এস কে সুর চৌধুরী ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব স্থগিত

আগের সংবাদ

রূপগঞ্জে হতাহত বেড়েছে চার কারণে : ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার, আহত শতাধিক, এখনো নিখোঁজ ৫১ জন

পরের সংবাদ

সুনামগঞ্জে লকডাউনে মধ্যবিত্তের হতাশা

প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সাইদুর রহমান আসাদ, সুনামগঞ্জ থেকে : মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে চলমান কঠোর লকডাউনে বিপাকে পড়েছে সুনামগঞ্জের মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। দোকানপাট বন্ধ থাকায় আয়-রোজগার নেই। জরুরি পরিষেবার তালিকায় যারা খোলা রাখতে পারছেন, তারাও ক্রেতা পাচ্ছেন না। এতে অসহায় অবস্থায় দিনযাপন করছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর সংখ্যাই বেশি। এসব ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন অসংখ্য নিম্ন আয়ের কর্মচারী। লকডাউনে দোকান বন্ধ থাকায় একদিকে যেমন কর্মচারীরা কাজ হারিয়েছেন, অপরদিকে নিজেরাও লোকসানের মধ্যে পড়েছেন। নিম্ন মধ্যবিত্ত এসব মানুষের ঘরে খাবার না থাকলেও লজ্জায় মানুষের কাছে বলতে পারছেন না। সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্য পাওয়া গেলেও লোক লজ্জায় লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনতে পারছেন না।
সুনামগঞ্জে রুচিশীল পাঠক ও ক্রেতাদের চাহিদা রয়েছে পৌর বিপণির ‘মধ্যবিত্ত’ দোকানে। সৃজনশীল বই ও কাপড়ের জন্য মানুষের আকর্ষণ এই দোকানের প্রতি। কিন্তু কঠোর লকডাউনের আওতায় অন্যসব দোকানের মতো বন্ধ রয়েছে এটি।
মধ্যবিত্তের মালিক মানবেন্দ্র কর পাপ্পু বললেন, লকডাউনে মধ্যবিত্তদের দেখার কেউ নেই। দোকানপাট বন্ধ, আয়-রোজগার শূন্যের কোঠায়। এতে দোকান ভাড়া, স্টাফদের বেতন, বাজারের খরচ, বিদ্যুৎ-গ্যাস বিল, বাচ্চার দুধ, বাবার ওষুধ কীভাবে আসবে? লকডাউন বেড়েছে আরো ৭ দিন। পেটকে ৭ দিন বুঝাই কী করে? তিনি আরো বলেন, টিসিবির গাড়িটা দেখি, ওখানে আমাদের শোরুমের স্টাফদের বাবা-মায়েরা লাইনে থাকে, আমি দাঁড়াতে পারি না। পুঁজি ভেঙে খেতে খেতে শেষ। এখন খাব কী? ৩৩৩-এ ফোন করলে ম্যাজিস্টেট এসে দেখবে, পাকা দালান। ভেতরে যে খাবার নেই, সেটা কী করে দেখাই?
জরুরি পরিষেবার কিছু দোকানপাট শর্তসাপেক্ষে খোলা রয়েছে। খাবারের দোকানগুলো নিদিষ্ট সময়ের ভেতর পার্সেল সার্ভিস চালু রয়েছে। তবে মিলছে না ক্রেতা। দিনভর দোকানপাট খোলা রেখেও ক্রেতা না আসায় লোকসানের বোঝা নিয়ে বাসায় ফিরতে হচ্ছে।
মুদি দোকানি উৎপল দাস বললেন, এ অবস্থায় দোকান খোলা রেখেও কোনো লাভ হচ্ছে না। এক ঘণ্টায় এক কেজি ডাল বিক্রি করতে পারি না। এতে দোকান ভাড়া ও পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়