দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : দশমিনা উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিনটি ১৪ বছর ধরে নষ্ট হয়ে তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এক্স-রে সেবা না পেয়ে ভোগান্তির শিকার হতে হয় রোগীদের। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দুই লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য ২০০৫ সালে একটি অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন বরাদ্দ দেয়া হয়। ২০০৭ সালে মেশিনটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালে এক্স-রে সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর প্রায় ১৪ বছর ধরে বিকল হয়ে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে এক্স-রে মেশিনটি। বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোরকিপার মো. জহির হোসেনের কাছে এক্স-রে মেশিনের বর্তমান অবস্থা দেখতে ও ছবি তুলতে চাইলে তিনি বলেন, মেশিন কক্ষের ভেতরে ঢোকার মতো অবস্থা নেই। এক্স-রে কক্ষের মধ্যে কিছু মালামাল রাখা আছে, এক্স-রে মেশিন অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়েছে। সরকারি এক্স-রে মেশিনের মাধ্যমে হাড় ভাঙা রোগীদের সেবা পেতে ১০০ টাকা ব্যয় হতো, কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে এক্স-রে করাতে হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা হাত ভাঙা রোগী হাবিবা আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিন নষ্ট থাকায় চার-পাঁচগুণ বেশি টাকা খরচ করে রোগীদের বাইরের ক্লিনিক থেকে এক্স-রে করাতে হচ্ছে। দশমিনা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অনিক মিত্র বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে থাকায় হাসপাতালের রেডিওগ্রাফার অন্যত্র বদলি হয়ে চলে গেছেন। মেশিনটি সচল করা গেলে অথবা নতুন একটি মেশিন বরাদ্দ পাওয়া গেলে এলাকার রোগীরা স্বল্প মূল্য চিকিৎসাসেবা পেতেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে, সেটা আর সচল হবে বলে মনে হয় না। উন্নতমানের একটি এক্স-রে মেশিন বরাদ্দ পাওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।