ডিএনসিসি মেয়র আতিক : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন করতে পারছি না

আগের সংবাদ

বেহাল রেলের মেগা প্রকল্প : খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের কাজ কবে শেষ হবে কেউ জানে না

পরের সংবাদ

সরকারি সহযোগিতা দাবি : হাতিয়ায় ভাঙন রোধে নদীশাসন ও তীর সংরক্ষণ বাঁধ দৃশ্যমান

প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. ফিরোজ উদ্দিন, হাতিয়া (নোয়াখালী) থেকে : মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙন রোধে স্বেচ্ছাশ্রম ও অর্থায়নে নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ শুরু করেছেন হাতিয়াবাসী। প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়েছে ৭০০ মিটার এলাকায়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় চার কোটি টাকা। ভাঙন রোধে স্বেচ্ছাশ্রমে নদীশাসন ও তীর সংরক্ষণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পাশাপশি সরকারের সহযোগিতা দাবি করেছেন হাতিয়াবাসী।
জানা গেছে, গত বছর নদীভাঙন ৩০০ মিটার এলাকায় পরীক্ষামূলক জিও ব্যাগ ফেলে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাতে ভাঙন রোধ হওয়ায় বিষয়টি আশা জাগায় স্থানীয়দের মাঝে। নদী ভাঙনের শিকার স্থানীয় আফাজিয়া বাজার ব্যবসায়ীরা ভাঙন রোধে কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। পরে হাতিয়া নদীশাসন ও তীর সংরক্ষণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নামে একটি সংগঠন এ কাজের উদ্যোগ নেয়। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এগিয়ে আসে পল্লী চিকিৎসক, পরিবহন মালিক-শ্রমিক, প্রবাসী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বাজার বণিক সমিতিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
হাতিয়া নদীশাসন ও তীর সংরক্ষণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মুহিন জনান, হাতিয়া নদীশাসন ও তীর সংরক্ষণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ব্যানারে প্রাথমিকভাবে নলচিরাঘাটের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে ৭০০ মিটার ভাঙন রোধে কাজ শুরু হয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত ৫৮ হাজার ব্যাগের মধ্যে গত মাস থেকে শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত ৪২ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। দৃশ্যমান হয়েছে ৪০০ মিটার। এ কাজ সফল হলে বয়ারচরের চেয়ারম্যান ঘাট, নলেচরের জনতাঘাট ভাঙনকবলিত এলাকায়ও কাজ করবে কমিটি। স্থানীয়দের দাবি, আপাতত ভাঙন রোধ হলেও সরকারি উদ্যোগ ও টেকসই ব্লক বাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী জামিল আহম্মেদ পাটোয়ারী বলেন, হাতিয়া নদীশাসন ও তীর সংরক্ষণ কমিটির লোকজন আমাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। এখানে সবচেয়ে ভালো দিক হলো, পানির গভীরতা অনেকটা কমে গেছে। তাতে জিও ব্যাগ ফেলে সুফল পাওয়া যেতে পারে। আমরা নকশা ঠিক করে দিয়েছি। আমাদের একজন প্রতিনিধি সার্বক্ষণিক কাজের তদারকি করছেন। বাজেট না থাকায় আমরা কাজটি করতে পারছি না। তারা নিজ অর্থায়নে কাজ করছে। তাদের এ কাজকে সাধুবাদ জানাই।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর থেকে অব্যাহত ভাঙনে হাতিয়ার তিনটি ইউনিয়ন সম্পূর্ণভাবে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায়। এছাড়া বর্তমানে হাতিয়ার উত্তর পাশে সুখচর, নলচিরা ও চানন্দী ইউনিয়নের বৃহৎ অংশ নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায়। নদীভাঙন এ দ্বীপের সবচেয় বড় সমস্যা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়