ওমর সানীকে গুলি করার হুমকি জায়েদ খানের

আগের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ : পাচার হওয়া অর্থ দেশে আনার প্রস্তাবে সমর্থন

পরের সংবাদ

শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা : উঁচু এলাকায় উন্নতি নিচুতে অবনতি

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শেরপুর প্রতিনিধি : গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সৃষ্ট বন্যায় উঁচু এলাকায় উন্নতি হলেও নিচু এলাকায় হয়েছে অবনতি। নদীগুলোর পাহাড়ি ঢলের পানি উজান থেকে নেমে গেলেও ভাটি অঞ্চলে বাড়তে শুরু করেছে। ভাটি অঞ্চলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে। ঢলের পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাঘাটের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বাড়তে শুরু করেছে। কাঁচা ও পাকা রাস্তার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঢলের পানির তোড়ে রাস্তাঘাট ভেঙে ঝিনাইগাতি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাড়ছে পথচারীদের দুর্ভোগ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন শত শত মানুষ। পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। পানিবন্দি কোনো কোনো এলাকার মানুষকে কলার ভেলা ও নৌকাযোগে পারাপার হতে হচ্ছে। গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে রয়েছেন কৃষকরা।
মহারশি নদীর দীঘিরপাড়, খৈলকুড়া, রামেরকুড়া, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘিœত হচ্ছে। গত বুধবার থেকে দুদিনে অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা মহারশি, সোমেশ্বরী ও কালঘোষা নদীর পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার ৭ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মহারশি, সোমেশ্বরী ও কালঘোষা নদীর পাহাড়ি ঢলের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে শত শত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। ঝিনাইগাতী সদর বাজার, হাইওয়ে সড়ক ও উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ অফিসপাড়াগুলো ৩ থেকে ৪ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। সরকারি দপ্তরগুলোতে কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই নদীগুলোতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি কমতে শুরু করে। তবে ভাটি এলাকার ৪টি ইউনিয়নে নতুন করে আরো প্রায় ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন শত শত মানুষ। আকস্মিক পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পানিতে তলিয়ে শতাধিক পুকুরের লাখ লাখ টাকা মূল্যের মাছ ভেসে যায় বলে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষি ও উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক বলেন, আকস্মিক পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে ধানশাইল-পানবর রাস্তার সুটিপাড়াসহ কয়েকটি স্থানে বিধ্বস্ত হয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আহাম্মদনগর-মোহনগঞ্জ বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা সদরে মহারশি নদীর পূর্বপাড় থেকে নলকুড়া রাস্তা, ডাকাবর থেকে শালচূড়া রাস্তা বিধ্বস্ত হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পাহাড়ি ঢলের পানিতে কৃষির তেমন কোনো ক্ষতি সাধিত হয়নি। ঢলের পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় সামান্য কিছু শাকসবজির ক্ষতি সাধিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদ পাহাড়ি ঢলের পানিতে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ টন জিআরের চাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়