কঠোর লকডাউন : ঘর থেকে বের হলেই ‘কঠোর শাস্তি’

আগের সংবাদ

বদলে গেছে ঢাকার দৃশ্যপট

পরের সংবাদ

রায়পুরায় ডাকাত অপবাদ দিয়ে ২ যুবককে হত্যা : মামলা করায় বাদীকে হুমকি

প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি : ভিসা, বিমান টিকেট কাটাসহ আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি শেষ। জীবিকার তাগিদে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব পাড়ি দেয়ার কথা ছিল জুয়েল মিয়ার। গত ৮ জুন বিকালে ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হন তিনি ও তার চাচাত ভাই সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক নাঈম মিয়া। এরপর তারা দুজন আর জীবিত বাড়ি ফিরেননি। নরসিংদীর বেলাব উপজেলার দড়িকান্দির খাইল্লাবন্ধেরচরে ডাকাত অপবাদ দিয়ে দুজনকে মাথায় ও শরীরের আঘাত করে হত্যা করা হয়। নিহত দুজন নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার লোচনপুর গ্রামের বাসিন্দা। তারা ওই এলাকার আতর মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২৪) ও শহিদুল্লাহ মিয়ার ছেলে নাঈম মিয়া (২৩)।
দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৯ জুন বেলাব থানা ও ১৪ জুন নরসিংদী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। বেলাব থানায় দায়ের করা মামলার বাদী নিহত নাঈমের ভাই সেন্টু মিয়া। এতে অজ্ঞাত দেড়শ জনকে আসামি করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, বাদীর দেয়া আসামিদের নাম এজাহারে উল্লেখ করেননি বেলাব থানা পুলিশ। পরে নিহত জুয়েলের বোন উত্তরবাখরনগর ইউনিয়ন মহিলা লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য পরিষ্কার বেগম জেলা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৬ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটি আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বেলাব থানাকে নির্দেশ দেয় আদালত।
পরিষ্কার বেগম জানান, তিনি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আসামিরা তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে রায়পুরা থানা ও নরসিংদী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খোঁজে বের করে দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
পরিষ্কার বেগম বলেন, হত্যার আগে অপরিচিত নম্বর থেকে এক ব্যক্তি ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এ সময় জুয়েল ওই ব্যক্তির নম্বর থেকে আমার সঙ্গে কথা বলেন। দড়িকান্দির নির্জন চরে আটকে রেখে ডাকাত অপবাদে তাদের মেরে ফেলার শঙ্কার কথা জানায়। অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি আবারো কল দিয়ে জানতে চান টাকা নিয়ে আসতেছি কিনা। এর কিছুক্ষণ পর সংবাদ পাই জুয়েল ও নাঈমকে তারা মেরে ফেলেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বেলাব থানার উপপরিদর্শক জানান, আদালতে দায়েরকৃত সিআর মামলা ও বেলাব থানার মামলা দুটির ঘটনা একই। দুটি হত্যার ঘটনায় তদন্ত চলমান। তদন্তে উঠে আসা তথ্যে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে দুজনের মৃত্যু হয়ে বলে জানান তিনি।
বেলাব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) উত্তম কুমার রায় জানান, তদন্তের স্বার্থে কিছু লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। দায়েরকৃত হত্যা মামলার তদন্ত চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়