হেফাজতের সহিংসতা : এজাহারনামীয় এক আসামি গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

বোল্টের সিংহাসনে বসলেন জ্যাকবস

পরের সংবাদ

প্রেমিককে রক্ষায় নিরীহ শ্রমিককে ফাঁসানোর চেষ্টা : প্রবাসীর স্ত্রীর অবৈধ গর্ভপাত নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি : সোনাগাজীতে এক প্রবাসীর স্ত্রীর অবৈধ গর্ভপাত নিয়ে দু’পক্ষ সোনাগাজী মডেল থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরকীয়া প্রেমিককে রক্ষার জন্য নিরীহ এক কারখানা শ্রমিকের বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীর ধর্ষণ, অবৈধ গর্ভপাত ঘটানোর দায়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অপরদিকে ওই গৃহবধূকে দুশ্চরিত্রা আখ্যা দিয়ে কারখানা শ্রমিক জাহিদের মা বিবি রহিমা খাতুন বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ নিয়ে দুপক্ষের আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম উত্তেজনা। এর মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই গৃহবধূকে তার বাবার বাড়িতে তুলে দিয়েছেন স্বামীর পরিবার।
এলাকাবাসী, পুলিশ, গৃহবধূ ও কারখানা শ্রমিকের পরিবার জানায়, উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণপূর্ব চরচান্দিয়া গ্রামের শরীফ উল্যাহ তার স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তান রেখে চাকরির উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যান। দীর্ঘ তিন বছর ধরে তিনি সেখানে চাকরি করছেন। এদিকে নূরুল আফছার নামের এক যুবলীগ নেতার সঙ্গে তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে যায়। প্রেমের সূত্রে আফছার তার কন্যাসন্তানদেরসহ ওই গৃহবধূকে কক্সবাজারসহ একাধিক স্থানে নিয়ে রাত্রিযাপন করে। এতে ওই নারী অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ে। তিন মাসের অন্ত:সত্ত্বা থাকা অবস্থায় একই গ্রামের মনিরানী দাস নামের এক নারীর মধ্যস্থতায় মঙ্গলকান্দি বিশ শয্যার হাসপাতালে নিয়ে এক সেবিকার মাধ্যমে গর্ভপাত ঘটানো হয়। বিষয়টি কিছুদিন গোপন থাকলেও গর্ভপাত ঘটানোর চুক্তিকৃত টাকা পরিশোধ না করায় মনিরানী দাস বিষয়টি প্রবাসী শরীফ উল্যাহ সোহাগের পরিবারকে জানিয়ে দেন। এ নিয়ে দুটি পরিবারের মধ্যে অশান্তি শুরু হলে বিষয়টি নিয়ে ঘুরে যান ওই গৃহবধূ। গৃহবধূ দাবি করেন, ২০২০ সালের রমজান মাসে একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম ঘরে ঢুকে তার শয়ন কক্ষে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। এতে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তাই তিনি জাহিদুল ইসলাম, তার বাবা আবুল কালাম, ওই গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে গোলাফ মাওলা, জামাই আলম, ধন মিয়ার ছেলে নয়ন এবং মনিরানী দাসসহ ৬ জনের নামে সোনাগাজী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। জাহিদুল ইসলাম নরসিংদী এলাকায় সাজেদা টেক্সটাইল মিলের একজন শ্রমিক। তার বাবা আবুল কালাম একজন রিকশাচালক। তার মা-বাবা অভিযোগ করেন, নূরুল আফছার নামের স্থানীয় এক প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা ওই প্রবাসীর বাড়ির পাশে স্কেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কাটার কাজ করত। সে সুবাধে ওই নারীর বাড়িতে রাতযাপন করত। পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে নারীকে নিয়ে কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে রাত যাপন করত। যার সাক্ষী গ্রামবাসী ও গৃহবধূর স্বামীর স্বজনদের কাছে তার কন্যারা দিয়েছেন। গত ২৭ জুলাই সকালে তার ছেলে জাহিদুলকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়ে যায় ওই গৃহবধূ ও তার স্বজনরা। তাই অপমান ও হয়রানি থেকে রেহাই পেতে এবং ছেলের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জাহিদুলের মা বিবি রহিমা খাতুন বাদী হয়ে গৃহবধূ মনোয়ারা বেগম, মো. সবুজ ও কালা মিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে যুবলীগ নেতা নূরুল আফছার জানান, ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ থানায় অভিযোগ করেছেন কালামের ছেলে জাহিদের বিরুদ্ধে। তাকে জড়ানো ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম জানান, দুপক্ষের অভিযোগ তদন্ত হচ্ছে। দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়