আশুলিয়ায় ফার্নিচার গুদামে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩

আগের সংবাদ

বাতাসে আগুনের হলকা!

পরের সংবাদ

জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধের দাবি তরুণদের

প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২০, ২০২৪ , ১:৪৭ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিশ্বের চলমান গেøাবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকে যোগ দিয়েছে দেশের তরুণ জলবায়ু কর্মীরা। জলবায়ু সুরক্ষা ও জ¦ালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে জীবাশ্ম জ¦ালানিতে অর্থায়ন বন্ধ, নবায়নযোগ্য শক্তির সম্প্রসারণ ও টেকসই কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তরুণ জলবায়ু আন্দোলনকারীরা।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে দেশ ও বৈশ্বিক বেসরকারি বিনিয়োগ সংস্থা, ব্যাংক এবং বেসরকারি খাতের কাছে এই আহ্বান জানানো হয়। একশনএইড বাংলাদেশ এর যুব প্ল্যাটফর্ম অ্যাক্টিভিস্টা বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে র‌্যালি শুরু হয়ে শিক্ষা ভবন প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনারে সমবেত হোন পাঁচ শতাধিক সেøাগানমুখর জলবায়ু যোদ্ধা। সেখানে জলবায়ু সুবিচারের দাবি জানিয়ে আন্দোলন কার্যক্রমের সমাপ্তি টানা হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন একশনএইড বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, একশনএইড বাংলাদেশ এর ইয়াং পিপল টিম লিড মো. নাজমুল আহসান, তরুণ জলবায়ুকর্মী ফাহিদা সুলতানা প্রমুখ।
ফারাহ্ কবির বলেন, বৈশ্বিক যুব নেতৃত্বাধীন জলবায়ু আন্দোলনের পাশে আছে একশনএইড বাংলাদেশ। জলবায়ু সুবিচার নিশ্চিতে কাজ করা সারাদেশের তরুণ জলবায়ুকর্মী ও তাদের প্ল্যাটফর্মদের সহায়তা করে আসছি। যেহেতু বাংলাদেশ বিশ্বের জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর অন্যতম। সেহেতু আমরা জীবাশ্ম জ¦ালানিতে অর্থায়ন বন্ধ ও টেকসই সবুজায়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ বৃদ্ধির দাবি জানাই। একই সঙ্গে আমরা ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতির আহ্বান এবং চলমান নৃশংস যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানাই। আমরা তরুণদের সঙ্গে সবাই একসঙ্গে আরো ন্যায্য, জলবায়ুবান্ধব এবং মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য অবদান রাখতে চাই।
সমাবেশে আন্দোলনকারীরা জানান, উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ¦ালানিতে অর্থায়নের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট সৃষ্টি করছে। তারা নব্য ঔপনিবেশিক শোষণ, যুদ্ধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে এই পৃথিবীকে ধ্বংস করছে। পুঁজিবাদী মানসিকতা নিয়ে সর্বোচ্চ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকারীরা জীবাশ্ম জ¦ালানিতে অর্থায়নের মাধ্যমে পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যেখানে মানুষের চেয়ে মুনাফাই মুখ্য। এটি পৃথিবীতে বাস্তুতন্ত্র এবং জলবায়ুকে মারাত্মকভাবে ধ্বংস করছে। ফলে বিরূপ প্রভাব পড়ছে দক্ষিণের দেশগুলোর তরুণ, কৃষক, নারী এবং প্রান্তিক সম্প্রদায়গুলোতে। এটি অনুন্নত দেশগুলোর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের কাছে তাদের পরিবেশগত ঋণ বহুগুণ বাড়িয়ে তুলছে। এই অবস্থায় জীবাশ্ম জ¦ালানির পরিবর্তে টেকসই প্রকল্প এবং নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আহ্বান এসেছে গেøাবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকে।
জলবায়ু সংকট নিরসন, এই বিষয়ে ন্যায়বিচার দাবি ও জনগণকে সচেতন করতে একশনএইড বাংলাদেশ ও অ্যাক্টিভিস্টা বাংলাদেশসহ ২০টি সংগঠনের পাঁচ শতাধিক তরুণ জলবায়ুকর্মী এই স্ট্রাইকে অংশ নেন। একই সময় সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নোয়াখালী, কুড়িগ্রাম, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, জামালপুর, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ, ভোলা, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী, কুষ্টিয়া, নেত্রকোনা, বরিশাল, টেকনাফ এবং বরগুনাসহ ২১টি জেলায় এবং বেশ কিছু লোকাল ইয়ুথ হাবের তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরাও গেøাবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকে সংহতি প্রকাশ করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়