জরায়ুমুখের ক্যান্সার সচেতনতা দিবস আজ

আগের সংবাদ

উৎসবমুখর নারায়ণগঞ্জ : প্রচারণায় এগিয়ে আইভী

পরের সংবাদ

এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬ সহ¯্রাধিক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ২০২১ সালে সারাদেশে সড়ক, নৌ ও রেলপথে সংঘটিত ৪ হাজার ৯৮৩টি দুর্ঘটনায় ৫ হাজার ৬৮৯ জন নিহত হয়েছেন। এই সময় আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৮০৫ জন। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বাৎসরিক প্রতিবেদনে সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন এ তথ্য জানিয়েছেন। একই দিন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের অপর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বছর ৫ হাজার ৩৭১টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬ হাজার ২৮৪ জন। এতে আহত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৬৮ জন। নিসচার প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে করোনা মহামারির বছর হলেও এই সময়ে দুর্ঘটনা বেড়েছে। প্রায় ৬ মাস জরুরি যানবাহন ছাড়া অন্যান্য যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকার পরেও দুর্ঘটনা আরো বেড়েছে। এই সময় সারাদেশে সড়ক, নৌ ও রেলপথে ৪ হাজার ৯৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫ হাজার ৬৮৯ জন এবং আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৮০৫ জন। নিহতদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৫০৭ জন এবং নারী ১ হাজার ১৮২ জন। আহতদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৫৩১ ও নারী ১ হাজার ২৭৪ জন। শুধু সড়কে ৩ হাজার ৭৯৩টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪ হাজার ২৮৯ জন। রেলপথে ২৭০টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৫৪ জন ও আহত হয়েছেন ৪২ জন। নৌপথে ৯০টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৯৮ জন, নিখোঁজ হয়েছেন ১৮৬ জন ও আহত হয়েছেন ৩৩৯ জন।
এদিকে গতকাল ঢাকা রিপোর্টর্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত প্রতিবেদনে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, গত বছর ৫ হাজার ৩৭১টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬ হাজার ২৮৪ জন। এতে আহত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৬৮

জন। ফাউন্ডেশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নিহত ৬ হাজার ২৮৪ জনের মধ্যে ৯২৭ জন নারী ও শিশু ৭৩৪টি রয়েছে। এক বছরে ২ হাজার ৭৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২ হাজার ২১৪ জন। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৫২৩ জন পথচারী নিহত হন, যা মোট নিহতের ২৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭৯৮ জন, অর্থাৎ ১২ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
উভয় সংগঠনই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে সড়কের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিংয়ের অভাব, টাস্কফোর্সের ১১১টি সুপারিশনামা বাস্তবায়ন না হওয়া, চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর প্রবণতা, দৈনিক চুক্তিভিত্তিক গাড়ি চালনা করা, লাইসেন্স ছাড়া চালক নিয়োগ, পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব, ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে ওভারটেকিং করা, বিরতি ছাড়াই দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি চালনা, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালনা বন্ধে আইনের প্রয়োগ না থাকা, সড়ক ও মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও তিন চাকার গাড়ি বেড়ে যাওয়া, মহাসড়কের নির্মাণ ত্রæটি, একই রাস্তায় বৈধ ও অবৈধ এবং দ্রুত ও শ্লথ যানবাহন চলাচল, রাস্তার পাশে হাটবাজার ও দোকানপাট থাকাকে দায়ী করেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়