হৃত মর্যাদা ফেরত! : কাশ্মিরের নেতাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক নরেন্দ্র মোদির

আগের সংবাদ

বাদলা দিন আসছে!

পরের সংবাদ

ঈদের নাটক : সরগরম শুটিংপাড়া

শাহনাজ জাহান গত কয়েক বছরই ঈদের নাটকে সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি মোশাররফ করিম, আফরান নিশো, অপূর্ব, সজল, ফজলুর রহমান বাবু, চঞ্চল চৌধুরী, আজাদ আবুল কালাম, আ খ ম হাসান, রওনক হাসানের। অভিনেত্রীদের মধ্যে মেহজাবীন, তিশা, মম, নাদিয়া, রিমি করিম, ঈশানার ব্যস্ততা বেশ চোখে পড়ে। তবে করোনা আসার পর থেকেই চঞ্চল চৌধুরী যেন নিজেকে টিভি নাটক থেকে কিছুটা গুটিয়ে রেখেছেন। অনেকটাই বেছে বেছে কাজ করেন এই অভিনেতা। ইদানীং নাটকের চেয়ে সিনেমায় অভিনয় নিয়ে ভীষণ সিরিয়াস দেখা যায় তাকে। একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে তাক লাগিয়েছেন দর্শকদের। সিনেমায় অভিনয়টা ভীষণ উপভোগ করেন বলেও একাধিকবার সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে সিনেমায় অভিনয় করলেও টিভি নাটকেই নজর কেড়েছেন মোশাররফ করিম। আর অপূর্ব, নিশো, মেহজাবীন তো বর্তমান সময়ে টিভি পর্দার সবচেয়ে ব্যস্ততম শিল্পী। গত কয়েক দিন ধরে ঢাকার শুটিংপাড়া-খ্যাত উত্তরা ঘুরে দেখা গেছে শিল্পী, নির্মাতা ও কলাকুশলীরা ব্যস্ত ঈদের নাটক নিয়ে। উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরে আপন ঘর শুটিং হাউসে গত ১৬ জুন শুটিং করছিলেন মোশাররফ করিম। ১০ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়িতে আফরান নিশো। তার পাশেই ব্যস্ত অপূর্ব ও মেহজাবীন চৌধুরী। গত বুধবারও উত্তরায় শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় অপূর্ব, নিশো ও মেহজাবীনকে। পুবাইলের শুটিং বাড়িগুলোতেও একই চিত্র। সেখানে ব্যস্ত জাহিদ হাসানসহ বর্তমান টিভি মিডিয়ার অনেক শিল্পী। টেলিভিশনের অনুষ্ঠান বিভাগ এবং বিভিন্ন অনলাইনভিত্তিক প্লাটফর্মের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতি ঈদেই পাঁচ শতাধিক নাটক নির্মিত হয় ঈদকে ঘিরে। বিগত এক দশক ধরেই প্রতি ঈদে মোশাররফ করিমের ৩০টির বেশি নাটক প্রচারিত হয়। এবারের ঈদেও সেভাবেই কাজ করে চলেছেন এই অভিনেতা। গত মাস থেকেই ঈদ নাটকের শুটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। এই অভিনেতা বলেন, ‘করোনার কারণে গত দুই বছর ঈদের কাজ করে স্বস্তি পাচ্ছিলাম না। তাই একটু বুঝেসুঝে শিডিউল দিচ্ছি। এজন্য একটু কম কাজ করছি।’ করোনার জন্য শুটিংয়ের শিডিউল নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও টিভি চ্যানেলগুলো আগে থেকেই এবার পরিকল্পনা সাজিয়ে নিয়েছে। প্রতি বারই ঈদে প্রায় ৫০টির মতো নাটক সম্প্রচার করে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি। এবারের ঈদেও ৪৫টির বেশি নাটক সম্প্রচারের প্রস্তুতি নিচ্ছে চ্যানেলটির অনুষ্ঠান বিভাগ। আরটিভির অনুষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তা প্রসেনজিত রায় ভোরের কাগজকে বলেন, ‘করোনার বিষয়টি মাথায় রেখে আরটিভি আগে থেকেই পরিকল্পনা সাজিয়ে নিয়েছে। এরই মধ্যে বেশিরভাগ নাটকের শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। কিছু নাটকের কাজ বাকি আছে। আশা করি দ্রুতই সম্পন্ন হবে। আরটিভি এবার দর্শকের ঈদ আনন্দকে বাড়িয়ে দিতে বর্ণিল অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। সেখানে এক ঘণ্টার নাটক, সাত পর্বের ধারাবাহিক ও টেলিফিল্ম প্রচার হবে। আশা করছি দর্শক আরটিভিতে চোখ রাখবেন এবারের ঈদ আয়োজনে।’ ২০১৭ সালে অভাবনীয় জনপ্রিয়তা পায় ‘বড় ছেলে’ নাটকটি। তারপর থেকে প্রতি ঈদে অপূর্ব-মেহ্জাবীন জুটিকে নিয়ে নাটক নির্মাণ করতেন মিজানুর রহমান আরিয়ান। এই নির্মাতা এবারের ঈদে ৭টি কনটেন্ট নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন। এর মধ্যে কুরবানির ঈদের জন্য তিনটি শর্টফিল্ম এবং চারটি নাটক নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। এতে ‘অপূর্ব, আফরান নিশো, মেহজাবীন, তানজিন তিশা, ঈশিতা, শ্যামল মাওলা, খায়রুল বাশারসহ অনেককে দেখা যাবে। প্রতি ঈদেই বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেন রিমি করিম। এবারো কয়েকটি নাটকে অভিনয়ের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানালেন এই অভিনেত্রী। রিমি করিম বলেন, ‘করোনার জন্য এবার একটু বেছে বেছে কাজ করার চেষ্টা করছি।’ আসন্ন ঈদে বাংলাভিশন, এনটিভিসহ বিনোদননির্ভর সব চ্যানেলেই নাটক প্রচার হবে। এছাড়া শিশুদের বিশেষ চ্যানেল দুরন্ত প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। সব মিলিয়ে চ্যানেলগুলোর নিজস্ব স্টুডিও এবং বিভিন্ন শুটিং বাড়িতে এখন তুমুল ব্যস্ততা। শুটিং হাউসের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, করোনার কারণে গত বছর অনেক দিন শুটিং হাউস বন্ধ রাখতে হয়। এখন করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ শুটিং হাউস বুকড হয়ে আছে। ঈদের কাজ দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে তারা। এবার ঈদে বিটিভিতে প্রচারিত হবে তাদের নিজস্ব প্রযোজনায় ৫টি নাটক। এগুলো হলো পান্থ শাহরিয়ারের রচনায় এবং নোমান হাসান খানের প্রযোজনায় নাটক ‘বকুলের আয়না’, বৃন্দাবন দাসের রচনা ও মাহফুজা আক্তারের প্রযোজনায় ‘চারিত্রিক সনদ’, ইমদাদুল হক মিলনের রচনা ও নূর আনোয়ার হোসেনের প্রযোজনায় ‘বিয়ের কয়েকদিন আগে’, মীর সাব্বিরের রচনা ও সোলেমান হকের প্রযোজনায় ‘হাম্বা ডট কম’ এবং বদরুল আনাম সৌদের রচনা ও মনিরুল হাসানের প্রযোজনায় নাটক ‘আকাশ ভাবনা’। প্রযোজনা সংস্থা সিএমভি সূত্রে জানা গেছে, এবারের ঈদে ১৫-২০টি নাটক নির্মাণের পরিকল্পনা আছে তাদের। ঈদে ব্যস্ত নির্মাতাদের মধ্যে রয়েছেন মাবরুর রশিদ বান্নাহ, কাজল আরেফিন অমি, মোস্তফা কামাল রাজ, ইউসুফ চৌধুরীসহ বেশ কিছু পরিচালক। কুরবানির ঈদের নাটক নির্মাণ করছেন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিচালক জানালেন, নানা কারণে জনপ্রিয় তারকাদের নিয়েই কাজ করতে হয়। একদিকে ইউটিউব ভিউ অন্যদিকে প্রযোজকদের চাহিদা সব মিলিয়ে ঘুরেফিরে তারাই থাকেন। প্রযোজকরা চান বলে আমরা পরিচালকরাও ঝুঁকি নিতে চাই না। এতে করে নাটক তারকানির্ভর হয়ে যাচ্ছে। গল্প কিংবা ভালো নির্মাণের চেয়েও তারকানিভর্রতা বেশি হলে মান খারাপ হয়। কিছু তো করতে পারছি না। মন খুলে শিল্প নির্মাণ করার সুযোগ কম। চ্যানেল, এজেন্সি এবং দর্শকের ভিউ চাহিদা মেটাতে গিয়ে মান বজায় থাকছে না। এখন টিভি চ্যানেল, এজেন্সি হিসাব করে ভিউ কত হলো! ভিউ দিয়ে তো মান বিচার হয় না। ভিউ বাড়াতে গিয়ে তারকানির্ভর নাটক বানাতে হচ্ছে। তারকা শিল্পীর শিডিউল নিতে পারাটাই পরিচালকের যোগ্যতা। এই প্রক্রিয়া থেকে বের হতে না পারলে টিভি নাটকের মান আরো খারাপ হবে। নতুন শিল্পীও আসবে না।

প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

প্রতি বছরের মতো এবারো ঈদের আনন্দে থাকবে টিভি নাটক। পাঁচ শতাধিক নাটক প্রচার হবে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে। শুধু টিভি চ্যানেল নয়, অনলাইনভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেলকে ঘিরেও তৈরি হচ্ছে নাটক। উত্তরা ও পুবাইলের বিভিন্ন শুটিং হাউস এখন ব্যস্ত। ঈদের নাটককে ঘিরে প্রতিদিনই সকাল থেকে মধ্যরাত
পর্যন্ত চলছে লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন। ঈদের নাটকের কর্মযজ্ঞ নিয়ে লিখেছেন শাহনাজ জাহান

গত কয়েক বছরই ঈদের নাটকে সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি মোশাররফ করিম, আফরান নিশো, অপূর্ব, সজল, ফজলুর রহমান বাবু, চঞ্চল চৌধুরী, আজাদ আবুল কালাম, আ খ ম হাসান, রওনক হাসানের। অভিনেত্রীদের মধ্যে মেহজাবীন, তিশা, মম, নাদিয়া, রিমি করিম, ঈশানার ব্যস্ততা বেশ চোখে পড়ে। তবে করোনা আসার পর থেকেই চঞ্চল চৌধুরী যেন নিজেকে টিভি নাটক থেকে কিছুটা গুটিয়ে রেখেছেন। অনেকটাই বেছে বেছে কাজ করেন এই অভিনেতা। ইদানীং নাটকের চেয়ে সিনেমায় অভিনয় নিয়ে ভীষণ সিরিয়াস দেখা যায় তাকে। একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে তাক লাগিয়েছেন দর্শকদের। সিনেমায় অভিনয়টা ভীষণ উপভোগ করেন বলেও একাধিকবার সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে সিনেমায় অভিনয় করলেও টিভি নাটকেই নজর কেড়েছেন মোশাররফ করিম। আর অপূর্ব, নিশো, মেহজাবীন তো বর্তমান সময়ে টিভি পর্দার সবচেয়ে ব্যস্ততম শিল্পী। গত কয়েক দিন ধরে ঢাকার শুটিংপাড়া-খ্যাত উত্তরা ঘুরে দেখা গেছে শিল্পী, নির্মাতা ও কলাকুশলীরা ব্যস্ত ঈদের নাটক নিয়ে। উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরে আপন ঘর শুটিং হাউসে গত ১৬ জুন শুটিং করছিলেন মোশাররফ করিম। ১০ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়িতে আফরান নিশো। তার পাশেই ব্যস্ত অপূর্ব ও মেহজাবীন চৌধুরী। গত বুধবারও উত্তরায় শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় অপূর্ব, নিশো ও মেহজাবীনকে। পুবাইলের শুটিং বাড়িগুলোতেও একই চিত্র। সেখানে ব্যস্ত জাহিদ হাসানসহ বর্তমান টিভি মিডিয়ার অনেক শিল্পী। টেলিভিশনের অনুষ্ঠান বিভাগ এবং বিভিন্ন অনলাইনভিত্তিক প্লাটফর্মের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতি ঈদেই পাঁচ শতাধিক নাটক নির্মিত হয় ঈদকে ঘিরে। বিগত এক দশক ধরেই প্রতি ঈদে মোশাররফ করিমের ৩০টির বেশি নাটক প্রচারিত হয়। এবারের ঈদেও সেভাবেই কাজ করে চলেছেন এই অভিনেতা। গত মাস থেকেই ঈদ নাটকের শুটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। এই অভিনেতা বলেন, ‘করোনার কারণে গত দুই বছর ঈদের কাজ করে স্বস্তি পাচ্ছিলাম না। তাই একটু বুঝেসুঝে শিডিউল দিচ্ছি। এজন্য একটু কম কাজ করছি।’ করোনার জন্য শুটিংয়ের শিডিউল নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও টিভি চ্যানেলগুলো আগে থেকেই এবার পরিকল্পনা সাজিয়ে নিয়েছে। প্রতি বারই ঈদে প্রায় ৫০টির মতো নাটক সম্প্রচার করে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি। এবারের ঈদেও ৪৫টির বেশি নাটক সম্প্রচারের প্রস্তুতি নিচ্ছে চ্যানেলটির অনুষ্ঠান বিভাগ। আরটিভির অনুষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তা প্রসেনজিত রায় ভোরের কাগজকে বলেন, ‘করোনার বিষয়টি মাথায় রেখে আরটিভি আগে থেকেই পরিকল্পনা সাজিয়ে নিয়েছে। এরই মধ্যে বেশিরভাগ নাটকের শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। কিছু নাটকের কাজ বাকি আছে। আশা করি দ্রুতই সম্পন্ন হবে। আরটিভি এবার দর্শকের ঈদ আনন্দকে বাড়িয়ে দিতে বর্ণিল অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। সেখানে এক ঘণ্টার নাটক, সাত পর্বের ধারাবাহিক ও টেলিফিল্ম প্রচার হবে। আশা করছি দর্শক আরটিভিতে চোখ রাখবেন এবারের ঈদ আয়োজনে।’ ২০১৭ সালে অভাবনীয় জনপ্রিয়তা পায় ‘বড় ছেলে’ নাটকটি। তারপর থেকে প্রতি ঈদে অপূর্ব-মেহ্জাবীন জুটিকে নিয়ে নাটক নির্মাণ করতেন মিজানুর রহমান আরিয়ান। এই নির্মাতা এবারের ঈদে ৭টি কনটেন্ট নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন। এর মধ্যে কুরবানির ঈদের জন্য তিনটি শর্টফিল্ম এবং চারটি নাটক নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। এতে ‘অপূর্ব, আফরান নিশো, মেহজাবীন, তানজিন তিশা, ঈশিতা, শ্যামল মাওলা, খায়রুল বাশারসহ অনেককে দেখা যাবে। প্রতি ঈদেই বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেন রিমি করিম। এবারো কয়েকটি নাটকে অভিনয়ের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানালেন এই অভিনেত্রী। রিমি করিম বলেন, ‘করোনার জন্য এবার একটু বেছে বেছে কাজ করার চেষ্টা করছি।’ আসন্ন ঈদে বাংলাভিশন, এনটিভিসহ বিনোদননির্ভর সব চ্যানেলেই নাটক প্রচার হবে। এছাড়া শিশুদের বিশেষ চ্যানেল দুরন্ত প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। সব মিলিয়ে চ্যানেলগুলোর নিজস্ব স্টুডিও এবং বিভিন্ন শুটিং বাড়িতে এখন তুমুল ব্যস্ততা। শুটিং হাউসের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, করোনার কারণে গত বছর অনেক দিন শুটিং হাউস বন্ধ রাখতে হয়। এখন করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ শুটিং হাউস বুকড হয়ে আছে। ঈদের কাজ দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে তারা।
এবার ঈদে বিটিভিতে প্রচারিত হবে তাদের নিজস্ব প্রযোজনায় ৫টি নাটক। এগুলো হলো পান্থ শাহরিয়ারের রচনায় এবং নোমান হাসান খানের প্রযোজনায় নাটক ‘বকুলের আয়না’, বৃন্দাবন দাসের রচনা ও মাহফুজা আক্তারের প্রযোজনায় ‘চারিত্রিক সনদ’, ইমদাদুল হক মিলনের রচনা ও নূর আনোয়ার হোসেনের প্রযোজনায় ‘বিয়ের কয়েকদিন আগে’, মীর সাব্বিরের রচনা ও সোলেমান হকের প্রযোজনায় ‘হাম্বা ডট কম’ এবং বদরুল আনাম সৌদের রচনা ও মনিরুল হাসানের প্রযোজনায় নাটক ‘আকাশ ভাবনা’।
প্রযোজনা সংস্থা সিএমভি সূত্রে জানা গেছে, এবারের ঈদে ১৫-২০টি নাটক নির্মাণের পরিকল্পনা আছে তাদের। ঈদে ব্যস্ত নির্মাতাদের মধ্যে রয়েছেন মাবরুর রশিদ বান্নাহ, কাজল আরেফিন অমি, মোস্তফা কামাল রাজ, ইউসুফ চৌধুরীসহ বেশ কিছু পরিচালক। কুরবানির ঈদের নাটক নির্মাণ করছেন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিচালক জানালেন, নানা কারণে জনপ্রিয় তারকাদের নিয়েই কাজ করতে হয়। একদিকে ইউটিউব ভিউ অন্যদিকে প্রযোজকদের চাহিদা সব মিলিয়ে ঘুরেফিরে তারাই থাকেন। প্রযোজকরা চান বলে আমরা পরিচালকরাও ঝুঁকি নিতে চাই না। এতে করে নাটক তারকানির্ভর হয়ে যাচ্ছে। গল্প কিংবা ভালো নির্মাণের চেয়েও তারকানিভর্রতা বেশি হলে মান খারাপ হয়। কিছু তো করতে পারছি না। মন খুলে শিল্প নির্মাণ করার সুযোগ কম। চ্যানেল, এজেন্সি এবং দর্শকের ভিউ চাহিদা মেটাতে গিয়ে মান বজায় থাকছে না। এখন টিভি চ্যানেল, এজেন্সি হিসাব করে ভিউ কত হলো! ভিউ দিয়ে তো মান বিচার হয় না।
ভিউ বাড়াতে গিয়ে তারকানির্ভর নাটক বানাতে হচ্ছে। তারকা শিল্পীর শিডিউল নিতে পারাটাই পরিচালকের যোগ্যতা। এই প্রক্রিয়া থেকে বের হতে না পারলে টিভি নাটকের মান আরো খারাপ হবে। নতুন শিল্পীও আসবে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়