ডিএসইর ডিজিটাল সাবমিশন প্ল্যাটফর্ম চালু

আগের সংবাদ

লোভের আগুনে কত স্বপ্ন পুড়বে?

পরের সংবাদ

গৌরবের ঢাকা মেডিকেল কলেজ

প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

১৯৪৬ সালের ১০ জুলাই ১০১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে উপমহাদেশের অন্যতম চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজ যাত্রা শুরু করেছিল। প্রতি বছর ১০ জুলাই এলে কিছুটা নস্টালজিক হয়ে যাই। দেশ-বিদেশে অনেক চিকিৎসক আছেন তারা জানতে চান এ বছর কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে কিনা? কোভিডকালীন কোনোভাবেই এমন কোনো কর্মসূচি নেয়া হয়নি। সীমিত পরিসরে আমরা দিনটি উদযাপন করছি। গত বছরও আমরা সংক্ষিপ্তভাবে অনুষ্ঠান করেছি। তবে বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছি, যা করোনাকালীন করণীয় ছিল। যেমন- সম্মুখযোদ্ধাদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ, চিকিৎসাসামগ্রী সরবরাহ ইত্যাদি। এই মুহূর্তে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই দেশ-বিদেশের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী, যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। করোনা শেষ হলে আমরা আবারো মিলিত হবো প্রাণের উচ্ছ¡াসে প্রিয় প্রাঙ্গণে। আমাদের প্রিয় এ প্রতিষ্ঠান কেবল ঐতিহ্যের স্মৃতিচারণ নয়, নব নব অর্জনে সমৃদ্ধির শিখরে যাওয়ার জন্য, মানবিক মূল্যবোধকে ধারণ-লালন এবং পালন করতে।
এই মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করে হাজার হাজার চিকিৎসক আলো ছড়াচ্ছেন দেশ-বিদেশে। আর এই দুঃসময়ে কোভিড-১৯ ফাইটারদের জানাই আমার ভালোবাসা। বাংলাদেশের ক্রান্তিলগ্নে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং অ্যালামনাইদের অবদান অপরিসীম। জনগণের স্বাস্থ্যসেবা, দেশের চিকিৎসা পেশার মানোন্নয়ন এবং দেশের যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় এ কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ৬ দফা, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ’৯০-এর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনসহ ইতিহাসের প্রতিটি সন্ধিক্ষণে এ কলেজের চিকিৎসক এবং ছাত্রছাত্রীদের বীরোচিত ভূমিকা জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে কয়েক সহস্র চিকিৎসক আজ নিয়োজিত জনগণের চিকিৎসাসেবায়। কেবল দেশের সীমানায়ই নয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজের এক সময়ের শিক্ষার্থীরা আজ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের নানা প্রান্তে, সবখানেই পেশাগত প্রতিভায় তারা দীপ্যমান। চিকিৎসা, শিক্ষা, গবেষণা ও সেবার সঙ্গে সঙ্গে জনগণের স্বাধিকার আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে এই বিদ্যাপীঠের ভূমিকা ইতিহাসের গৌরবময় অংশ হয়ে আছে। দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের আন্দোলনে এই প্রতিষ্ঠানটি ছিল সামনের সারিতে। আমাদের স্বাধীনতার সূর্যটি ডা. ফজলে রাব্বী, ডা. আলীম চৌধুরীর মতো অসংখ্য চিকিৎসকের আত্মদানে হয়েছে উজ্জ্বলতর। ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনও এই মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ও রাজপথের সহযোদ্ধা ডা. শামসুল আলম খান মিলনের রক্তে পেয়েছিল নতুন মাত্রা। এ দেশের গণমানুষের অধিকার আদায়ের প্রতিটি আন্দোলনে রয়েছে আমাদের সাহসী উত্তরাধিকার। ইতিহাসের পাদপীঠে স্রোতস্বিনী সময়ের মোহনায় দাঁড়িয়ে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি মাতৃভাষার জন্য যারা বুকের তাজা রক্তে রঞ্জিত করেছিল রাজপথ, যাদের হাত ধরে উদিত হয়েছিল স্বাধীনতার রক্তিম লাল সূর্য, যারা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেছেন, অতল শ্রদ্ধা সেসব আত্মত্যাগী বীর শহীদ চিকিৎসককে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দেশের চিকিৎসাসেবায় নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। নিরন্তর মানবতার সেবায় এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা ছড়িয়ে আছে পৃথিবীর সর্বক্ষেত্রে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ তার সংগ্রামী ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার বজায় রেখেছে এ দেশের গণমানুষের অধিকার আদায়ের প্রতিটি আন্দোলনে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের দুয়ার থেকে কোনো রোগীকে বিনা চিকিৎসায় ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে এমন দৃষ্টান্ত নেই। করোনা যুদ্ধে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সন্তানরা এগিয়ে এসেছে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে, তাদের আত্মত্যাগের এই ঋণ চিরস্মরণীয়।
ভাষা আন্দোলনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ : ১৯৪৮ সালের মার্চে রমনার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা করেন ‘উর্দু, শুধু উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’। সেদিন থেকে পূর্ব বাংলার ছাত্র-শিক্ষকসহ আপামর জনসাধারণ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। সেই চাপ ক্ষোভ ১৯৫২ সালে আন্দোলনে রূপ নেয়। কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের ডাকে ৪ জানুয়ারি সফল ছাত্র ধর্মঘটের পর শাসকগোষ্ঠী ২১ ফেব্রুয়ারি সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের অনেকেই ১৪৪ ধারা ভাঙার বিপক্ষে থাকলেও ছাত্রনেতারা তাদের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন।
২১ ফেব্রুয়ারি সকালে ঐতিহাসিক আমতলায় (বর্তমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে, যেখানে নতুন অপারেশন থিয়েটার কমপ্লেক্স তৈরি হয়েছে) প্রতিবাদী ছাত্রদের সভার পর ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল শুরু হয়। পুলিশের বেপরোয়া লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ ও গ্রেপ্তারের ফলে শান্তিপূর্ণ মিছিল কিছুক্ষণের মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুপুরের পর পুলিশ গুলিবর্ষণ শুরু করে। ফলে ব্যারাক চত্বর ও তার আশপাশে গুলির আঘাতে শহীদ হন রফিক, বরকত ও জব্বার। বরকতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে জরুরি অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়। মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা লাশগুলো বর্তমান ডিসেকশন হলের পেছনে লুকিয়ে রেখেছিলেন পরদিন জানাজার জন্য, কিন্তু রাতে পুলিশ তা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং আজিমপুর কবরস্থানে গোপনে দাফন করে। ইতোমধ্যে পুলিশের গুলিবর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতাল ও ব্যারাক চত্বরে মানুষের ঢল নামে। ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে তখনকার ছাত্র সংসদের সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ব্যারাকে অবস্থানরত ছাত্রদের সঙ্গে আলাপ করে কন্ট্রোল রুম স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। এই কন্ট্রোল রুম স্থাপন মেডিকেল কলেজের তৎকালীন ছাত্রদের একটি বুদ্ধিদীপ্ত সাহসী সিদ্ধান্ত ছিল। পরবর্তী সময়ে এই কন্ট্রোল রুমেই রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবীসহ সর্বস্তরের জনতার সংহতি প্রকাশের একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছিল। তাছাড়া কন্ট্রোল রুমের মাইক থেকেই নেতারা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২, রবিবার, সরকারি ছুটির দিন। নবনির্মিত শহীদ মিনারটি প্রথমে উদ্বোধন করেন শহীদ শফিউরের বাবা। কিন্তু তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর ছুটির আরাম হারাম হয়ে যায়, যখন তিনি শুনতে পান স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ এবং দলে দলে লোকের তা দর্শন ও মুখ্যমন্ত্রীকে ধিক্কার দেয়ার কথা। শহীদ মিনার আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। ছাত্র-জনতার মধ্যে প্রতিবাদী চেতনার নতুন উদ্ভাস তৈরি করে।
মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা মেডিকেল কলেজ : মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করা চিকিৎসক, তৎকালীন ছাত্র, কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। এদের অনেকেই অস্ত্র হাতে পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। আবার কেউ কেউ হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধা ও অসহায় বাঙালিদের চিকিৎসা করেছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ভূমিকা তিন ভাগে বর্ণনা করা যেতে পারে।
প্রথম ভাগে যারা এই সময় কলেজের ছাত্র ছিলেন এবং প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের তৎপরতা। দ্বিতীয় ভাগে এ কলেজ থেকে পাসকৃত চিকিৎসকদের একটি অংশ, তৃতীয় ভাগ হলো যারা অন্যান্য হাসপাতাল ও সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরে কর্মরত ছিলেন, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধ করেছেন।
এ কলেজের তৎকালীন ছাত্রদের মধ্যে বিভিন্ন সেক্টরে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধ করেছেন মোয়াজ্জেম হোসেন, সেলিম আহমেদ, আলী হাফিজ সেলিম, আবু ইউসুফ মিয়া, ইকবাল আহমেদ ফারুক, মুজিবুল হক, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মোজাফফর, আমজাদ হোসেন, ওয়ালীত, ওসমান, গোলাম কবীর, জিলর রহিম, ডালু নুরুজ্জামান, শাহাদত প্রমুখ। এদের অনেকেই ঢাকা শহর কমান্ডের তত্ত্বাবধানে থেকে যুদ্ধ করেছিলেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত প্রায় সব চিকিৎসকই আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করতেন। মুক্তিযোদ্ধারা আসল নাম গোপন রেখে হাসপাতালে ভর্তি হতেন। হাসপাতালে এসব কাজের সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করতেন অধ্যাপক ফজলে রাব্বী। তিনি তার আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করতেন। যুদ্ধের শেষ দিকে অধ্যাপক ফজলে রাব্বীসহ অনেক চিকিৎসককেই রাজাকার-আলবদর বাহিনী গোপন চিঠির মাধ্যমে মৃত্যুর ভয় দেখিয়েছিল।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করা অনেক চিকিৎসক ভারতে গিয়ে বিভিন্নভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের প্রথম দিকে যুদ্ধে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের বেশিরভাগই ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তৎকালীন ছাত্র ও চিকিৎসকরা বিভিন্নভাবে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করা চিকিৎসক তৎকালীন ছাত্রছাত্রী এবং এই কলেজে কর্মরত চিকিৎসকদের তালিকা আমাদের সংরক্ষণ করা প্রয়োজন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য।
স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ : নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনও এই মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ও রাজপথের সহযোদ্ধা ডা. শামসুল আলম খান মিলনের রক্তে পেয়েছিল নতুন মাত্রা। এ দেশের গণমানুষের অধিকার আদায়ের প্রতিটি আন্দোলনে রয়েছে আমাদের সাহসী উত্তরাধিকার। চিকিৎসাবিজ্ঞানে জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দেশের চিকিৎসাসেবায় নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ তার সংগ্রামী ঐতিহ্য বজায় রেখেছে এই দেশের গণমানুষের অধিকার আদায়ের প্রতিটি আন্দোলনে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের দুয়ার থেকে কোনো রোগীকে বিনাচিকিৎসায় ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে এমন দৃষ্টান্ত নেই। করোনা যুদ্ধে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সন্তানরা এগিয়ে এসেছেন সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে, তাদের আত্মত্যাগের এই ঋণ চিরস্মরণীয়।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ এখনো পর্যন্ত কোনো জাতীয় স্বীকৃতি পায়নি। ২০২১ সালে ‘চিকিৎসা’ খাতে ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ’কে ‘স্বাধীনতা পদক’ দেয়ার জন্য আবেদন করেও আশাহত হয়েছি। তাই ঢাকা মেডিকেল কলেজকে স্বাধীনতা পুরস্কার অথবা একুশে পদক দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান : সেক্রেটারি জেনারেল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যালামনাই ট্রাস্ট।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়