‘পিক’ টাইমে কঠোর লকডাউনে উদ্বেগে পোশাক খাত

আগের সংবাদ

পদক লড়াইয়ে তিন দেশের দাপট

পরের সংবাদ

সোহান-শামিম ফিনিশিংয়ের আক্ষেপ ঘুচাবেন

প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ওয়ানডে হোক কিংবা টি-টোয়েন্টি, ক্রিকেটীয় যাত্রার শুরু থেকেই দুই ফরম্যাটে একজন ফিনিশারের অভাব বাংলাদেশের। ভারতের যেমন রবিন্দ্র জাদেজা বা হার্দিক পান্ডেয়ারা প্রতিপক্ষকে চাপের মধ্যে ফেলে দ্রুত রান তুলে নেন, বাংলাদেশের বলার মতো তেমন কেউ! কিংবা ফিনিশারের আবির্ভাব হলেও তা সীমাবদ্ধ থেকেছে কেবল ক্ষণিক সময়ের জন্য। এই অভাবের একটা ইতি টানতে পারে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এ ক্ষেত্রে বড় দুটি নাম নুরুল হাসান সোহান ও শামিম পাটোয়ারি।
নুরুল হাসান সোহান ও শামিম পাটোয়ারির সাম্প্রতিক ক্রিকেট পরিসংখ্যান জানান দিচ্ছে, ফিনিশিংয়ের প্রায় সব গুণাবলিই আছে এই দুজনের মধ্যে। সদ্য সমাপ্ত জিম্বাবুয়ে সিরিজে তিনটি টি-টোয়েন্টিতে খেলার সুযোগ পেয়েছেন সোহান। প্রথম ম্যাচেই ৮ বলে ১৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তিনি। পরের দুটি ম্যাচে অবশ্য তেমন কিছু করতে পারেননি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। তবে মাঠে তার সরব উপস্থিতি প্রত্যেক ম্যাচেই ইতিবাচক প্রভাব রাখে। কিপার হিসেবেও তার সিদ্ধান্ত হয় সূ²াতিসূ²!
মাসখানেক আগে সমাপ্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সোহান ১৫ ম্যাচে ৩৮.৪৪ গড়ে ৩৪৬ রান সংগ্রহ করেছেন। যার স্ট্রাইকরেট ১৫১.৭৫। রেটই জানান দিচ্ছে- সোহান কত দ্রুততার সঙ্গে তুলেছেন এই রান। তাছাড়া পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে তার কয়েকটি ম্যাচ জয়ী ইনিংসও ছিল। সব মিলিয়ে যতœ নিলে এই সোহান হয়ে উঠতে পারেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অন্যতম ভরসার পাত্র।
শামিম পাটোয়ারিকে নিয়ে অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশি ক্রীড়ামোদিদের মধ্যে উচ্ছ¡াস। যুব বিশ্বকাপ জয়ী এই ক্রিকেটারের অভিষেকও হয়েছে বাংলাদেশের জার্সিতে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছিলেন ২০ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার। তার মূল শক্তিই কম বল মোকাবিলা করে ঝড়ো রান তোলা। বাংলাদেশ ওই ম্যাচটিতে হেরে যায় ২৩ রানে। শামিম মাত্র ১৩ বলে করেন ২৯ রান। ইনিংসটা আরো বড় হতে পারত তার, যদি না সীমানার কাছে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার হাতে ধরা পড়তেন।
রোডেশীয়দের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচেও শামিম খেলেছেন নিজের খেলা। বাংলাদেশ যখন হারের শঙ্কায় তখন মাঠে এসে ফিনিশারের রূপ দেখান তিনি। শুরু থেকেই তুলোধুনো করতে থাকেন জিম্বাবুয়ের বোলারদের। ১৫ বলে অপরাজিত থাকেন ৩১ রান করে। বাংলাদেশও জিম্বাবুয়ের ১৯৪ রানের টার্গেট পেরিয়ে জয় পায় ৫ উইকেটে।
শামিম পাটোয়ারি নিজেও অনেকবার নিপুণ ফিনিশার হয়ে উঠার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। গত মার্চে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ইমার্জিং টিমের সিরিজ চলাকালীন সময়ে শামিম বলেছিলেন, ‘আমি চাই ফিনিশ করতে। আর দলকে এগিয়ে নিতে। সেটা যেভাবেই হোক এটাই আমার টার্গেট থাকে।’
ব্যাট হাতে শামিম আর ফিল্ডিংয়ের শামিম, দুই ক্ষেত্রেই তাকে দেখতে মুখিয়ে থাকেন দর্শকরা। তার ফিল্ডিংয়েরও তারিফ শোনা যায় হরহামেশা। এই যেমন দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাউন্ডারির কাছে দৌড়ে গিয়ে যে ক্যাচটি ধরেন তিনি- তা তো চোখে লেগে থাকার মতোই। বাউন্ডারি লাইনের থেকে হয়তো এক ইঞ্চিরও কম জায়গা দূরত্ব ছিল তার আঙুলের। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপসহ ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগেও তার দুর্দান্ত কিছু ক্যাচ চোখে পড়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। এখনই তাকে দেশের অন্যতম চৌকস ফিল্ডার ভাবা হয়। ফিল্ডার শামিম অনুসরণও করেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এক ফিল্ডারকে। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার জন্টি রোডস। এ নিয়ে শামিম এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ফিল্ডিংয়ে আমি ছোটবেলা থেকেই জন্টি রোডসকে ফলো করি।’
:: নূরুজ্জামান শুভ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়