নৌপুলিশের অভিযান : ৩৫ লাখ মিটার জাল জব্দ

আগের সংবাদ

পঞ্চম দফায়ও সারাদেশে ব্যাপক সহিংসতা > ভোটে ঝরল আরো ১১ প্রাণ : পুলিশের গাড়িতে আগুন, আহত শতাধিক, আটক অর্ধশত

পরের সংবাদ

স্মৃতিচারণ ও কথামালায় রাবেয়া খাতুনকে স্মরণ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : স্মৃতিচারণ, কবিতা আবৃত্তি আর কথামালার মধ্য দিয়ে স্মরিত হলেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে চ্যানেল আই ভবনে প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাবেয়া খাতুন স্মৃতি পরিষদ এ স্মরণসভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট কবি মাকিদ হায়দার, কবি নাসির আহমেদ, রাবেয়া খাতুনের জামাতা প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং চ্যানেল আইয়ের পরিচালক মুকিত মজুমদার বাবু, শিশু সাহিত্যিক আমীরুল ইসলাম, আমিনুর রহমান সুলতান, গীতালি হাসান, মোজাফ্ফর আহমেদ, আনজীর লিটন, স্বকৃত নোমান, মনি হায়দার, মিলা মাহফুজ, মারুফ রায়হান, রেজা উদ্দিন স্টালিন, আব্দুর রহমান প্রমুখ। স্মরণসভায় আহসানউলাহ তমাল ১৯৫০ সালের ২৯ মার্চ রাবেয়া খাতুন রচিত ‘ভুলনা মোরে চলে যদি যাই, ‘পৃথিবীর পরপারে’ শিরোনামে কবিতা দুটি আবৃত্তি করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সেলিনা হোসেন বলেন, রাবেয়া খাতুন তার লেখনির মধ্য দিয়ে বাংলাসাহিত্যে চিরকাল বেঁচে থাকবেন। পাঞ্চাশের দশকের ওই সময়টাতে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে যেভাবে তিনি স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হয়েছিলেন, নারী জাগরণের কথা বলেছিলেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর বাংলা সাহিত্যের যে স্রোতটা তৈরি হয়েছিল, সেটার অন্যতম ধারক ছিলেন আমাদের রাবেয়া আপা। আমরা এখন পর্যন্ত সে স্রোতেই এগিয়ে যাচ্ছি। এটি একটা অসাধারণ দিক যে, আমরা সব সময় বলি- ’৪৭-র পরে সৈয়দ ওয়ালীউলাহ, শওকত ওসমান, আবু জাফর শামসুদ্দীন, রাবেয়া খাতুন, রিজিয়া রহমানরা সবাই মিলে সাহিত্যের যে ধারাটি তৈরি করেছিলেন, আমরা সবাই মিলে সেখানে নিমজ্জিত হয়েছি। আমাদের নবীন লেখকরাও সেই ধারাটিতে বহমান রয়েছেন।
সেলিনা হোসেন তার লেখায় রাবেয়া খাতুনের প্রভাব সম্পর্কে বলেন, আমি ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তার ‘মধুমতি’ উপন্যাসটি পড়েছি।

উপন্যাসটি পডতে খুবই অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। তাঁতী সম্প্রদায়কে নিয়ে কীভাবে একটি উপন্যাস তৈরি করা যায়, এটি ছিল সেই উপন্যাসের বিশাল দিক। লেখনির মধ্য দিয়ে গণমানুষের জীবনধারাকে সাহিত্যে নিয়ে আসার যে বিষয়টা ছিল সেটি আমাকে প্রবলভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল। রাবেয়া খাতুনের ‘মধুমতি’ উপন্যাসে অনুপ্রাণিত হয়ে পরবর্তীকালে জেলে পাড়া ঘুরে এসে ‘পোকামাকড়ের ঘরবসতি’ উপন্যাসটি রচনা করেন বলেও জানান সেলিনা হোসেন। উল্লেখ্য, ২৭ ডিসেম্বর ছিল রাবেয়া খাতুনের জন্মদিন। ওইদিন চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে শীতবস্ত্র ও খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ‘রাবেয়া খাতুন স্মৃতি পরিষদ’।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়