রাজধানীর বছিলায় জুতার কারখানায় আগুন

আগের সংবাদ

সংসদে প্রধানমন্ত্রী : দেড় বিলিয়ন ডলার সহায়তা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে

পরের সংবাদ

হারুনের অভিযোগের জবাবে আইনমন্ত্রী : আমাকে বিএনপির কাছে আইন শিখতে হবে না

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, যারা ইনডিমিনিটির অজুহাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেনি, মানবতাবিরোধীদের মন্ত্রী বানিয়েছে তাদের কাছ থেকে আমাকে আইন শিখতে হবে না। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ‘সুপ্রিম কোর্ট জাজেস বিল’ উত্থাপনের সময় বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের বক্তব্যের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিলটি উত্থাপনের বিরোধিতা করে হারুনুর রশীদ বলেন, সরকার নিজেদের সুবিধার জন্য প্রায়শ সংসদে বিল পাস করে যাচ্ছে। কিন্তু যেসব আইন হচ্ছে তার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আইনের ব্যত্যয় ঘটছে। আইনের বৈষম্য ঘটছে। কিছুদিন আগে আমরা দেখলাম, সংসদ সদস্য হাজী সেলিম দণ্ডিত হওয়া সত্ত্বেও চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে গেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, তিনি আইন মেনেই গেছেন। অথচ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিদেশে চিকিৎসার জন্য বারবার আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি। এখানে আইনের বৈষম্য করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারি দলের কর্মসূচি পুলিশের প্রহরায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কিন্তু বিরোধী দলকে কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেয়া হচ্ছে না। এখানে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। তাহলে এই আইন করে কী লাভ? সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ছাত্রীকে ছাত্র নামধারী গুণ্ডারা নির্যাতন করেছে। নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সরকার যে আইন করছেন এই আইন কার জন্য করছেন?হারুনের বক্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক বলেন, বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদের কথায় হাসব, না কাঁদব? এটা আমি বুঝতে পারছি না। তার কারণ তিনি যে জ্ঞান দিলেন তাতে আমি বুঝে উঠতে পারছি না- আমি আইন সম্পর্কে কিছু বুঝি কিনা? আইন সম্পর্কে বিএনপি আমলে যা হতো তাতে তার নিজেরই বোধোদয় হওয়া উচিত।
স্পিকারকে উদ্দেশ করে আনিসুল হক বলেন, উনি বিচারের কথা বলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের ১৭ জন সদস্যদের হত্যার পরে কি বিচার হয়েছিল? উনারা হয়তো বলবেন, ইনডিমিনিটির কারণে তারা বিচার করতে পারেননি। এটা খন্দকার মোশতাক করেছিলেন। মোশতাকের পর বারবার তারা (বিএনপি) ক্ষমতায় এসেছিলেন। ইনডিমিনিটি কিন্তু তোলেন নাই। আর এখন উনারা আইন শেখান। তার কাছ থেকে আমাকে আইন শিখতে হবে..?
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, এখন বলতে পারি, জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হয়েছে। জেল হত্যার বিচার চলছে। আর সাহস করে বিচারপতিরা এই বিচার করায় আজ তাদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর আইন করা হচ্ছে। আর আপনারা আইন শেখাচ্ছেন। আমাকে বিএনপির কাছ থেকে আইন শিখতে হবে না। এরপর আইনমন্ত্রী সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন এবং স্পিকার বিলটি ৩০ দিনের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটিতে পাঠান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়