বিষাক্ত কেমিক্যালে নামি ব্র্যান্ডের নকল পানীয় তৈরি : রাজধানীতে গ্রেপ্তার ২

আগের সংবাদ

সংক্রমণ বাড়ার পথ খুলল!

পরের সংবাদ

গার্মেন্টস শ্রমিকদের ভ্যাকসিন নিশ্চিত করুন

প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে তৈরি পোশাকশিল্প শতভাগ ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা রপ্তানিমুখী শিল্প খাত। ষাটের দশকে সীমিত পরিসরে তৈরি পোশাক শিল্পের শুরু হলেও সত্তরের দশকের শেষের দিকে রপ্তানিমুখী হয় এ খাতটি। দেশের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার প্রায় ৭৬ শতাংশ আসে পোশাক রপ্তানি খাত থেকেই। তাই দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এখন প্রায় পোশাক শিল্পের ওপরই নির্ভর করছে। পোশাক শিল্প সামাজিক অবস্থানেও রেখে চলেছে ব্যাপক অবদান। ২৫ লাখেরও অধিক শ্রমিক, কর্মকর্তা, কর্মচারী পোশাক শিল্প খাতে কাজ করে উপার্জিত অর্থে তাদের জীবন মানে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। এদের আশি ভাগই হলো নারী। আমাদের সমাজে এক সময় যাদের পরিবারে বোঝা ভাবা হতো। সংসার চালাতে অর্থের জোগানদাতা হিসেবে এসব নারীরা এখন পরিবারে ও সমাজে অনন্য মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। পোশাক শিল্পকে ঘিরে ডায়িং, স্পিনিং, প্যাকেজিংসহ আরো অনেক শিল্প প্রসার লাভ করেছে। সব কিছু মিলিয়ে তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে। আমদানিকৃত কাঁচামালের ওপর এখনো অনেকটাই নির্ভরশীল হওয়ায় বিগত সালে বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে পোশাক শিল্প মহাসংকটের মুখোমুখি হয়েছিল। পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ নেতাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা পোশাক শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধের জন্য ৫০০০ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে প্রণোদনা প্রদান করেন। তাই প্রবৃদ্ধির ধারায় ভাটা পড়লেও সংকটকালে পোশাক প্রস্তুতকারী ও রপ্তানিকারকরা এ শিল্পকে ধরে রাখতে সক্ষম হয় এবং সা¤প্রতিক সময়ে অনেকটা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় করোনার সংক্রমণের মাত্রা বাড়তে থাকলে আবারো কিছুটা সংকটের মুখে পোশাক শিল্প। করোনার দ্বিতীয় দফার সংকট মোকাবিলায় সরকার সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করেছে। জীবন ও জীবিকা দুটোকেই প্রাধান্য দিয়ে কাজ করতে চাচ্ছে সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিজিএমইএর পরামর্শে খোলা রাখা হয়েছে পোশাক কারখানা।
প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের প্রতি আমাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা, প্রথম দফায় ৪৫ বছর বয়সোর্ধ্বরা করোনার ভ্যাকসিন পেয়েছিল। অনিবার্য কারণে সাময়িকভাবে করোনার টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন বন্ধ থাকলেও এবার ৩৫ বছর ও তদোর্ধ্বদের করোনার টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। চলছে পর্যায়ক্রমে করোনার টিকা প্রদান। গার্মেন্টস শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিজিএমইএ সবসময় গুরুত্ব সহকারে কাজ করে থাকে। সংকটকালে জীবন ও জীবিকা উভয় দিক সামলাতে চালু রাখা পোশাক কারখানায় কর্মরত সবাইকে করোনার ভ্যাকসিনের আওতায় আনা প্রয়োজন বলে মনে করি।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম : পরিচালক, ওয়েল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও ১ম সহসভাপতি, বিজিএমইএ।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়