ভূমিহীনদের ঘর পুনর্নির্মাণের দাবি বিএনপির

আগের সংবাদ

ঈদ ঘিরে লকডাউন শিথিল : ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত ৮ দিন সারাদেশে বিধিনিষেধ শিথিল, আজ প্রজ্ঞাপন

পরের সংবাদ

এখনো কি আমাকে মনে পড়ে?

প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সন্ধ্যা বেলায় পড়ার টেবিলে যখন বসতাম তখন তুমি দৌড়ে চলে আসতে। আর আমার পাশের চেয়ারে বসে যেতে। প্রথম দিকে তোমার মা-বাবা কি কম বকা দিয়েছে এজন্য? পরে অবশ্য আর কিছু বলতো না। কারণ আমরা দুজন একই ক্লাসে পড়তাম। তাই একসাথে পড়ছি বললে সবাই এটাকে পজেটিভলি নিত। তোমার কি মনে আছে? একদিন তোমাকে আমি রাগ করে আমাদের বাসা থেকে চলে যেতে বলেছিলাম! তুমি কান্না করে দিয়েছিলে। কিন্তু আমার পাশেই বসেছিলে।
সেদিন তুমি মনে করেছিলে আমি পাষাণ। তোমার কান্না দেখে আমি মজা পেয়েছি। আসলে কিন্তু তা নয়। তুমি কেঁদেছিলে কয়েক মিনিট। আর আমি পুরো একটা রাত। যা হোক পরে এই কথা বলার জন্য সরিও বলেছিলাম। জানি আমার এই সরিতে তোমার মন ভরেনি। তাই সামান্য এই কথায় তুমি আমাদের বাসায় আর কখনও আসোনি। আমার সাথে কথা বলতে, কিন্তু আমাদের বাসায় আর পড়তে আসা তোমার হয়ে ওঠেনি। তোমার জেদের কাছে একসময় আমিও হেরে গিয়েছিলাম। দুয়েকবার তোমার বাসায় গিয়েছি তোমার সাথে পড়ার জন্য। কিন্তু তোমার বাসায় পড়ার মতো পরিবেশ ছিল না।
পরিবেশ থাকলে কি আর তুমি আমার বাসায় এসে পাশে বসে পড়তে। হয়তো তখনও পড়তে চাইতে। কারণ আমি লক্ষ্য করতাম তুমি আমার প্রতি দুর্বল। তবে তুমি যতটা না আমার প্রতি দুর্বল তার চেয়ে বেশি আমি তোমার প্রতি দুর্বল ছিলাম। আর আমি মনে করতাম আমিই শুধু তোমার দুর্বলতা বুঝি। তুমি আমারটা বোঝ না।
আচ্ছা আমরা কি বোকা ছিলাম? কেন কেউ কাউকে কিছু বললাম না? জানি এখন সামনে থাকলে বলতে, মেয়েরা বুঝি মনের কথা সহজে বলে! ছেলেরাই তো আগে বলে।
সেই যে মনের ভেতর ভালোবাসা রেখে, উপরে এক সমুদ্র অভিমান নিয়ে চলে গেলে আর কখনও খুঁজেও পেলাম না। হয়তো যে বাসায় আমরা ছিলাম সেখানে খোঁজ নিয়েছো। কিন্তু তোমরা চলে যাওয়ার বছর দুয়েকের মধ্যে আমরাও অন্য বাসায় চলে গিয়েছি। আমি কিন্তু বাসা পরিবর্তনের পক্ষে ছিলাম না। আমার কেন জানি মনে হয়েছে আমাদের খুঁজতে তুমি এখানেই আসবে। কিন্তু ভাগ্য আমাদের অনেক অনেক দূরে পাঠিয়ে দিয়েছে। সেদিন ক্লাস সেভেনের সেই মেয়েটা আজ কত বড় হয়েছে কে জানে! হয়তো আমার মতো অনার্স করছে, নয়তো বিয়ে করে সংসার সামলাচ্ছে। যতটুকু ধারণা করতে পারি, তুমি সহজে বিয়ে করার মানুষ নও। তাছাড়া পড়াশোনার প্রতি তোমার ভীষণ আগ্রহ। তাই এখনও পড়াশোনাই করছো এমনটা ধারণা করতেই পারি।
আচ্ছা তোমার কি আমার কথা মনে পড়ে না? পড়তেও পারে, আবার নাও পড়তে পারে। সেদিনের সেই তাসপিয়া কি আর পরিবর্তন হবে না! নিশ্চই হবে। তবে মনে তোমার পড়বেই। কিছুক্ষণের জন্য হলেও মনে পড়বে। আর তুমিও আমার কথা ভাববে।
সামনে থাকলে হয়তো বলতে, তোমায় নিয়ে ভাবতে যাবো কেন আমি? তোমায় নিয়ে ভাবতে হবে কেন? তুমি কে হয়েছো? এমন আরো অনেক প্রশ্ন ছুড়ে দিতে আমাকে।
আচ্ছা তুমি কি জানো একবার কথা বলা শুরু করলে তুমি কথা বলতেই থাকো, বলতেই থাকো। এখনও কি ওই অভ্যাসটা আছে?
দূর অযথা এতো কথা বলছি। যে কথার কোনো উত্তর পাব না জানি তবুও রোজ রোজ এমন কথা বলতেই থাকি নিজে নিজে। তবে আমি চাই একদিন আমাদের দেখা হোক। সেটা হোক এক মুহূর্তের জন্য কিংবা এক সেকেন্ডের জন্য। কিন্তু দেখা হোক আমাদের।
য় খুলশী, চট্টগ্রাম-৪২০২

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়