রাজধানীতে ছাদ থেকে নিচে পড়ে নারীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন

পরের সংবাদ

মাটি পুড়িয়ে আর ইট নয় : চট্টগ্রামে আলোচনা সভায় সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : পরিবেশ রক্ষায় নতুন করে আর কোনো সনাতন পদ্ধতির (মাটি পুড়িয়ে ইট তৈরি) ইটভাটার লাইসেন্স দেয়া হবে না। চলতি বছরেই চট্টগ্রামে অবস্থিত ২৫ শতাংশ ইটভাটায় ব্লক ইট তৈরির বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি সরকারি নিয়মনীতি মেনে যেসব ইটভাটার মালিকরা ব্লক ইট তৈরির জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন করবেন তাদের দ্রুত লাইসেন্স প্রদানসহ অন্যান্য সুবিধাও দেয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুসরণ ও পোড়ানো ইটের পরিবর্তে ব্লক ব্যবহারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক ইটভাটা মালিক-সমিতির নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, ইটভাটার মালিকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এ সভায় তাদের মত প্রকাশ করেন। জেলা প্রশাসক সভায় বলেন, নতুন করে আর কোনো ইটভাটার লাইসেন্স দেয়া হবে না। যেগুলো আছে সেগুলো থেকে পর্যায়ক্রমে কমিয়ে এনে পরিবেশবান্ধব ইটভাটাগুলো রাখা হবে। যাদের একাধিক ইটভাটা রয়েছে চলতি বছরের মধ্যেই তাদের অন্তত ২৫ শতাংশ ভাটায় ব্লক ইট তৈরি করে সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ইট তৈরি কার্যক্রম ধীরে-ধীরে বন্ধ করে দিতে হবে। আগামী মাসে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে নিয়ে ইটভাটা ব্যবসা সংক্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বাস্তবায়নে চট্টগ্রামে একটি সভা আহ্বান করা হবে। সিটি মেয়র, সিডিএ চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও জেলা-উপজেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির নেতাদের থেকে একজন করে প্রতিনিধিকে সভায় আমন্ত্রণ জানানো হবে।
ইটভাটা মালিকদের প্রশ্নের জবাবে বালি সরবরাহ বিষয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, আপনাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বালির ব্যবস্থা হবে। সভায় পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, ব্লক ইট তৈরির ছাড়পত্রের জন্য ইটভাটা মালিকরা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দিয়ে আবেদন করলে তা শুনানি শেষে দ্রুততার সঙ্গে দেয়া হবে। কোনো ধরনের বেগ পেতে হবে না। ছাড়পত্র পেলে বিদ্যুৎ সংযোগও দ্রুত সময়ে পাওয়া যাবে। জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবে।
সভায় সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাজীব হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুল মালেক, চট্টগ্রাম জেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি ও রাউজান পৌরসভার মেয়র মো. জমির উদ্দিন পারভেজ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একেএম গোলাম মোর্শেদ খান, চট্টগ্রাম জেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারসহ বিভিন্ন উপজেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়