হৃত মর্যাদা ফেরত! : কাশ্মিরের নেতাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক নরেন্দ্র মোদির

আগের সংবাদ

বাদলা দিন আসছে!

পরের সংবাদ

কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভ : বুড়িমারী স্থলবন্দর

প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, লালমনিরহাট : লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে সিএনএফ ব্যবসায়ী ও ভারতীয় ট্রাকচালকরা কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা বন্দরে ৩ ঘণ্টাব্যাপী কর্মবিরতি পালন করেন। এতে স্থলবন্দরে ট্রাকের দীর্ঘ লাইনে যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন আমদানিকারক, রপ্তানিকারক ও সাধারণ শ্রমিকরা।
ভারতীয় ট্রাক শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশে প্রবেশের পর দুপুর ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বুড়িমারী স্থলবন্দরে বিক্ষোভ করেন। এ সময় সিএনএফ ব্যবসায়ীরাও বিক্ষোভে যোগ দেন। পরে যৌথভাবে কর্মবিরতি পালন করা হয়।
বুড়িমারী কাস্টমস সহকারী কমিশনার (এসি) কেফায়েত উল্লাহ মজুমদার জানান, বুড়িমারী স্থলবন্দরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও দ্রুত রাস্তা নির্মাণের আশ্বাসে বিকাল ৪টা থেকে আবারো আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়। জানা গেছে, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সময়মতো না করাসহ বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার কারণে বন্দরে শ্রমিক ও গাড়িচালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ময়লা-আর্বজনার ভাগাড়, বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, পণ্য রাখার শেডগুলোতে দুর্গন্ধ, ঢাকনা ছাড়া ম্যানহোল, ধুলাবালি রোধে পানি না দেয়া, সড়কে গর্ত, যানজট, শৌচাগার ব্যবহার অনুপযোগীসহ নানা কারণে গাড়িচালক, বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। তারকা ট্রেডিংয়ের আমদানিকারক সাদিকুর রহমান মানিক বলেন, স্থলবন্দরে প্রবেশের গেটের সামনে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিদিনই বিকল হচ্ছে ভারতীয় মালবাহী ট্রাক। এসব বিষয়ে আমদানি-রপ্তানিকারক, সিএন্ডএফ এজেন্ট, শ্রমিকরা বন্দর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ভারত থেকে ট্রাক নিয়ে আসা চালক শাহ আলম জানান, বুড়িমারী স্থলবন্দরের গেট থেকে শেডে প্রবেশের সড়কের বেহাল অবস্থা, খানাখন্দে ভরা। প্রায়ই ট্রাকের চাকা নষ্ট হয়ে বিকল হয়ে পড়ে। এতে আমাদের ব্যাপক সমস্যা হয়। বুড়িমারী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি সফর উদ্দিন বলেন, বন্দরের শেডগুলো থেকে পণ্য লোড-আনলোড করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভুসি, ভুট্টা, সয়াবিন ও মাছের খাদ্য পচে-গলে বিকট গন্ধে শ্রমিকরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বন্দরের পরিচালককে বললেও তিনি কর্ণপাত করেন না।
এ ব্যাপারে বুড়িমারী বন্দরের উপপরিচালক মো. মাহফুজুল ইসলাম ভ‚ঁঞা বলেন, বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুতই বুড়িমারী স্থলবন্দরের ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়, জলাবদ্ধতা, রাস্তা সংস্কার করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়