প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের চিলমারীতে নির্মাণের পরের বছরই বন্যায় সেতু ভেঙে গিয়ে কয়েকটি গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার অবনতি হয়েছে। নির্মাণকৃত সেতুটি ভেঙে পড়ায় এলাকাবাসীর নিজেদের উদ্যোগে একটি সাঁকো তৈরি করে চলাচল করছে। তবে এই নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে প্রায়ই দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছেন পথচারীরা।
ভাঙা সেতুটি দিয়ে পাত্রখাতা, ব্যাপারীপাড়া, মাদারীপাড়া, ডাঙ্গারচরসহ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এলাকার হাবিবুর রহমান (২৪) বলেন, সেতু পার হতে সাঁকো ভেঙে পড়ে মাথা ফাটছে। মাথায় ৬টা সেলাই পড়েছে। আল্লাহর রহমতে বেঁচে গেছি।
স্থানীয় শরিফুল ইসলাম (৫০) ও আবুল কাশেম (৪০) বলেন, বন্যা হলে গরু-ছাগল নিয়ে চলাচল করতে কষ্ট হয়। শুকনো মৌসুমে সাঁকো ছাড়া সেতুতে ওঠা যায় না। তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সাঁকো দেয়া হয়েছে।
ছকিনা বেগম (৪৫) বলেন, আপনারা শুধু ছবি তুলে নিয়ে যান। কিন্তু সেতুর তো কোনো কাজ হয় না। এভাবে আর কতদিন চলাচল করা যায়।
জানা গেছে, উপজেলার মডেল রমনা ইউনিয়নের পাত্রখাতা ব্যাপারীপাড়া এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩০ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. কোহিনুর রহমান বলেন, ওই ব্রিজ পূর্ণ নির্মাণ ও রাস্তার জন্য জাইকাতে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।