গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধি : গাবতলীতে স্বামীকে বেঁধে রেখে এক নারীকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের গোলাবাড়ি-তরনীরহাট সড়কে পোড়দহ লোহার ব্রিজসংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ গতকাল শুক্রবার গাবতলী মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। এরপর পুলিশ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ইজিবাইক চালক ফেরদৌস হোসেন স্ত্রীকে নিয়ে জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলায় প্রেম যমুনা ঘাটে বেড়াতে যান। আরো অন্যান্য স্থানে ঘোরাঘুরি করে মহিষাবানের বাড়িতে ফিরতে সন্ধ্যায় কুতুবপুর-গোলাবাড়ি সড়কের পোড়দহ লোহার ব্রিজের পূর্বে বখাটেরা তাদের ইজিবাইকটি ঘিরে ধরে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের ইজি বাইকসহ ৩০০ গজ দূরে একটি পতিত জমিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ফেরদৌসকে বেঁধে রেখে তার স্ত্রীর মুখ বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন বখাটেরা। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ফলে ওই গৃহবধূ কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি গোঙাতে থাকলে যুবকরা তাকে ফেলে রেখে ও তার স্বামীকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যান। পরে ভুক্তভোগীরা আত্মীয়স্বজন এবং থানায় জানালে পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ৫ যুবককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার মহিষাবান মধ্যপাড়া গ্রামের মো. শাহীনের ছেলে রাব্বী (২৪), মোস্তাফিজার রহমানের ছেলে আব্দুল অহেদ (২১), মো. আলমের ছেলে মো. হৃদয় (২১), ওয়াজকুরানী সাকিদারের ছেলে নুর আলম নিশাদ (২২) ও চকমড়িয়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে কাউছার (২১) ।
থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ মামলা এবং ৫ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে এবং ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।