জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালের মেয়াদ বাড়ল

আগের সংবাদ

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে প্রধানমন্ত্রী : কেউ গৃহহীন থাকবে না

পরের সংবাদ

মধুমতির ভাঙনে বিপাকে দুই পারের মানুষ

প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

তাজউদ্দিন আহম্মেদ পিকিং, মোল্লাহাাট (বাগেরহাট) থেকে : মধুমতি নদীর ভাঙনে চরম বিপাকে পড়েছে নদীকূলবর্তী পরিবারগুলো। শত বছরের পুরনো হাটবাজার, সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা, নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, উপজেলা সদরের মার্কেটগুলো রয়েছে ভাঙন ঝুঁকিতে।
ভাঙন কবলিত এলাকা ঘুরে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা সদরের খরস্রোতা মধুমতি নদীর কূল ঘেঁষে প্রায় ২ কি.মি. জায়গায় ভাদ্র ও আশ্বিন মাসের বড় ভাঙন এবং বছরের সব সময় একটু একটু করে ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হতে থাকে। এতে করে নদীর কূলবর্তী পরিবারগুলো চরম বিপাকে পড়ে যায়। সহায় সম্বল না থাকায় ভাঙন কবলিত দরিদ্র মানুষগুলো ছিন্নমূলে পরিণত হয়। উদয়পুর গোহাট থেকে গিরীশনগর বটতলা পর্যন্ত নদী তীরের এ এলাকা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে বিআইডব্লিউর টাইডাল গেজ থেকে মোল্লাহাট থানার সামনে অবস্থিত খুলনা ওয়াশার পানি শোধনাগার পর্যন্ত বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার নিকটবর্তী অবস্থানে রয়েছে উপজেলা পরিষদ ভবন, নবনির্মিত মোল্লাহাট মডেল থানা ভবন, আবুল খায়ের সেতু, পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস, শহীদ হেমায়েত উদ্দিন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, পাঁচটি জামে মসজিদ, ১টি বড় মাদ্রাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাড়ফা বাজার খাদ্যগুদাম, জেলা পরিষদ ডাকবাংলো, সদর ডাকঘর, নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, সোনালী ব্যাংক, উপজেলা সদরের প্রধান হাট/বাজার চান্দিনাসহ প্রায় ১০টি মার্কেট এবং সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন নানা স্থাপনা ও বাড়িঘর। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীনের কাছে এলাকাবাসীর দাবি, অতিসত্তর পানি উন্নয়ন বোর্ডের অগ্রাধিকার ভিত্তিক নদী শাসন প্রকল্পের মাধ্যমে মধুমতি নদীর করাল গ্রাস থেকে তাদের রক্ষা করার জন্য।
এ ব্যাপারে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী কৃষ্ণেন্দু বিকাশ সরকার জানান, বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ৩৬/১ পোল্ডারের তিনটি ভাঙন কবলিত এলাকা সার্ভে করে পাঠানো তিনটি প্রকল্পের ৩ হাজার ৪০০ মিটার কাজের ডিজাইন ইতোমধ্যে আমরা পেয়েছি। পশুর নদীর ডিজাইনটা পেলে একসঙ্গে দুটো প্রকল্প প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে। সেখানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সভা শেষে, ডিপিবি প্রকল্প প্রস্তাব আকারে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য যাবে। অনমোদন পেলেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার নদী পাড় স্থায়ী ব্লক ডাম্পিং, প্লেসিং ও জিও ব্যাগের মাধ্যমে যতদ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করা হবে। আপাতত অস্থায়ীভাবে জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙনরোধের একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, আশা করছি শিগগিরই কাজ শুরু হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়