ডিএমপি কমিশনার : স্মার্টকার্ড লাইসেন্সের প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ থাকলে মামলা নয়

আগের সংবাদ

ইইউ-চীন-যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের অঙ্গীকার > ৫০ বছরেই ‘কার্বন নিরপেক্ষ’ : এক হাজার কোটি ডলার তহবিলের নিশ্চয়তা, উষ্ণতা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখা

পরের সংবাদ

হোসেনপুর-ঢাকা সড়ক : সাত বছরেও হয়নি সংস্কার, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. জাকির হোসেন, হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) থেকে : হোসেনপুর-ঢাকা-নান্দাইল সড়কের হোসেনপুর থেকে বাসকান্দা ও হোসেনপুর থেকে কাওনা বাজার পর্যন্ত রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় ছোটবড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। ২০১৪ সালের পর থেকে এ অংশের সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচল অনুপযোগী হয়ে জনদুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কটি সংস্কার না করায় অল্প বৃষ্টিতে খানাখন্দে পানি জমে আর রোদ হলে ধুলাবালিতে ২০ মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে ১ ঘণ্টা ও বেশি লেগে যায়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়ে দ্বিতীয় দফা সময় বাড়িয়ে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় চুক্তি বাতিল করা হলেও তা মানতে নারাজ। যে জন্য রেমিনিউ ইস্টিমিড (কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন) করতে হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ২ দফা চিঠি পাঠানো হলেও তাদের কোনো প্রতিনিধি না আসায় পুনঃ দরপত্র আহ্বান করতে পারছে না।
উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, হোসেনপুর বাসকান্দা সড়কটি বন্যা ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ৯ কোটি ১২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা ব্যয়ে চুক্তি হয়, ঢাকার ডলি কনস্ট্রাকশন লি. এর সঙ্গে। যা সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০ ভাগ কাজ শেষ না করেই টালবাহানা শুরু করে। এমন কী কাজ ফেলে রেখে বারবার উধাও হয়ে যায়। যে জন্য জনদুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছিলেও রিভাইস ওয়ার্ক প্ল্যান অনুযায়ী ২য় দফা সময় চায় ডলি কনস্ট্রাকশন। সে মোতাবেক সময় বাড়িয়ে তা ২০২০ সালের ১৯ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলেও নির্ধারিত সময়ে শেষ না করায় তাদের সঙ্গে চুক্তিটি বাতিল করা হলেও এখনো পুনঃদরপত্র আহ্বান করতে না পারায় জনদুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ নিয়ে জেলা বাসদ মার্কসবাদী নেতা আলাল মিয়া ও গোবিন্দপুরবাসীদের নিয়ে রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের জন্য মানববন্ধনসহ ইউএনও বরাবর একাধিকবার স্মারকলিপি দেয়। পরে গোবিন্দপুর বাজারের বড় বড় গর্তে কিছু ইটবালির খোয়া ফেলে। জলসিঁড়ি বাসের মালিক মো. হাবিুল্লাহ জানান, ২০০৭ সাল থেকে এ রোডে তার ৩টি বাস চলাচল করে আসছে। যেখানে আগে ৪০ সিটের বাস ২০ মিনিট পর পর ঢাকায় মহাখালী ছেড়ে আসত। তখন আসন সংখ্যার চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল করতে হতো। এখন ১ ঘণ্টা পর পর আসন খালি রেখে ১৮/২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল করতে হয়। রাস্তার বেহাল দশার কারণে তাদের বাসের যাত্রী কমে গেছে। জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল বাকী জানায়, ঊর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুনঃদরপত্র আহ্বান করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়