আশুলিয়ায় ফার্নিচার গুদামে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩

আগের সংবাদ

বাতাসে আগুনের হলকা!

পরের সংবাদ

রবীন্দ্রচর্চা আরো বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে : অর্থ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : বাঙালির মনন-চিন্তাকে সমৃদ্ধ করতে আরো বেশি রবীন্দ্রচর্চা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। সারা বিশ্বে যে ধরনের আগ্রাসন চলছে, মৌলবাদীরা মাথাচড়া দিয়ে উঠছে সেখানে আমাদের রবীন্দ্রনাথ চর্চা আরো বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা চট্টগ্রাম বিভাগীয় শাখা আয়োজিত রবীন্দ্র উৎসবের সমাপনী দিনে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির মঞ্চে তিনি এ কথা বলেন। অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে চিনি এবং জানি তিনি আমাদের বাঙালির অস্তিত্ব, তিনি আমাদের একান্ত নিজের মানুষ। আমাদের ভিতরের আমি যখন কথা বলি তখন আমরা তার কণ্ঠের প্রতিধ্বনি শুনতে পাই। এখানেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমস্ত কৃতিত্ব যে তিনি আমাদেরই সব কথা একাই বলে গেছেন। একশ বছর পরের কথা বলে গেছেন অনায়াসে। আমরা যখন যা কিছু ভাবি তা যেন রবীন্দ্রনাথের মতো করেই ভাবি। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই আমাদের চিন্তা-চেতনার সাংস্কৃতিক পরিধি বিস্তারের প্রতিটি স্তরে একটু একটু করে এগিয়ে দিয়েছেন। বাঙালির মনের বিকাশকে এই এগিয়ে দেয়ার যে ভূমিকা সেটাই তার শিক্ষাচিন্তার স্বরূপ রূপে বিবেচিত হতে পারে। আলাদা করে তার শিক্ষা ভাবনার স্বরূপ খোঁজার কিছু নেই। এক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে বিস্তৃত রচনাসমগ্র রেখে গেছেন তার প্রতিটি পদক্ষেপই হলো বাঙালির মনন ও চৈতন্যের বিকাশের জন্য শিক্ষাচিন্তার স্মারক এবং বাহক।
ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, সারা বিশ্বে যে ধরনের আগ্রাসন চলছে, মৌলবাদীরা মাথাচড়া দিয়ে উঠছে সেখানে আমাদের রবীন্দ্রনাথচর্চা আরো বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বলেছেন, তিনি যখন সংকটে পড়েছেন জেল-জুলুম তার জীবনে অনিবার্য হয়ে উঠেছে তখন রবীন্দ্রনাথের আশ্রয় নিয়েছেন, মনে মনে সাহস নিয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রবীন্দ্রনাথের গানকে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত করেছেন। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। আমরাও ছোটবেলা থেকে পারিবারিকভাবে সংস্কৃতির পরিমণ্ডলে বড় হয়ে উঠেছি, রাজনীতির পাশাপাশি। আমার চাচা ফুপিরা সবাই সংগীতের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। আমরা পারিবারিক ও শিক্ষা জীবনে রবীন্দ্রনাথসহ আরো যারা বরেণ্য সাহিত্যিক আছেন তাদের ক্লাসিক লেখাগুলো পড়েই আমাদের মনোজগতকে বিস্তৃত করেছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাজিদ আকবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মকবুল হোসেন, লাকী দাশ, সালমা আকবর প্রমুখ। অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন শান্তা গুহ, অনিরুদ্ধ সেনগুপ্ত, শেলী মল্লিক, নুসরাত জাহান রুনা, সুমিত্রা বিশ্বাস, বহ্নিশিখা রক্ষিত, কান্তা দে ও শুভাগত চৌধুরী। সংগীত পরিচালনায় ছিলেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী শান্তা গুহ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন প্রবীর পাল। পরে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।
বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী লাকি দাশকে সভাপতি, শুভাগত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়