জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালের মেয়াদ বাড়ল

আগের সংবাদ

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে প্রধানমন্ত্রী : কেউ গৃহহীন থাকবে না

পরের সংবাদ

নওগাঁর রাণীনগর : দখল হতে হতে সরকারি পুকুরটি এখন ডোবা!

প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : রাণীনগর উপজেলার চামটা নন্দীভিটাপাড়া গ্রামে একটি সরকারি খাস পুকুরে মাটি কেটে ভরাট করে প্রায় ৮ শতাংশ খাসের জায়গা দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ৮১ শতাংশ ওই খাস পুকুরটি দিনে দিনে দখল হতে হতে বর্তমানে ছোট একটি ডোবায় পরিণত হয়েছে। আর সরকারি খাসের পুকুরটি অবৈধভাবে অন্যের দখলে গেলেও নীরব ভূমিকায় রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। দ্রুত দখল হওয়া খাস পুকুরের জায়গাটি দখল মুক্ত করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
জানা গেছে, উপজেলার বড়গাছা ইউনিয়নের চামটা নন্দীভিটা পাড়া গ্রামে ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত ১৩৫৭ দাগে ৮১ শতাংশ একটি খাস পুকুর রয়েছে। পুকুরটি সরকারিভাবে লিজ দেয়া হয়। এতে করে লিজের মাধ্যমে রাজস্ব পায় সরকার। হঠাৎ করে প্রায় ১ মাস আগে নন্দীভিটা পাড়া গ্রামের রমজান আলীর ছেলে ওসমান আলী সাকিদার তার নিজস্ব কিছু ও খাসের কিছু জায়গা থেকে এক্সকেভেটার (ভেকু) মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ওই পুকুরের মধ্যে ভরাট করে পুকুরের মধ্যে স্থলের প্রায় ৮ শতাংশ জায়গা অবৈধভাবে দখলে নেয়। এরপর অবৈধভাবে দখলে নেয়া ওই খাসের জায়গার ধারে কিছু গাছও রোপণ করে।
গত কয়েকদিন আগে দখলকৃত ওই জায়গার পাশ দিয়ে বেড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে মারপিটের ঘটনাও ঘটেছে। ওই পুকুরের জায়গা দখলে করাকে কেন্দ্র স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা বিজার করছে। আর বিষয়টি জানার পরেও নীরব ভূমিকায় রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয়রা বলছেন, ৮১ শতাংশ পুকুরটি সরকারিভাবে লিজ দেয়া হতো। অনেকেই লিজ নিয়ে পুকুরে মাছ চাষ করেছেন। কিন্তু হঠাৎ করে ওসমান আলী সরকারি খাস পুকুরের মধ্যে দিয়ে মাটি কেটে ভরাট করে প্রায় ৮ শতাংশ পুকুরের মধ্যে স্থলের জায়গা অবৈধভাবে দখলে নিয়েছে। এছাড়া পুকুরের আশপাশের বসবাসরত লোকজন ওই খাস পুকুরের বেশ কিছু জায়গা দখল করেছে।
এতে করে বর্তমানে খাস পুকুরটি ছোট একটি ডোবায় পরিণত হয়েছে। ফলে রাজস্ব হারাতে বসেছে সরকার। দ্রুত অবৈধভাবে দখলে নেয়া পুকুরটি দখল মুক্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।
এ ব্যাপারে খাস পুকুরের জায়গা দখলকারী ওসমান আলী সাকিদার বলেন, সবাই দখল করছে দেখে আমিও পুকুরে মাটি কেটে ভরাট করে দখলে নিয়েছি। সরকার যদি সবার খাস জায়গা ফেরত নেয় আমিও দিয়ে দেবো।
রাণীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি জানার পর স্থানীয় তহশিলদারকে পাঠিয়েছি। তিনি এখনো কোনো প্রতিবেদন আমাকে দেননি, তবে খাস পুকুরের জায়গা দখলে নেয়ার বিয়ষটি নিশ্চিত হয়েছি। আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী দ্রুত ওই খাস পুকুরের জায়গা দখল মুক্ত করাসহ দখলকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়