চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ১৭ অক্টোবর। অতীতে এই নির্বাচন নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখা না গেলেও এবারের চিত্রটা একটু ভিন্ন। রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরাও এবার এই পদে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ১৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আজ শনিবার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করার কথা রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে বেশ কিছুদিন ধরে প্রার্থীরা নানাভাবে লবিং শুরু করেছেন।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল, যাচাই-বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর এবং ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করা হবে। ২৫ সেপ্টেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে এবং ভোটগ্রহণ হবে ১৭ অক্টোবর। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মহিলা সদস্য পদে ৬৫ জন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন বলে রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয় এবং মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে। এরই মধ্যে মনোনয়নপত্র নিয়ে জমা দিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম চৌধুরী, মো. ইদ্রিস, পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, সহসভাপতি ও রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, অধ্যাপক মো. মাঈনুদ্দিন, সহসভাপতি এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. ওসমান গণি চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি লায়ন শামসুল হক, রূপালী ব্যাংকের পরিচালক আবু সুফিয়ান, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা মঞ্চের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা

মো. ইউনুছ, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের সাবেক মহাসচিব আবুল হাশেম, আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আবদুর রশিদ।