হেফাজতের সহিংসতা : এজাহারনামীয় এক আসামি গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

বোল্টের সিংহাসনে বসলেন জ্যাকবস

পরের সংবাদ

অবাধে রেণু পোনা নিধন

প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : সদরপুরে বর্ষার শুরুতে বিভিন্ন নদ-নদী, বিল-বাউড় ও জলাশয়ে অবাধে ডিমওয়ালা মাছ ও রেণু-পোনা নিধন করা হচ্ছে। ফলে মৎস্য ভান্ডার খ্যাত সদরপুরের নদ-নদী, বিল-বাঁওড় ও জলাশয় থেকে দিন দিন মাছ শূন্য হয়ে যাচ্ছে। আইনগত দিকে ডিমওয়ালা মাছ ও রেণু-পোনা ধরা বা মারা নিষিদ্ধ হলেও এখানে সরকারি আইন মানা হচ্ছে না। প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের দুর্বলতা ও আইন প্রয়োগ না করার কারণে নিষিদ্ধ কাজ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, সদরপুর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে পদ্মা নদী, আড়িয়াল খাঁ, ভুবনেশ্বর নদসহ প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জলাভূমি রয়েছে। বর্ষার শুরুতে এসব জলাভূমিতে ডিমওয়ালা মাছ ডিম ছাড়ে ও নদী দিয়ে ভেসে আসে রেণু-পোনা। বর্ষার প্রায় ৪/৫ মাস রেণু-পোনা বড় হয়ে রুই-কাতলায় পরিণত হয়। বর্ষা মৌসুমের পর এসব মাছ ধরে মৎস্যজীবীরা বাজারজাত করে। এতে সদরপুরের জনগণের মাছের চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি করা হতো। উক্ত স্থানগুলোতে প্রতি বছর অবাধে রেণু-পোনা ও ডিমওয়ালা মাছ ধরার কারণে সে ঐতিহ্য আজ হারাতে বসেছে।
সরজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে দেখা গেছে, সম্প্রতি পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদের পাড় ঘেঁষে শত শত অসাধু মৎস্য শিকারি মশারি জাল, টোনাজাল ও বেড়জাল দিয়ে অবাধে রেণু-পোনা ও ডিমওয়ালা মাছ ধরছে। জলাশয়গুলো থেকে কারেন্টের জাল, মশারি জাল, চাই না জাল দিয়ে অবাধে ডিমওয়ালা মাছ ও ছোট মাছ ধরছে। ফলে বিভিন্ন জাতের মাছ বড় হওয়ার আগে ধরে সাবাড় করে দিচ্ছে।
মৎস্যজীবীরা জানান, আমরা প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে সংসারের চাহিদা পূরণ করতে মাছ ধরতে হয়। বছরের বেশির ভাগ সময় বেকার জীবন কাটাতে হয়।
সদরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তাসনিয়া তাসমিম জানান, লকডাউনে অফিস বন্ধ। তাছাড়া আমাদের আইন প্রয়োগ ক্ষেত্রে জনবল কম। এছাড়া বেআইনিভাবে রেণু-পোনা ও ডিমওয়ালা মাছ ধরলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়