ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপ : বাংলাদেশিসহ ৪৩ অভিবাসীর সলিল সমাধির আশঙ্কা

আগের সংবাদ

অনিয়মে প্রশ্নবিদ্ধ ‘আশ্রয়ণ’ > দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : পাঁচ কর্মকর্তা ওএসডি, দুজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত

পরের সংবাদ

জাপানে প্রবল বর্ষণে ভূমিধস : নিহত ৩, নিখোঁজ ৮০

প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : জাপানের সাগরতীরবর্তী শহর আতামিতে প্রবল বৃষ্টির পর ভূমিধসে অন্তত ৩ জন নিহত এবং ৮০ জন নিখোঁজ রয়েছে। ঘটনার দুদিন পর গতকাল সোমবার হাজারেরও বেশি উদ্ধারকর্মী চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাওয়া ঘর ও কাদার নিচে চাপা পড়া রাস্তাগুলোতে নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। তাদের খারাপ আবহাওয়ার বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রাজধানী টোকিও থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ৩৬ হাজার বাসিন্দার শহর আতামিতে গত শনিবার স্থানীয় সময় সকালে ভূমিধসের ঘটনাটি ঘটে। শনিবার আতামিতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। এরই এক পর্যায়ে ভূমিধস হয়; প্রবল কাদা ও পাথরের ¯্রােত ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়ে রাস্তা ভেঙে এগিয়ে যায়। রাষ্ট্রায়ত্ত এনএইচকে টেলিভিশনকে এক ব্যক্তি বলেন, আমার মা এখনো নিখোঁজ। এখানে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটতে পারে তা কল্পনাও করিনি। ৭৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তি জানান, তার অপর পাশের ঘরটি কাদার ¯্রােতে ভেসে গেছে, আর সেখানে যে দম্পতি থাকতেন তারা নিখোঁজ রয়েছেন।
গতকাল সোমবারের মধ্যে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারীর সংখ্যা বেড়ে দেড় হাজার জনে দাঁড়িয়েছে এবং সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব ধ্বংসস্তূপের মধ্যে চাপা পড়া সব লোককে আমরা উদ্ধার করতে চাই।
পুলিশ, দমকল কর্মী ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধারকাজে সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছেন বলে জানান তিনি। জাপান সরকারের মুখপাত্র হিরোকি ওনুমা রয়টার্সকে তৃতীয় আরেকজনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে বলেন, আতামিতে ১১৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত তৃতীয় ব্যক্তি একজন নারী বলে জাপানি গণমাধ্যম জানিয়েছে। গত শনিবার ঘটনার পর থেকে রোববার পর্যন্ত নিখোঁজের সংখ্যা ২০ জন বলা হচ্ছিল। কিন্তু গতকাল সোমবার কর্মকর্তারা পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের ফোন কলের সূত্র ধরে নিখোঁজদের সংখ্যা নির্ধারণ বাদ দিয়ে বাসিন্দাদের তালিকা ধরে অনুসন্ধান শুরু করার পরই সংখ্যাটি অনেক বেড়ে যায় বলে জানান ওনুমা। তবে সোমবার দুপুরের মধ্যে নিখোঁজদের সংখ্যা কমে প্রায় ৮০ জনে নেমে আসে বলে জানায় বার্তা সংস্থা কিয়োদো।
পাহাড়ের ধাপে একটি উষ্ণ প্র¯্রবণ রিসোর্ট ধসে সাগরের দিকে চলে যায়। পানি, কাদা ও আবর্জনার ¯্রােত প্রবাহিত হয়ে একটি নদীপথ ধরে প্রায় দুই কিলোমিটার গিয়ে সাগরে পড়ে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়। এতে ১৩০টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব কাতসুনোবু কাতো আতামির বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ওই এলাকার মাটি আলগা হয়ে আছে; ফলে অল্প বৃষ্টিও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি। মুখপাত্র ওনুমা জানান, আতামিতে এখন বৃষ্টি থেমেছে, কিন্তু আরো বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় ফের ভূমিধসের সম্ভাবনা বাড়ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়