জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালের মেয়াদ বাড়ল

আগের সংবাদ

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে প্রধানমন্ত্রী : কেউ গৃহহীন থাকবে না

পরের সংবাদ

ফরিদগঞ্জের কাঁশারা সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসা : তিন পদে নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আমান উল্যা আমান, ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) থেকে : ফরিদগঞ্জ কাঁশারা সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৩টি পদে নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতিসহ ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠছে। এ ব্যাপারে শনিবার নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, চাঁদপুর জেলা প্রশাসক, ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগপত্র দেন মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মো. বিল্লাল হোসেন।
অভিযোগকারী বিল্লাল হোসেন বলেন, মাদ্রাসার সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম পাটোয়ারী কমিটির অন্য সদস্যদের তোয়াক্কা না করে নিয়মবহির্ভূতভাবে ইন্টারভিউ বোর্ড গঠন করেন। মাওলানা মো. মোশারফ হোসেন নবম গ্রেডের একজন শিক্ষক, কিন্তু তিনি অন্য উপজেলার নবম গ্রেডের একজন আরবি শিক্ষক হয়ে কীভাবে সপ্তম গ্রেডের একজন সুপারকে ইন্টারভিউ নেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়। ওই দিন জুমার নামাজের দোহাই দিয়ে তড়িঘড়ি করে ৩৫-৪০ মিনিটের মধ্যেই পরীক্ষা শেষ করে ফলাফল জানিয়ে দেন। এতে উপযুক্ত কয়েকজন প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও সাহাপুর দাখিল মাদ্রাসার সহসুপার মাওলানা শাহ আলমকে সুপার, মাদ্রাসার সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম পাটোয়ারীর স্ত্রী ফারজানাকে আয়া এবং সভাপতি শহিদুল ইসলামের অন্য একজন আপন লোক সালমান পাটোয়ারীকে পিয়ন পদে নিয়োগে নির্বাচিত করা হয়।
কাসারা সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আ. করিম বলেন, এখানে অনিয়মের কিছুই হয়নি, যা কিছু করা হয়েছে নিয়োগ বোর্ডের সিদ্ধান্তেই করা হয়েছে। সুপার শাহ আলম চাকরি পাইতে ৮ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেন করেছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি তা বলতে পারব না।
নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা শাহ আলম বলেন, সবকিছুর বিষয়ে নিয়োগ বোর্ড জানে। তিনি স্বীকার করে বলেন, তিনি এখনো সাহাপুর দাখিল মাদ্রাসার সহসুপার এবং তিনি কাঁসারা সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসায় যোগদান করে দুই প্রতিষ্ঠানেরই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে সভাপতি শহিদুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, নিয়ম মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি রাজনৈতিক রোষানলের শিকার। তিনি আগামীতে একজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থী। তাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্যই এমন অভিযোগ তুলেছেন বলে তিনি জানান। এদিকে ইন্টারভিউ বোর্ডে অন্য উপজেলার শিক্ষক নিম্ন কোডধারী মাওলানা মোশাররফ হোসেনকে রাখার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আলী আশ্রাফি রেজাকে বক্তব্য নেয়ার জন্য একাধিকবার ফোন দিয়েও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, মাদ্রাসা বোর্ড এসব দায়িত্বগুলো জেলা শিক্ষা অফিসারের হাত থেকে নিয়ে নিয়েছেন। এ বিষয় উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে জানতে পারেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়