গলায় খাবার আটকে মৃত্যু প্রতিবন্ধীর

আগের সংবাদ

নতুন সিনেমায় অপি করিম

পরের সংবাদ

দেশে করোনার ঊর্ধ্বগতি : লকডাউন ও বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানোর নতুন কৌশল

প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৯, ২০২১ , ১২:০২ পূর্বাহ্ণ

দেশে এখন করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি আগের অবস্থাকে ছাড়িয়ে গেছে। করোনার সংক্রমণ ৪০টির অধিক জেলায় গ্রামেগঞ্জেও ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক জেলা ও উপজেলাতে কয়েক সপ্তাহ থেকেই বিশেষভাবে লকডাউন, বিধিনিষেধ, মানুষ ও পরিবহনের চলাচল থামিয়ে দেয়া হয়েছে। আন্তঃজেলা পরিবহন চালু করতে না করতেই আবার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোতেই লকডাউন, বিধিনিষেধ এবং ঢাকার সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষ হাল্কা পরিবহন ও হেঁটে যার যার গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এ অবস্থাতে করোনা সংক্রমণের হার আশঙ্কা জনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সরকার সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত বিশেষ এবং ১ জুলাই থেকে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করেছে। সংক্রমণের অবস্থা বিবেচনা করে এই লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করার কথাও বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম করোনা সংক্রমিত দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক সংস্থার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। তবে করোনা সংক্রমণের বিস্তার ঘটলেও মৃত্যুর হার এখনো পর্যন্ত করোনার হার যেসব দেশে ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছিল সেসব দেশের তুলনায় যথেষ্ট কম বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। বিশেষজ্ঞরাই বলতে পারবেন মৃত্যুর হার এখানে কম হওয়ার প্রকৃত কারণ ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা সম্পর্কে। তবে মৃত্যুর হার বর্তমানে যা রয়েছে তা স্থির নয়, বেড়ে যেতেও পারে এমনটি বিশেষজ্ঞরা বলছেন। কী কারণে বাংলাদেশে এই সময়ে করোনার ঢেউ শহর ও গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে সেটি নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলার কারণে বর্তমান সংক্রমণের হার এ পর্যায়ে এসেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এছাড়া করোনার টিকা যতদিন পর্যন্ত ব্যাপকভাবে মানুষকে দেয়া না যাবে, ততদিন পর্যন্ত করোনার ঊর্ধ্বগতি হ্রাস করা বেশ কঠিন হবে বলেই সবাই মনে করছেন।
সরকার নতুন করে লকডাউনের কথা উচ্চারণ করার সঙ্গে সঙ্গেই রাজধানী থেকে লাখ লাখ মানুষ গত ঈদের মতো আবারো গ্রামে পাড়ি জমাতে শুরু করেছে। এবারের পাড়ি জমানোটি গত ঈদের চেয়ে বিপজ্জনক হবে এ কারণেই যে, যেসব জেলা-উপজেলায় এসব মানুষ যাচ্ছেন সেগুলোর বেশিরভাগেই করোনার সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে আছে। ফলে যারা সুস্থ শরীর নিয়ে ওইসব এলাকায় যাচ্ছেন তারা বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়তে যাচ্ছেন। নিজেরা যদি এখানে সংক্রমিত হয়ে থাকেন তাহলে এলাকায় ফিরে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে নিজেই করোনা ছড়িয়ে দিতে পারেন। সেই এলাকায় যদি সংক্রমণ আগে থেকেই থাকে তাহলে বিপদ বহুমাত্রায় বেড়ে যাবে। সেসব জেলা-উপজেলায় করোনার চিকিৎসা নিয়ে এমনিতেই স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবাকর্মীরা হিমশিম খাচ্ছেন। সুতরাং নতুন করে আসা রোগীদের সামাল দেয়া মোটেও সম্ভব হওয়ার কথা নয়। অতএব আগের বাড়ি যাত্রা, আর এবারের যাত্রার মধ্যে স্থানীয় বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন। সে কারণে লকডাউনের কথা ঘোষিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যারা স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে, রাস্তাঘাটে যানবাহনের সংকটকে তুচ্ছ জ্ঞাত করে বাড়িতে পাড়ি জমাচ্ছেন তারা আসলে শেষ পর্যন্ত কোন ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছেন তা বলা বেশ কঠিন। তবে আগামী মাসের ২০-২১ তারিখের দিকে কুরবানির ঈদ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সেটিও আরেকটি করোনা বিস্তারের ঝুঁকি হিসেবে এবার আবির্ভূত হতে পারে। গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যবিধির বালাই এমনিতেই নেই। তার ওপর লকডাউনের ‘ছুটি’ নিয়ে যারা এখনই বাড়ি যাত্রা করছেন তারা নিজ নিজ এলাকায় এই দীর্ঘ সময়ে কতটা সুস্থ থাকবেন, অসুস্থ হলে কোথায় যাবেন, কীভাবে চিকিৎসা নেবেন- এটি দুশ্চিন্তার বিষয়। এরপর যদি কুরবানি হাট, গরু-ছাগল বেঁচাকেনা নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে সংক্রমিত এলাকায় পরিস্থিতি কী হতে যাচ্ছে তা আগাম অনুমান করা বেশ কঠিন। সে কারণেই সরকার, বিশেষজ্ঞমহল, স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিবর্গ, সমাজ ও রাষ্ট্র নিয়ে যারা ভাবেন তারাসহ সবাই করোনার বর্তমান ঊর্ধ্বগতি, বেহাল লকডাউন, মানুষের গ্রামমুখী ঢল, ঈদ উদযাপনের মানসিকতা ইত্যাদির মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়গুলো উপেক্ষিত হলে দেশের করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেবে তা সত্যিই বলা মুশকিল। সবাই এখন কমবেশি করোনার নতুন সংক্রমণের পরিণতি নিয়ে শঙ্কিত। লকডাউন কার্যত খুব বেশি ফলদায়কও হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞদের অভিমত হচ্ছে শতভাগ মানুষকে মাস্ক পরিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানা, সামাজিক অনুষ্ঠানাদি, সমাবেশ ইত্যাদিকে পরিহার করে মানুষকে যদি কর্মস্থলেও রাখা যায় তাতেও করোনা সংক্রমণের বিস্তার অনেকটা নিয়ন্ত্রণমূলক অবস্থানে ধরে রাখা যেতে পারে। এটি অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গেছে যে আমাদের এখানে লকডাউন বা শাটডাউন যত ধরনের নামকরণের মাধ্যমে চালু করার চেষ্টা করা হোক না কেন তা দিয়ে মানুষকে আটকে রাখা যাচ্ছে না। অনেকের সঙ্গত কারণ যেমন আছে, আবার অনেকের নানা ধরনের যুক্তি ও বক্তব্য দেয়ার কমতি নেই। অনেকে কাজের প্রয়োজনেই বের হচ্ছেন, আবার অনেকে নানা ধরনের উদ্দেশ্য থাকে বাইরে আসার। সুতরাং পুরুষদের ঘরে ধরে রাখা যাচ্ছে না, নারীদের মধ্যে যারা কর্মজীবী তারাও বসে থাকতে পারছেন না। কিন্তু সমস্যাটি হচ্ছে এই বাইরে আসা সব মানুষই যদি মাস্ক পরা নিয়ে যে অজুহাত এবং অনীহা দেখাচ্ছে তাতেই সেটি না করা হতো। শতভাগ মানুষ নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে যদি কর্মস্থলে যাওয়া-আসা করতেন কিংবা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষে বাড়ি চলে আসতেন তাহলে করোনা সংক্রমণের বিস্তার এতটা বৃদ্ধি পাওয়ার তেমন কোনো বৈজ্ঞানিক কারণ থাকত না। সেক্ষেত্রে লকডাউনেরও প্রয়োজন এতটা পড়ত না। এখন লকডাউনও কার্যকর করা সরকারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। বরং লকডাউন উপলক্ষে মানুষের স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে বাড়ি যাওয়ার যে অদম্য স্পৃহা দৃশ্যমান হচ্ছে তাতে করোনার সংক্রমণ আরো বেশি বেড়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। সুতরাং সরকারের সব মহলের মনে হয় দেশীয় বাস্তবতার অভিজ্ঞতা থেকে লকডাউন, শাটডাউনের ধারণা থেকে বের হয়ে শতভাগ মানুষের মুখে মাস্ক ব্যবহারের নিশ্চয়তা বিধান ও কার্যকর করার প্রতি মনোযোগী হওয়া অধিকতর বাস্তবসম্মত। প্রয়োজনে গরিবদের মধ্যে মাস্ক নিয়মিত বিনা পয়সায় বিতরণ করা জারি রাখতে হবে। সর্বত্র মাস্ক ব্যতীত মানুষের চলাচল, কর্মস্থল, সেবাদানকারী সব ধরনের প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব উদ্যোগে মাস্কের বাধ্যবাধকতা কার্যকর করার উদ্যোগ নিতে হবে। যারা শৈথিল্য কিংবা ব্যর্থতার পরিচয় দেবে তাদের আইনানুগভাবে তিরস্কৃত অথবা জরিমানার সম্মুখীন করতে হবে। টিকাকরণ যতদিন পর্যন্ত সম্পন্ন না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত লকডাউন, শাটডাউন ইত্যাদি পরিহার করে স্বাস্থ্যবিধির ব্যবস্থাগুলোকেই প্রশাসন, প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিকভাবে কার্যকর করার ব্যবস্থা করতে হবে। তা না করে আমরা গত দেড় বছর যেভাবে যুদ্ধ-যুদ্ধ পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলা করার চেষ্টা করছি তাতে খুব একটা ফল দিচ্ছে না, বরং অর্থনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা, বিভিন্ন পেশা এবং গোটা সমাজ ব্যবস্থাই নানা সংকটে জড়িয়ে পড়ছে। সরকারকে এখন অন্যদিক থেকে বিষয়গুলো দেখা এবং করণীয় নির্ধারণ করার কথা গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে। এভাবে বাংলাদেশ সামনের দিনগুলোতে আরো নতুন নতুন জটিল সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে। এরই মধ্যে সমাজে নানা ধরনের প্রতারণা, দুর্নীতি, নিষ্ঠুরতা, মানবিক মূল্যবোধের সংকট, বিভিন্ন অপশক্তির অপকর্মের জাল বিস্তার, সমাজে নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতা তৈরির লক্ষণ দেখা দিয়েছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এতসব নিত্যনতুন সমস্যা ও সংকটের সমাধানে ব্যস্ত রাখতে হচ্ছে। তাতেও তাদের সময় কুলোচ্ছে না।
করোনাকালের এই পরিস্থিতিটি লক্ষ করেই সম্ভবত কিছু কিছু রাজনৈতিক দল সামাজিক সমাবেশে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে সংঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে। মানুষকে নানা ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে। অথচ বাংলাদেশই শুধু নয় গোটা বিশ্বই এক মারাত্মক সংকটের ভেতর দিয়ে চলছে। এই সময় দেশের অভ্যন্তরে মানুষের জীবন-জীবিকা, সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা, তরুণদের ভবিষ্যৎ নির্মাণ ইত্যাদিকে এগিয়ে নেয়া ব্যতীত ভয়াবহ এক সংকট গোটা রাষ্ট্রীয় জীবনের ওপর নেমে আসতে পারে। সেদিকেই এখন গভীরভাবে মনোনিবেশ করা দরকার।
সম্প্রতি বিএনপি বাজেটকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু বক্তব্য দিয়েছে, যা গতানুগতিক সমালোচনা হিসেবে দেখা যেতে পারে। তবে বিএনপির কিছু কিছু অঙ্গসংগঠন এবং বিএনপির ঘনিষ্ঠ কিছু মিত্র সংগঠন করোনা সংকটসহ নানা বিষয়ে মতামত দেয়ার জন্য কিছু কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে। করোনার প্রতিকারে তাদের না আছে কোনো উদ্যোগ কিংবা প্রতিকারের প্রস্তাবনা। তবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য দলের ভেতর থেকে যেমন সমর্থকদের মধ্যেও একটি চেষ্টা বেশ পরিলক্ষিত হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে গত বছর সরকারের নির্বাহী ক্ষমতাবলে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেয়ার যে সুযোগটি পেয়েছিলেন সেটি এখনো বলবৎ আছে। কিছুদিন আগে তিনি করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতালে ব্যক্তিগত উদ্যোগে চিকিৎসা নিয়ে তিনি আবার বাসায় ফিরে গেলেন। দলের মহাসচিব তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে বলে দাবি করে আসছেন। কিন্তু তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের এটি অভিমত কিনা তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি। বিএনপি কখনো দাবি করছে যে তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়, দেশে তার চিকিৎসা নেই, বিদেশেই তাকে উন্নত চিকিৎসা নিতে হবে, আবার কখনো বলছে যে তিনি এখন মোটামুটি সুস্থ আছেন। যেহেতু তিনি একজন সাজাপ্রাপ্ত কারাবন্দি তাই বিষয়টি একেবারেই আইনের, কোনো ব্যক্তি বা দলের মুখপত্রের ব্যাখ্যায় যুক্তি থাকলেও আইনের অনুশ্রিত বক্তব্য নয়। সুতরাং খালেদা জিয়ার কারারুদ্ধ হওয়ার পর থেকে বিএনপি তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে যা দাবি করছে তাতে শারীরিক অসুস্থতা ও রাজনীতি মিশেল হয়ে আছে। বর্তমানে তিনি বাসায় অবস্থান করছেন। বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এমন দাবি রাজনৈতিকভাবে না করে বরং সরকারি এবং বেগম জিয়ার নিজস্ব চিকিৎসক দলের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল অনুযায়ী জানানো হলে সেটির একটি আলাদা গুরুত্ব থাকবে। কিন্তু ২৬ জুন এক যুক্ত বিবৃতিতে দেশে বিএনপিপন্থি ১ হাজার ৫৫৭ জন সাংবাদিক খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য যাওয়ার অনুমতি দেয়াসহ তার জামিন দেয়ারও যে দাবি জানানো হয়েছে তা কতটা সাংবাদিকদের রাজনৈতিক, কতটা আইনানুগ ধারায় করা হয়েছে সেটিই মস্ত বড় প্রশ্ন। তবে এ ধরনের বিবৃতি অন্যান্য পেশার ব্যক্তিবর্গও করতে পারেন বলে মনে হচ্ছে। সময়টি তারা মনে করছেন সরকারের ওপর চাপ দেয়ার জন্য উপযুক্ত। কিন্তু বিদেশি চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টিতে মেডিকেল বোর্ডের মতামত সর্বাগ্রে প্রয়োজন। এরপর কোন দেশে, কোন হাসপাতালে চিকিৎসা হবে সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, সেসব বাদ দিয়ে খালেদা জিয়াকে বিদেশের নাম না করে চিকিৎসার দাবি করে যে মুক্তির আহ্বান জানানো হচ্ছে সেটি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশপ্রণোদিত ভাবার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। সুতরাং করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বিএনপি এবং দলের মিত্র শক্তিগুলো খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার যে দাবি তুলছে সেটি তাদের নতুন কোনো পরিকল্পনার অংশ হতে পারে। এমনটি হলে সরকার বেগম জিয়ার বিদেশ যাত্রা করোনার এই সময়ে কতটা বিবেচনা করবে সেটি মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়