ডিএনসিসি মেয়র আতিক : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন করতে পারছি না

আগের সংবাদ

বেহাল রেলের মেগা প্রকল্প : খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের কাজ কবে শেষ হবে কেউ জানে না

পরের সংবাদ

মশক নিধন : চসিকের বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু আজ

প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের গবেষণালব্ধ পদ্ধতিতে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে আজ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মাসব্যাপী বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম। প্রতিদিন ৪টি ওয়ার্ডে ১০ দিন মশার ওষুধ ছিটানোর পর পুনঃকার্যক্রম পরিচালিত হবে। অর্থাৎ প্রতিটি ওয়ার্ডে এক মাসে তিনবার ওষুধ ছিটানো হবে। এভাবে মাসব্যাপী কার্যক্রমে ১০০ জন জনবল সম্পৃক্ত থাকবে। একই সঙ্গে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম চলবে। মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য অত্যাধুনিক মেশিন সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কার্যক্রমের সঙ্গে সচেতনতা বাড়াতে ১ হাজার ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রতি ওয়ার্ডে ২৫ জন স্প্রেম্যান ওষুধ ছিটাবেন।
গতকাল মঙ্গলবার চসিকের সম্মেলন কক্ষে মশক নিধনে ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) গবেষক দলের প্রতিবেদন হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, মশক নিধনে ব্যবহৃত ওষুধের কার্যকারিতা নিরূপণ ও প্রয়োগ পদ্ধতির ভিন্নতা নির্ধারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের গবেষণা নতুন ইতিবাচক মাত্রা যুক্ত করেছে। \
এ ধরনের বিশেষজ্ঞ প্রতিবেদন সারাদেশে মশক নিধনে দিকনির্দেশনামূলক উপায় অন্বেষণের পথ দেখিয়েছে। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, মশক নিধনে চবিকে দেয়া দায়িত্বটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জের এবং গর্বেরও। তিনি জানান, প্রতিবেদন তৈরিতে বিশেষজ্ঞ টিম ৯৯টি এলাকা পরিদর্শন করেন। এর মধ্যে ৫৭টি স্পট থেকে লার্ভা সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত লার্ভার মধ্যে ১৫টি স্পটে শতভাগই ছিল এডিস মশার লার্ভা।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, প্রাকৃতিকভাবে মশা প্রজনন প্রতিরোধ সম্ভব। এক ধরনের মাছ লার্ভা খেয়ে বিনাশ করে। এছাড়া পুদিনা পাতা, লেবু পাতা, তুলসী পাতা, নিমপাতা, তেজপাতার ঘ্রাণ মশা প্রজনন প্রতিরোধ করে। চবি উপাচার্য সুপারিশ করেন, সিটি করপোরেশনের যেসব আইল্যান্ড আছে- সেখানে এ ধরনের উদ্ভিদের চারা রোপণ করা হলে মশা নিধন অনেকটা সহজ হবে।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে, চসিক প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মো. মোবারক আলী, শৈবাল দাশ সুমন, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, চবি গবেষণা টিমের আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক রবিউল হাসান, ড. মো. ওমর ফারুক, ড. তাপসী বোস, ড. এইচ.এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম প্রমুখ। চবি গবেষণা টিমের আহবায়ক অধ্যাপক রবিউল হাসান প্রতিবেদনটি প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রেজেন্টেশন করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়