কাগজ ডেস্ক : জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের দুবছরের মাথায়, গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথমবার কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন উপত্যকার রাজনৈতিক নেতারা। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে থাকার কথা জম্মু-কাশ্মিরের ১৪ জন নেতার। এদের অধিকাংশই গতরাতেই দিল্লি পৌঁছে যান।
এদিকে বৈঠকের কথা মাথায় রেখেই জম্মু-কাশ্মিরে ৪৮ ঘণ্টার জন্য রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়। চ‚ড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়েছে নিয়ন্ত্রণরেখা জুড়ে। বস্তুত এ দিন কাশ্মিরে তিনটি আলাদা হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলওয়ামায় নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়ে এক যুবক। শোপিয়ানে সংঘর্ষে নিহত হয় এক জঙ্গি। এছাড়া শ্রীনগরে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের হাতে খুন হয় অপর এক যুবক। বৈঠকের বিষয়বস্তু বিষয়ে গতকাল পর্যন্ত সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে সূত্রের মতে, জম্মু-কাশ্মিরে আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচন করানোর পক্ষপাতী কেন্দ্র সরকার। কিন্তু তার আগে দুদশক ধরে আটকে থাকা জম্মু-কাশ্মিরের বিধানসভা আসনগুলোর পুনর্বিন্যাস সেরে ফেলতে চায় নরেন্দ্র মোদি সরকার। সূত্রের মতে, সেই বিষয়টি আলোচনার জন্যই ওই বৈঠক ডেকেছেন মোদি।
কাশ্মিরের ছয় দলের গুপকর জোটের মুখপাত্র তথা সিপিএম নেতা ইউসুফ তারিগামি এ বিষয়ে গতকাল বলেন, কী নিয়ে আলোচনা হবে তা জানি না। সরকার কী বলতে চাইছে, তা দেখেই জোট তার করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে ইতোমধ্যেই ফারুক আবদুল্লা বা মেহবুবা মুফতির মতো সাবেক মুখ্যমন্ত্রীরা জানিয়ে দিয়েছেন, বৈঠকে তাদের মূল দাবিই হবে জম্মু-কাশ্মিরের রাজ্যমর্যাদা ও লোপ পাওয়া বিশেষ মর্যাদার পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
মেহবুবার কথায়, দুবছর আগে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, পরিস্থিতি শান্ত হলে জম্মু-কাশ্মিরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়া হবে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে তার আশ্বাসের কথা মনে করিয়ে দিতে চাই। উল্লেখ্য, এর আগে বিজেপির শীর্ষ নেতা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও একবার বলেছিলেন, এমনটি কখনই বলিনি যে, জম্মু ও কাশ্মিরের হৃত মর্যাদা আর কোনো দিনই ফিরিয়ে দেয়া হবে না।