ডিএনসিসি মেয়র আতিক : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন করতে পারছি না

আগের সংবাদ

বেহাল রেলের মেগা প্রকল্প : খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের কাজ কবে শেষ হবে কেউ জানে না

পরের সংবাদ

উপমন্ত্রীর এপিএস পরিচয়ে প্রতারণা যুবক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : নিজেকে পরিচয় দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ‘এপিএস’ হিসেবে। কখনো প্রতিশ্রæতি দেন বিদেশে চাকরি পাইয়ে দেয়ার। আবার কখনো ‘কন্ট্রাক্ট’ নেন আসামিকে জামিনে মুক্ত করার। এভাবেই উপমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে বিভিন্নজনের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন টাকা। এছাড়া অন্যজনের পাসপোর্ট-পরিচয় ব্যবহার করেও প্রতারণা করেছেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি প্রতারক মো. শিহাব উদ্দিন সিদ্দিকী ওরফে রিহান শিহাবের। গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শিক্ষা উপমন্ত্রীর এপিএস পরিচয় দিয়ে তাসলিমা সাখাওয়াত নামে এক নারীর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নেন শিহাব। কথা ছিল, এই টাকার বিনিময়ে তিনি তাসলিমার কারাবন্দি স্বামীকে জামিনে মুক্ত করবেন। কিন্তু এই টাকা আত্মসাৎ করেন শিহাব। এ অবস্থায় শিহাবের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন তাসলিমা। এছাড়া সাইফুল ইসলাম নয়ন নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গেও প্রতারণা করেন শিহাব। কাতারে চাকরি দেয়ার নামে ২০১৮ সালে তিনি নয়নের পাসপোর্টের ফটোকপি নেন। কিন্তু চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে না পারায় তাদের দু’জনের মধ্যে সম্পর্কের পতন ঘটে। কিন্তু শিহাবের কাছে থাকা সেই পাসপোর্টের ফটোকপি দিয়ে চলে প্রতারণা। নয়নের দেয়া সেই পাসপোর্টের কপি ব্যবহার করে নগরের বিভিন্ন হোটেলে থেকে-খেয়ে বিল পরিশোধ না করে পালিয়ে যেত শিহাব। নয়নের কাছে কখনো ফোন আসতে থাকে স্টেশন রোডের মোটেল সৈকত থেকে, আবার কখনো পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু থেকে। সবাই নয়নের কাছ থেকে হোটেলে থাকা-খাওয়ার বিলের বকেয়া টাকা দাবি করেন। পরে নয়ন জানতে পারেন তার পাসপোর্টের ফটোকপি দিয়েই গত ২৮ জুলাই রেডিসনে রুম বুকিং নেন শিহাব। একদিন সেখানে অবস্থান করেন ‘নয়ন’ নামে। এ কারণে নয়নের নামে আসে ২৫ হাজার টাকার বিল! এর আগে মোটেল সৈকতেও অভিন্ন প্রতারণা করেন শিহাব। সেখান থেকে ১১ হাজার টাকার বিল আসে নয়নের নামে।
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. নেজাম উদ্দিন বলেন, শিহাব ভয়ংকর প্রকৃতির প্রতারক। সে একেক সময় একেক জনের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা করে। বিভিন্ন কৌশলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল শিহাব। এর আগেও তাকে একবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু জেল থেকে বেরিয়ে সে আবারো প্রতারণায় জড়িয়ে পড়ে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়