শুভ জন্মদিন : প্রেমিক কবি ফারুক মাহমুদ

আগের সংবাদ

দক্ষিণাঞ্চলে পেয়ারা বাজার মন্দা

পরের সংবাদ

মহামারিতে মলিন ঈদ আনন্দ

প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঈদ নিয়ে তারকাদের থাকে ভিন্ন প্রস্তুতি, অন্যরকম পরিকল্পনা। কিন্তু করোনা মহামারিতে এবার কুরবানি ঈদে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই শোবিজ তারকাদেরও। নেই বাড়তি কোনো আয়োজন। অনেক তারকা এবার কুরবানি দেবেন না বলে ঠিক করেছেন। কেউবা অনলাইনে খুঁজছেন কুরবানির পশু। তবে সবার একই প্রার্থনা- মহামারি কাটিয়ে পৃথিবী আবার সুস্থ হয়ে উঠুক। কীভাবে কাটাবেন এবারের ঈদ- জানতেই ‘মেলা’ মুখোমুখি হয়েছিল কয়েকজন তারকার। শ্রæতিলিখন দেবরাজ দেব

আগে মানুষের জীবন
ফজলুর রহমান বাবু

কুরবানি ঈদ নিয়ে আসলে সেইভাবে কোনো আলাদা পরিকল্পনা নেই। আর এই মহামারিতে আসলে তেমন আনন্দ করার মনমানসিকতা নেই। আর কুরবানি ঈদে ওইভাবে কখনই পরিকল্পনা থাকে না। কয়েক ঈদেই বন্ধু ওয়ালিল হক রুমি আর আমি মিলেই কুরবানি দেই। ধর্মীয় নিয়ম তো পালন করতে হবে। তবে সেটা অবস্থা বুঝে কুরবানির গরু কিনব। যদি হাট বা অনলাইন থেকে কিনতে না পারি সেক্ষেত্রে হয়তো দেয়া হবে না। দরিদ্র মানুষকে আমার সামর্থ্য অনুযায়ী যেটুক সহযোগিতা করা দরকার সেটা অবশ্যই করব। এবার ঈদটা একটা ভয়ানক সময়ে হচ্ছে। গত দেড় বছরে আমরা কেউ না কেউ প্রিয়জনকে হারিয়েছি। আগে মানুষের জীবন। ঈদ পালন করতে গিয়ে যেন জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে না ফেলি। ভক্তদের বলব, এই সংকট সময়টা সাবধানে পার করতে।

নিজ থেকে সচেতন হতে হবে
তানভীন সুইটি

করোনার ভয়াবহ এ সময়ে ঈদ নিয়ে কী বলা যেতে পারে, কোনোকিছু চিন্তা করতে পারছি না। আসলে ভেতর থেকেই সার্বিকভাবে সায় দিচ্ছে না। ঈদ অবশ্যই আমেজ কিংবা খুশির ব্যাপার, আমাদের ধর্মীয় উৎসব। এখন করোনা যেহেতু মহামারিতে রূপ নিয়েছে আমার মনে হয় এ ব্যাপারে সবাইকে আরো বেশি সচেতন হওয়া দরকার। তাছাড়া ঈদে গরু কাটার পর বর্জ্য যেখানে সেখানে ফেলে রাখার একটা স্বভাব আমাদের আছে; কুরবানির পশু যেখানে কুরবানি দেয়া হয় সেই জায়গা পরিষ্কার না করা ইত্যাদি ব্যাপারগুলো যেন না ঘটে সে জন্য সবারই সচেতন হতে হবে। সবাই যেন বর্জ্য নির্ধারিত স্থানে ফেলে, পশু জবাইয়ের পরপরই যেন জায়গাটা আগের মতো ব্যবহারযোগ্য পরিচ্ছন্ন করে তোলে। প্রত্যেকেরই নিজ থেকে সচেতন হয়ে এই কাজগুলো করতে হবে।

পরিবারকেই সময় দেয়া উচিত
নুসরাত ফারিয়া

এইবারের ঈদটাও পরিবারের সঙ্গে কাটাব। এই সংকট সময়ে আসলে বাইরে বের হবো না। বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি এগুলো হবে না। লকডাউন যেহেতু ঈদের পরপরই হচ্ছে তাই পরিবারের সবাই ফার্ম হাউসে চলে যাবো। সেখানেই ঈদ করব। ঈদে এবার কোনো পোশাকও কিনিনি। বরং অনেক পোশাক মানুষকে দিয়ে দিয়েছি। কুরবানির গরু নিয়ে পরিবারের বড়রাই দেখবেন। এই সময়ে আসলে হাটে গিয়ে গরু কেনা হয়তো হবে না। অনলাইনে অথবা অন্য কোনোভাবে কুরবানির গরু সংগ্রহ করা হবে। এই সময়টা খুব কঠিন। ভক্তদের বলব এই সময় পরিবারকেই সময় দেয়া উচিত। এই বাজে সময় একদিন শেষ হবে। এটাই পরিবারকে সময় দেয়ার জন্য সেরা সুযোগ। এই সুযোগ আমাদের হারানো উচিত হবে না।

বাবাকে ছাড়া প্রথম ঈদ
জায়েদ খান

ঈদে আসলে ব্যক্তিগত কোনো পরিকল্পনা নেই। ঈদে কোনো ছবি মুক্তি পায়নি। যেহেতু শিল্পী সমিতির সেক্রেটারি তাই আমার পরিকল্পনা অসচ্ছল শিল্পীদের নিয়েই। তাদের নিয়েই এফডিসিতে ঈদ কাটাব। এছাড়া আমার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে এলাকার দরিদ্রদের সহযোগিতা করব। এর আগের ঈদগুলোতে বাবা সব ম্যানেজ করতেন। এইবার বাবা ছাড়া প্রথম কুরবানি ঈদ। বাবার অভাব পদে পদে অনুভব করছি। বাবার অবর্তমানে আমার বড় ভাই কুরবানির সব দায়িত্ব নিয়েছেন।
ঈদের এই সংকটে ভক্তদের বলব জীবন রক্ষা করুন আগে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। বেঁচে থাকলে অনেক ঈদ করা যাবে। কিন্তু স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়িয়ে ঈদ পালনে সতর্ক থাকতে হবে।

ছয় বছরে ৬টি গরু
পরীমনি

আমি আগে পরিবারের সঙ্গেই ঈদ পালন করতাম। সেই সময় আসলে পরিবারের বড়রা সব দায়িত্ব নিয়ে করতেন। তবে যখন থেকে জানতে পারি আমি যাদের সঙ্গে কাজ করি তাদের অনেকেই সামর্থ্যরে কারণে কুরবানি দিতে পারেন না তখন থেকেই এফডিসিতে কুরবানি দেই। এফডিসিতে কুরবানি দিচ্ছি ৫ বছর ধরে। এবার ৬ বছর হবে। তাই ৬ বছরে ৬টি গরু। একটি গরু দিয়ে এফডিসিতে কুরবানি দেয়া শুরু করেছিলাম। আল্লাহ ক্ষমতা দিলে প্রতি বছরই দিয়ে যাব। আর প্রতি বছরের মতো এবারো কুরবানির মাংস নিজ হাতে বিতরণ করব। তবে এবার আরো অনেক সতর্ক থাকব। যেহেতু করোনার সংক্রমণ বেড়ে গেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই বিতরণ করব। ভক্তরা যেন সাবধানে থাকেন। সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়