গলায় খাবার আটকে মৃত্যু প্রতিবন্ধীর

আগের সংবাদ

নতুন সিনেমায় অপি করিম

পরের সংবাদ

ঈশ্বরদীতে টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যা

প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঘটনার চার দিন পর ঈশ্বরদীতে অজ্ঞাতনামা প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। আলোচিত এ খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতোমধ্যে চারজনকে আটক করা হয়েছে। জড়িতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে দাবি করেন পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম।
গতকাল সোমবার দুপুরে ঈশ্বরদী থানায় আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার এসব তথ্য জানান।
গত ২৪ জুন গভীর রাতে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর রহিমপুর গ্রামে জাহিদুল ইসলাম প্রামাণিকের বাড়ির শয়নকক্ষ থেকে প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক মিলন হোসেন ওরফে চাপার (৩০) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। খুনের ঘটনার সন্দেহে পুলিশ সে সময় আওতাপাড়া থেকে জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী ছামেলা খাতুনকে আটক করে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, নিহত যুবকের প্রকৃত নাম মিলন হোসেন। সে ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা গ্রামের আবু বক্কার মাতুব্বরের ছেলে। সে শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারত না। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থানার দর্শনায় ভূমিহীন পাড়ায় তার শ্বশুরবাড়িতে থেকে সে ভিক্ষা করত। পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য তদন্তের জন্য ঈশ্বরদীর শাকিল হোসেন ও সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থেকে জাহিদুল প্রামাণিক ও নিরঞ্জন দাসকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, প্রায় ৬ বছর পূর্বে মিলনের সঙ্গে জাহিদুলের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে জাহিদুল ও মিলন একসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা এলাকায় ভিক্ষা করত। পরবর্তী সময়ে তারা পাবনার চাটমোহর রেলবাজার এলাকায় বাসা ভাড়া দিয়ে ভিক্ষা শুরু করে। দুই মাস ভিক্ষার পর মিলন ও জাহিদুলের মধ্যে ভিক্ষার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে চরম বিরোধ বাধে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়াও হয়। এই ঘটনার পর জাহিদুল, তার স্ত্রী ছামেলা খাতুন, ছেলে শাকিল ও সহযোগী নিরঞ্জন মিলে প্রতিবন্ধী মিলনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৪ জুন রাত ১টায় প্রতিবন্ধী মিলনকে তারা বালিশচাপায় শ্বাসরোধ ও ব্লেড দিয়ে শরীর কেটে তাকে হত্যা করে বাড়ির পাশের একটি শয়নকক্ষে লাশ লুকিয়ে রাখে। পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর খুনের ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়।
পুলিশ সুপার আরো জানান, আটক চারজনকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর গত রবিবার পাবনা আদালতে হাজির করা হলে তারা দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। প্রেস বিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন- ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির, থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ হাদিউল ইসলাম প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়