চাঁদাবাজির মামলা ৪ দিনের রিমান্ডে দর্জি মনির

আগের সংবাদ

বন্যার পদধ্বনি : পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে

পরের সংবাদ

সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথন সেপ্টেম্বরে : লক্ষ্য বাস্তবধর্মী ৬টি সমস্যার সমাধান খোঁজা

প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৬, ২০২১ , ১:২৬ পূর্বাহ্ণ

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, যুক্তরাষ্ট্র : ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় বাস্তবধর্মী ৬টি সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্য নিয়ে তথ্য-প্রযুক্তিবিদদের সংগঠন সিটিও ফোরাম আয়োজন করছে ‘সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথন ২০২১’। নিবন্ধন প্রক্রিয়া ১ আগস্ট শুরু হয়ে চলবে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত। যে কোনো বয়সি বাংলাদেশি নাগরিক সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের ওয়েবসাইট ‘ctoforumbd.org’ থেকে নিবন্ধন করতে পারবেন। সিটিও ফোরামের সঙ্গে এই আয়োজনে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের ২টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথোরিটি এবং অ্যাস্পায়ার টু ইনোভেট বা এটুআই।
‘ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব, সুস্বাস্থ্য, গুণগত শিক্ষা, ই-কমার্স, এমার্জিং টেকনোলোজি, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স, অনলাইন সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশন’- এমন ৬টি চ্যালেঞ্জ ও ৩টি সাব চ্যালেঞ্জ নিয়ে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় পর্যায়ের ভার্চুয়াল ইনোভেশন হ্যাকাথন। তিন রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে এই প্রতিযোগিতা। ধারণা উপস্থাপনের পর ১৮ সেপ্টেম্বর জমা দিতে হবে উদ্ভাবনার প্রোটোটাইপ। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে নির্বাচিত করা হবে সেরা উদ্ভাবন। অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় আর্থিক পুরস্কার ও একই সঙ্গে দেশের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিতে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ।
ট্রান্সফরমেশন, অ্যাম্পাওয়ারমেন্ট, ইমপ্লয়মেন্ট সেøাগানে শুরু হওয়া এ ভার্চুয়াল হ্যাকাথনের নিবন্ধন প্রক্রিয়ার শুরুর ঘোষণা দেয়া হয়েছে ৫ আগস্ট এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে। ভার্চুয়াল সম্মেলনে অংশ নিয়ে সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার বাংলাদেশ গোল্ডেন ডিভিডেন্ট যুগে রয়েছে- মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, এই তরুণদের যদি সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে তাদের এসব ইনোভেটিভ আইডিয়াকে সঠিক নার্সিং করা যায় তবেই হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ। তাই দেরি না করে নিজেদের আইডিয়াগুলোকে সামনে নিয়ে আসতে এবং এসব আইডিয়ার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে এই ইনোভেশন হ্যাকাথনে অংশগ্রহণ করার জন্য বলেন।
তিনি বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথোরিটি এবং অ্যাস্পায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) সরকারের এই দুই প্রতিষ্ঠানকে আয়োজনের অংশীদার হওয়ায় একই সঙ্গে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে যুক্ত হওয়ায় একাত্তর টিভি ও দৈনিক ভোরের কাগজকে ধন্যবাদ জানান। ইনোভেশন হ্যাকাথনের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সৈয়দ আখতার হোসেন পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে হ্যাকাথনের সার্বিক দিকগুলো তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথোরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আইসিটি ডিভিশনের অতিরিক্ত সচিব ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে ডিজিটাল হাবে পরিণত করতে এই ইনোভেশন হ্যাকাথন একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। তিনি ইনোভেশন হ্যাকাথনের পার্টনার হিসেবে হাইটেক পার্ক থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়ার কথা বলেন।
ইনোভেশন হ্যাকাথনের মিডিয়া পার্টনার ভোরের কাগজের প্রধান সম্পাদক শ্যামল দত্ত সুদূর আমেরিকার সিলিকন ভ্যালির এক আইটি রোডশো থেকে যোগদান করেন এবং সেখানকার টেকনোলোজিগুলোকে এডাপ্ট করার জন্য এই ইনোভেশন হ্যাকাথনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
আরেক মিডিয়া পার্টনার একাত্তর টিভির সম্পাদক ও এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু সংযুক্ত হয়ে উদ্যোক্তা তৈরি করতে উদ্ভাবনকে গুরুত্ব দেয়ার কথা বলেন।
এটুআইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ও সিটিও ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আরফে এলাহী মানিক তার বক্তব্যে সরকারের প্রায় দুই হাজারের অধিক সেবাকে

ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসতে ইনোভেশন প্রক্রিয়ার আবশ্যিকতা তুলে ধরেন এবং সেই কারণে এই ইনোভেশন হ্যাকাথনে সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের এটুআই প্রকল্পের যোগবন্ধনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি সিটিও ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এই ইনোভেশন হ্যাকাথনে নিবন্ধন করে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জুমের মাধ্যমে সিটিও ফোরামের কার্যনির্বাহী ও অন্যান্য সদস্যসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশ নেন। সিটিও ফোরামের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ভার্চুয়াল সম্মেলন সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়