মোস্তাক আহমেদ মনির, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) থেকে : সরিষাবাড়ীর পিংনা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার জেলেদের ২০ কেজি চালের স্থলে ২-৩ কেজি চাল কম দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক জেলেরা ওজনে কম দেয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানায়। এ সময় জেলেদের দেয়া চাল দোকানে গিয়ে মেপে দেখা যায় ২০ কেজির জায়গায় ১৭ কেজি ৫০০ গ্রাম, আবার কোনটা ১৮ কেজি হয়েছে। এসব চাল মেপে দেয়ার নিয়ম থাকলেও না মেপে দেয়া হচ্ছে প্লাস্টিকের বালতি দিয়ে। গতকাল রবিবার সকালে উপজেলার পিংনা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, পিংনা ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত জেলের সংখ্যা ১৩২ জন। তাদের জন্য সরকারি বরাদ্দ হিসেবে জনপ্রতি ২০ কেজি করে চাল এসেছে। সেখানে ২০ কেজির জায়গায় প্রতিজনকে সাড়ে ১৭ থেকে ১৮ কেজি করে বালতি দিয়ে চাল দিতে দেখা যায়। সুজন হাওলাদার, কানু, অখিলসহ একাধিক জেলে বলেন, আমাদের ২০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা থাকলেও ১৭ থেকে সাড়ে ১৭ কেজি চাল দিচ্ছে। আবার কাউকে ১৮ কেজিও দিচ্ছে। আমরা কিছু বলতে গেলে আমাদের ওপর ক্ষেপে ওঠে ওখানে থাকা লোকরা ধমক দেয়। এ সময় জেলেদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন জয় বলেন, আমি এসবের কিছুই জানি না। আমি শুধু চাল বিতরণের উদ্বোধন করে অন্য কাজে চলে আসছি। ওখানে বিপ্লব নামে একজন আছে উনিই চাল বিতরণ করছেন আর উনিই সব জানেন। তবে চাল কম দেয়ার তো কথা নয়। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার সুতপা ভট্টাচার্য বলেন, চাল কম দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমি কার্ডধারী প্রতিটি জেলেকে ২০ কেজি করে চাল দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। ইউপি চেয়ারম্যান কম দিয়েছে কিনা সেটা আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।