আশুলিয়ায় ফার্নিচার গুদামে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩

আগের সংবাদ

বাতাসে আগুনের হলকা!

পরের সংবাদ

নাসুমের ফাইফারে তিনে মোহামেডান : সুপার সিক্সের টিকেট পেল যারা

প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গতকাল সিটি ক্লাবের বিপক্ষে ৮ উইকেটে দুর্দান্ত জয় পেয়ে সুপার সিক্স নিশ্চিত করেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। ১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে ছয়ে থেকে সুপার সিক্স নিশ্চিত করল তারা। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে গাজী গ্রুপকে ১৮১ রানের লক্ষ্য দেয় সিটি ক্লাব। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় গাজী গ্রুপ। মেহেদি মারুফদের জয়ের নায়ক হাবিবুর রহমান। ব্যাট হাতে তিনি হাঁকান সর্বোচ্চ ১০২ রানের ইনিংস। দিনের অন্য ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। শুরুতে ব্যাট করতে নামা ব্রাদার্স ইউনিয়ন নাসুম আহমেদের বোলিং তোপে ১৩৫ রানেই গুটিয়ে যায়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় নিজেদের করে নেয় সাদা-কালো জার্সীধারীরা। মোহামেডানের হয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন বল হাতে ৫ উইকেট নেয়া নাসুম আহমেদ। টুর্নামেন্টে ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে তিনে থেকে সুপার লিগে উঠেছে মোহামেডান। দিনের অন্য ম্যাচে পার্টেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ৩ উইকেটে হেরেছে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে পার্টেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে ২৬০ রানের লক্ষ্য দেয় রূপগঞ্জ টাইগার্স। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৩ উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচ নিজেদের করে নেয় পার্টেক্স। গতকাল লিগের প্রথম রাউন্ড শেষে সুপার লিগ নিশ্চিত করেছেগাজী গ্রুপসহ আবাহনী, শাইনপুকুর, মোহামেডান, শেখ জামাল ও প্রাইম ব্যাংক।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে গাজীর বোলারদের তোপের মুখে ১৮০ রানে অলআউট হয় সিটি ক্লাব। লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ২২ রানে ওপেনার মেহেদী মারুফকে হারায় গাজী গ্রুপ। দ্বিতীয় উইকেটে আনিসুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমান মিলে গড়েন ১৩১ রানের জুটি। আনিসুল ৬১ রানে আউট হলেও হাবিবুর সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। ৮১ বলে ১০ চার ও ৬ ছক্কায় সাজান নিজের অপরাজিত ১০২ রানের ইনিংসটিকে। তার এই ইনিংসের ওপর দাঁড়িয়েই গাজী ২৪.১ ওভারে জয়ের দেখা পেয়ে যায়। সিটি ক্লাবের বোলারদের মধ্যে মঈনুল ইসলাম ৮৬ রানে নেন দুটি উইকেট। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় সিটি ক্লাব। কিন্তু গাজীর বোলারদের তোপের মুখে স্কোরবোর্ডে যথেষ্ট রান তুলতে ব্যর্থ হয় দলটি। শাহরিয়ার কমল ও রাফসান আল মাহমুদ এবং রায়হান রাফসানের ব্যাটে ভর করে সিটি ক্লাব ৪৯.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান সংগ্রহ করে।
দিনের অন্য ম্যাচে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩৬ রানের লক্ষ্য দেয় ব্রাদার্স। তাড়া করতে নেমে ২৩.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মোহামেডান। ১১ রাউন্ড শেষে ৮ জয়ে তৃতীয় স্থানে থেকে সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে মোহামেডান। অন্যদিকে সমান রাউন্ডে ব্রাদার্সের এটি অষ্টম হার। প্রত্যেক ম্যাচে জিতে শীর্ষে আছে আবাহনী লিমিটেড। মোহামেডানের সমান জয়ে রানরেটে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের। ইমরুল মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি। ৭১ বলে ১২ চার ও ৩ ছয়ের মারে অপরাজিত ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ইমরুলের সঙ্গে ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ওপেনিংয়ে ৬৬ রান আসলেও তাতে রনি তালুকদারের অবদান মাত্র ১০। তার আউটের পর ধস নামে মোহামেডানের ব্যাটিংয়ে। একে একে ফেরেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন রুবেল মিয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আরিফুল হক। চ্যালেঞ্জিং স্কোর হলে মোহামেডানের বিপদ হতে পারতো।
ব্রাদার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন নূর। এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ধস নামে ব্রাদার্সের ইনিংসে। ৬ রানে নেই হয়ে যায় ৩ উইকেট। মাহমুদুল হাসান-জাকিরুল আহমেদ জেম ধাক্কা সামাল দিলেও লম্বা ইনিংস খেলতে পারেননি। ২৫ রানে জেম ফিরলে ভাঙে ৪৮ রানের জুটি। মাহমুদুলের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। শেষ দিকে সমান ৪৫ রান করেন রাহাতুল ফেরদাউস। দুজনের ব্যাটে ভর করে কোনোমতে দেড়শর কাছাকাছি রান করে দলটি। দুই অঙ্কের ঘর পেরোতে পারেননি আর কোনো ব্যাটার। রানের খাতা খুলতে পারেননি ৩ জন। মোহামেডানের হয়ে একাই ৫ উইকেট নেন নাসুম। ১০ ওভারে মাত্র ২২ রানে এই উইকেটগুলো নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। লিস্ট-এ’তে নাসুমের এটি ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। এর আগে ৫ উইকেট নিয়েছেন, তবে রান দিয়েছেন ৪৯টি। এছাড়া ৩ উইকেট নেন মিরাজ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়