কাগজ প্রতিবেদক : ঘুষ নেয়ার মামলায় নি¤œ আদালতে ৮ বছরের সাজাপ্রাপ্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. রইস উদ্দিনের বেঞ্চ তাকে ছয় মাসের জামিন দেন। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য নথি প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফারুখ আলমগীর চৌধুরী। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। পরে ফারুখ আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, এই রায়ের ফলে এনামুল বাছিরের কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।
দুদক থেকে বরখাস্ত হওয়া পরিচালক দণ্ডপ্রাপ্ত খন্দকার এনামুল বাছির গত ২২ সেপ্টেম্বর জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। এর আগে গত ২৩ আগস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ জামিন দিলেও পরে সেই জামিন আদেশ প্রত্যাহার করেন হাইকোর্ট।
চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি খন্দকার এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম। এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে জামিন আবেদন করেন এনামুল বাছির। অন্যদিকে তার সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক। দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে পুলিশের বরখাস্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। পরে ওই বছরের ২২ জুলাই দুদকের পরিচালক ফানাফিল্লাহর নেতৃত্বে দুদকের একটি টিম মিরপুরের দারুস সালাম এলাকা থেকে এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন ২৩ জুলাই জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েস তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন, কমিশনের তথ্য পাচার ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে দুদক।
তিনি ১৯৯১ সালে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে যোগ দেন। কমিশন গঠিত হওয়ার পর সহকারী পরিচালক, উপ-পরিচালক ও পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।