চাঁদাবাজির মামলা ৪ দিনের রিমান্ডে দর্জি মনির

আগের সংবাদ

বন্যার পদধ্বনি : পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে

পরের সংবাদ

এবার পাবনায় টিকা না দিয়েই সিরিঞ্জ পুশের অভিযোগ!

প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পাবনা প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের পর এবার পাবনায় করোনা টিকা না দিয়ে শরীরে সিরিঞ্জ পুশের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি জানাজানির পর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল টিকা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনার প্রায় ৬ ঘণ্টা পরও বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
অভিযোগে জানা গেছে, ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের এমবিবিএস শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ও স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজার এডভোকেট মো. আব্দুল হান্নানের মেয়ে সাবাহ মারিয়ম অন্তিকা করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার জন্য বুধবার সকালে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রে গিয়ে লাইনে দাঁড়ান। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে টিকা দেয়ার জন্য নির্ধারিত স্থানে বসানো হয়। এরপর টিকা ছাড়াই খালি সিরিঞ্জ তার শরীরে পুশ করা হয় বলে অভিযোগ।
মেডিকেল শিক্ষার্থী সাবাহ মারিয়ম অন্তিকার বাবা এডভোকেট আব্দুল হান্নান অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে নম্র ও শান্ত স্বভাবের। টিকা কেন্দ্রে কাউকে কিছু না বলে বাসায় এসে মোবাইল দিয়ে আমার কাছে কান্না শুরু করে। আমি জানতে চাইলে সে বলে, টিকা ছাড়াই তার শরীরে সিরিঞ্জ পুশ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের বিচার দাবি করছি। প্রয়োজনে আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
টিকা কেন্দ্রে কোন নার্স দায়িত্বে ছিলেন এ তথ্য জানতে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা জানার চেষ্টা করছি, ঘটনাটি কী ঘটেছিল। এ মুুহূর্তে বলতে পারছি না কোন নার্স শরীরে শূন্য সিরিঞ্জ পুশ করেছিলেন। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হবে।
এ বিষয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. কে এম আবু জাফর বলেন, দুপুর ৩টা পর্যন্ত আমি হাসপাতালেই ছিলাম। এ ধরনের কোনো ঘটনা আমার কানে আসেনি বা আমাকে কেউ জানায়নি। এইমাত্র আপনার মুখেই জানতে পারলাম। তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে এবং প্রমাণিত হলে অবশ্যই দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। তবে আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আপনার কাছ থেকে জানলাম। খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।
জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। আমি বিষয়টি জ্ঞাত নই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়