হেফাজতের সহিংসতা : এজাহারনামীয় এক আসামি গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

বোল্টের সিংহাসনে বসলেন জ্যাকবস

পরের সংবাদ

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া আজ অনুশীলনে নামছে

প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জিম্বাবুয়ে থেকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে পৌঁছায়। এরপর দুই দলেরই তিন দিনের হোটেল কোয়ারেন্টাইন শুরু হয় রাজধানীতে। গতকাল দুদলের খেলোয়াড় ও স্টাফদের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় মিলেছে সুখবর, সবার রেজাল্টই নেগেটিভ। তাই পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজকে সামনে রেখে আজ অনুশীলনে নামবে দুদল। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো সুযোগ দেখছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক, জাতীয় নির্বাচক ও সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন এবং সাবেক স্পিনার ও নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মেডিকেল বিভাগ থেকে কোভিড-১৯ নেগেটিভের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে গণমাধ্যমকে। দুই দলের ক্রিকেটার, কোচিং ও সাপোর্টিং স্টাফদের প্রথম কোভিড পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। তাই আজ দুদলের খেলোয়াড়দের সামনেই নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ার সুযোগ। এ লক্ষ্যে আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে প্রস্তুতি নেবে বাংলাদেশ দল। বিকাল ৪টায় মাঠে নামবে অতিথি দল। কৃত্রিম আলোয় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অনুশীলন চালাবেন ম্যাথু ওয়েড ও মিচেল স্টার্করা।
মূল লড়াইয়ের আগে আরো একদিন অনুশীলনের সুযোগ পাবেন ক্রিকেটাররা। সোমবার বাংলাদেশ দল অনুশীলন করবে বিকালে আর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা সকালে। এরপর দিন পাঁচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে মাহমুদউল্লাহ বাহিনী ও অস্ট্রেলিয়া। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দুদলের ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। একই সময়ে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ ৪ আগস্ট। ৬ আগস্ট মাঠে গড়াবে তৃতীয় ম্যাচটি। সব খেলাই অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। চতুর্থ ম্যাচ ৭ আগস্ট। আর শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৯ আগস্ট। এই সিরিজে থাকছেন না ডেভিড ওয়ার্নার কিংবা স্টিভেন স্মিথরা। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জিতে নেয়ার মোক্ষম সুযোগ এটি বাংলাদেশের জন্য। টাইগাররা কি পারবেন সফরকারীদের হারের লজ্জা দিতে। সিরিজটি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটাও দারুণই হবে সাকিব আল হাসানদের।
ঘরের মাঠে অজিদের বধ সম্পর্কে মুমিনুল হক জানান,জিততে হলে আমাদের দেখাতে হবে দলগত পারফরম্যান্স। এটার বিকল্প নেই। মিরপুরের উইকেট বরাবরের মতো থাকলে বাংলাদেশ ৪-১ ব্যবধানেও জিততে পারে বলে মনে করেন মুমিনুল।
সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক হাবিবুল বাশার অস্ট্রেলিয়া বধ সম্পর্কে বলেন,অস্ট্রেলিয়াকে আমরা টি-টোয়েন্টিতে কখনও হারাতে পারিনি। এবার হারাতে চাই। শুধু সিরিজ জয়ের জন্যই নয়, জিততে চাই সামনের বিশ্বকাপের দিকে তাকিয়েও। অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলে আমাদের আত্মবিশ্বাসের জন্য দারুণ হবে। আমি মনে করি আমাদের সিরিজ জয় করা উচিত। সেটা ৩-২ ব্যবধান হোক, সমস্যা নেই। সিরিজ জিততে চাই।
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার এই সিরিজে থাকছে না মাঠে দর্শক প্রবেশের অনুমতি। করোনাকাল বিধায় সবাইকে খেলা উপভোগ করতে হবে টিভির পর্দায়। অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরের সবকটি টি-টোয়েন্টি দেখাবে বাংলাদেশের দুটো চ্যানেল, দেশের প্রথম ক্রীড়াভিত্তিক টিভি চ্যানেল টি-স্পোর্টস আর গাজী টিভি। তবে টেলিভিশনে না দেখতে পারলে ইউটিউবেও দেখতে পাবেন দর্শকরা। র?্যাবিটহোল বিডির চ্যানেলে দেখা যাবে ম্যাচগুলো। তাদের ওয়েবসাইটেও দেখা মিলবে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের এই টি-টোয়েন্টি দ্বৈরথের।
এই সফরে ইতিহাসের সেরা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের শর্তানুযায়ী হোটেলটি রাখা হয়েছে একেবারে বিচ্ছিন্ন। অজিরা জিমও ব্যবহার করবেন এককভাবে। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা জিমের সুযোগ পাবে না। সবকিছু মিলিয়ে তাদের প্রত্যাশার বেশি সুযোগ দিচ্ছে বিসিবি।
এ সম্পর্কে বিসিবির নির্বাহী পরিচালক নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘এখন যে পরিস্থিতি, স্ট্যান্ডার্ড বায়োবাবল প্রটোকল আছে। এই প্রটোকলের বাইরে অস্ট্রেলিয়া দল বাড়তি কিছু চাহিদার কথা জানিয়েছে, আমরা সেগুলো পূরণের চেষ্টা করেছি।

এর বাইরে কিন্তু তেমন কিছু না। বিষয়টাকে বেশি অতিরঞ্জিত করে দেখার সুযোগ নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটাই নিউ নরমাল এবং আমাদের এভাবেই ইভেন্টগুলো আয়োজন করতে হবে।’
এর আগে জিম্বাবুয়ে থেকে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল ২৯ জুলাই দেশে ফিরে। ডমিস্টিক ফ্লাইটে করে দুই ঘণ্টায় এসে পৌঁছায় দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ। সেখানে ৪ ঘণ্টার বিরতি পর কাতার এয়ারওয়েজে করে দোহার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে টাইগাররা। ঘণ্টার বিরতি শেষে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে সকাল ৯টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখে বাংলাদেশ দল। জিম্বাবুয়ে সফরে একটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। সবগুলো সিরিজেই জয়ী হয় বাংলাদেশ। তিন ফরম্যাট মিলে মোট সাত ম্যাচের মধ্যে ৬টিতেই জয়ী হয় টাইগাররা।
জিম্বাবুয়েতে স্বাগতিক দেশকে তিন ফরম্যাটে হারায় বাংলাদেশ। একমাত্র টেস্টে ২২০ রানে বড় জয়ের পর ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে তামিম ইকবাল বাহিনী। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা জিতে ২-১ ব্যবধানে। অন্যদিকে বাংলাদেশে আসার আগে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল সিরিজ খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে। উইন্ডিজ সফরে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে বাজেভাবে হারে স্টিভেন স্মিথ-ডেভিড ওয়ার্নারবিহীন দল। স্বাগতিকরা জেতে ৪-১ ব্যবধানে। এরপর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে অস্ট্রেলিয়া জয় পায় ২-১ ব্যবধানে।
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার এই সিরিজে ধারাভাষ্য দেবেন মোট পাঁচ জন। ৩ জন বাংলাদেশি ধারাভাষ্যকারের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন ২ জন বিদেশিও। বাংলাদেশি ধারাভাষ্যকার হিসেবে থাকছেন আতহার আলী খান, আর শামীম আশরাফ চৌধুরী তো আছেনই। তাদের সঙ্গে থাকবেন মাজহার উদ্দিন অমিও। বিদেশি ধারাভাষ্যকার হিসেবে ভারতের আনজুম চোপরা ও শ্রীলঙ্কার ফারভেজ মাহারুফ দায়িত্ব পালন করবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়