মাদকবিরোধী অভিযানে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৪৪

আগের সংবাদ

উদ্ধারের অপেক্ষা আর ত্রাণের আকুতি : পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ > ভেসে উঠছে বানভাসি মানুষের লাশ > এখনই সচল হচ্ছে না ওসমানী বিমানবন্দর

পরের সংবাদ

সংসদে রুমিন ফারহানা : ঋণের সব ধরনের বিপৎসীমা আমরা পার হয়ে গেছি

প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপির সংরক্ষিত আসনের এমপি রুমিন ফারহানা বলেছেন, শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি এখন বাংলাদেশে। লোভ আর ভয় মানুষকে কিনা করায়? শ্রীলঙ্কার পর্যালোচনায় যখন বাংলাদেশ এসেছে তখন শ্রেফ ভয়ে কোনো কোনো অর্থনীতিবিদ বলেছে, শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা এখন বাংলাদেশে নেই। তবে এই আকালে অনেক অর্থনীতিবিদ আমাকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই ঝুঁকি রয়েছে। আমরা ঋণের সব ধরনের বিপৎসীমা পার হয়ে গেছি। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় গতকাল রবিবার জাতীয় সংসদে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশেষ করে সময়টি যখন করোনা মহামারি পরবর্তী সময় ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চরম সমস্যা রয়েছে, আমদানি রপ্তানিতে চরম ভারসাম্যহীনতা, ডলারের তুলনায় টাকার মূল্যমান কমে যাওয়া, বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়া, কর্মসংস্থানের চরম সংকট হওয়া ইত্যাদি।
তিনি বলেন, অর্থনীতির ৬টি চ্যালেঞ্জের মধ্যে প্রথমেই বলেছে, বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ানো ও অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বাড়ানো। করোনা অভিঘাতে মধ্যবিত্ত থেকে সব মানুষের আয় কমেছে, দরিদ্র আরো বেড়েছে। তাহলে চাহিদা বাড়ানো সম্ভব কি করে। এ ধরনের অবস্থায় প্রবৃদ্ধি আরো কমিয়ে সরবরাহ আরো বাড়ানো কি করে সম্ভব হয় তা বোধগম্য নয়। যত না মূল্য বেড়েছে তার চেয়ে বেশি বেড়েছে সরকারের সম্পৃক্ত ব্যবসায়ীদের সিণ্ডিকেটের কারণে। বর্তমানে যখন সরকার বলছে, মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের বেশি, কিন্তু থিম ট্যাঙ্কগুলো বলছে মূল্যস্ফীতি দ্বিগুণেরও বেশি।
পাচার করা টাকা ফেরত আসার সুযোগ দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিদেশ পাচার হওয়া টাকা বৈধ করার নামে ৭-১৫ শতাংশ কর দিয়ে দেশে ফেরত আনার সুযোগ দেয়া হয়েছে, যাতে বিদেশে কখনো টাকা পাচারকারীদের ধড়পাকড় শুরু করলে তারা যেন নির্বিঘেœ টাকা এ দেশে নিয়ে আসতে পারে। এটা অসাংবিধানিক। তিনি বলেন, আমদানির নামে বড় অংকের টাকা পাচার করা হয়েছে।
নির্বাচন এলে এ দেশে পাচার বাড়ে এটা বলছে গেøাবাল ইনফিনিটি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে বিদেশ টাকা পাচার ১ লাখ কোটি টাকা বেড়ে গিয়েছিল। ২০১৫ সাল থেকে জাতিসংঘে সরকার আমদানি-রপ্তানির তথ্য দেয়া বন্ধ হয়েছিল। পাচারের এ তথ্য লুকানোর চেষ্টা প্রমাণ করে সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এ পাচারের সঙ্গে জড়িত।
তিনি বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের চেয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে বিদেশি ঋণ বেড়েছে ২০ গুণ। অনেক বিদেশি ঋণের গ্রেস পিরিয়ড চলছে, এগুলো শেষ হলে এককারে পরিশোধের চাপ আসবে। তাই আমাদের দেশ শ্রীলঙ্কার মতো হবে না তা হলফ করে বলা মুশকিল, সব কটি ঝুঁকিপূর্ণ ফ্যাক্টর বিদ্যমান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়