্দ্রিক কোনো আয়োজন ছিল?
করোনার প্রথম দিকে অনলাইন অনুষ্ঠান যেভাবে দর্শকরা গ্রহণ করেছে এখন আর সেটার ধারাবাহিকতা নেই। তাছাড়া এবার যেহেতু টিভি চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম সেহেতু অনলাইন কেন্দ্রিক কোনো আয়োজনে নিজেকে যুক্ত করিনি।

একক কোনো গান প্রকাশ করেননি?
প্রতিবারই চেষ্টা করি অন্তত একটা গান প্রকাশ করার। এবার অনুষ্ঠানগুলোতে সময় দেয়ার কারণে সে সুযোগ হয়ে ওঠেনি।

এ দেশে লোকসংগীত বা অন্যান্য ঘরানার সংগীত নিয়ে পড়াশুনার তেমন সুযোগ নেই! এটাকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?
আসলে এগুলো তো গুরুমুখী শিক্ষা। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভের সুযোগ থাকলেও আপনাকে একজন গুরুর কাছে তালিম নিয়ে নিজেকে তৈরি করতে হবে। আমিও যখন পড়াশুনা করেছি তখন গুরু খুঁজে তার পায়ে ধরে তালিম দেয়ার জন্য অনুরোধ করতে হয়েছিল। ভাগ্য ভালো ছিল বলে গুরুর সন্ধান পেয়েছিলাম। কারণ তারা নিজেরাই চর্চায় থাকেন। ফলে অন্যকে শেখানোর সুযোগটা কম পান। সুতরাং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার চেয়ে জরুরি হল গুরু খোঁজা। সেটা রবীন্দ্রসংগীত বলুন, নজরুল গীতি বলুন কিংবা লোকসংগীত বা অন্যান্য ঘরানা।

গানের বাইরে ব্যক্তি দেবলীনার কথা বলুন
আসলে আমি খুব সংসারী মানুষ। নিজে চারপাশটা পরিপাটি দেখতে পছন্দ করি। করোনার ফলে ঘর থেকে বের হওয়া সুযোগ ছিল না। ফলে সে সময়ে অনলাইন ক্লাস নেয়া শুরু করি।
দেশি-বিদেশি অনেকেই রবীন্দ্রসংগীত শিখছে। এখন কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় অনুষ্ঠান নিয়েও ব্যস্ত।

আজকের প্রজন্মের মধ্যে রবীন্দ্র সংগীতের প্রতি ভালোবাসা কেমন দেখছেন?
অনেকে রবীন্দ্র সংগীতকে ভালোবেসে গাইছেন। তবে গাইলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শুদ্ধ চর্চাটা হচ্ছে না। যা সন্তোষজনক নয়। তবে কেউ কেউ ভালো করছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়