ভারত মিয়ানমার থাইল্যান্ড : কানেক্টিভিটি প্রকল্পে যুক্ত হতে আগ্রহী বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

শুভ জন্মদিন পিতা

পরের সংবাদ

শাল্লায় বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদে ইউএনওর দপ্তর ঘেরাও

প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের শাল্লায় হাওড়ের ফসলরক্ষা বাঁধ মেরামত কাজে নানা অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা ইউএনওর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে হাওর বাঁচাও আন্দোলন, শাল্লা উপজেলা কমিটি। অনিয়ম-দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, নীতিমালা উপেক্ষা করে প্রকল্প গ্রহণ, অক্ষত অল্প ক্ষতিগ্রস্ত প্রকল্পে বিপুল বরাদ্দ দিয়ে সরকারের অর্থ নষ্ট এবং বর্ধিত সময়েও বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ার প্রতিবাদে এ ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
গতকাল বুধবার দুপুর ১২টায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে গিয়ে শেষ হয়। ঘেরাও কর্মসূচির পরে এক সমাবেশে ঘণ্টাব্যাপী বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতারা।
সমাবেশে হাওড় বাঁচাও আন্দোলন শাল্লা উপজেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত সেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার। আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন, বাঁধবিষয়ক সম্পাদক রাজু আহমেদ, একাত্তর টেলিভিশন ও দৈনিক কালেরকণ্ঠ পত্রিকার সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি শামস শামীম, শাল্লা উপজেলা কমিটির সহসভাপতি অবিনাশ চন্দ্র দাশ, হবিবপুর ইউনিয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সহসভাপতি রথীন্দ্র চন্দ্র সরকার, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক মিঠু চন্দ বিশ্বাস প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নির্ধারিত সময় ২৮ ফেব্রয়ারির পরে বর্ধিত সময় বাড়িয়েও হাওড়রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। এর পেছনে রয়েছে নানা অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি। অনেক প্রকল্পে প্রকৃত কৃষকদের বাঁধ রক্ষার দায়িত্ব না দিয়ে বাজার ব্যবসায়ীদের দেয়া হয়েছে। হাওড়ে ফসলডুবি হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। বাঁধ নির্মাণে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে লোটপাট করা হচ্ছে সরকারের কোটি কোটি টাকা। এজন্য সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান সংগঠনের নেতৃারা। ইউএনওর অফিস ঘেরাও কর্মসূচিতে সংগঠনের নেতাদের পাশাপাশি সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে উপজেলার ৬টি হাওড়ের ১০৬ কি.মি. বাঁধের ভাঙন বন্ধকরন ও মেরামত কাজে ১৯৭টি প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে প্রায় ৪০ কোটি টাকা। যা গত অর্থ বছরে ৮৭ কি.মি. বাঁধ সংস্কারে ১৩৮টি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ছিল ২৪ কোটি টাকা। এ বছর উপজেলায় প্রায় ২৪ হেক্টর বোরোজমি আবাদ করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়